সুশিক্ষার অভাব, ন্যায়ের যুদ্ধ, আমার জন্মভূমি
সুশিক্ষার অভাব
জীবন নামক ঘর সংসারে
ধরে যদি ভাঙন,
পর হয়ে যায় রক্তের ভাই
ছিন্ন করে বাঁধন।
গরু-বাছুর ছাগল-ভেড়া
বসত ভিটা ঘর ,
ভাগ করে নেয় ধন সম্পদ
আসবাব ফার্নিচার।
বাবা-মা’ও আজ ভাগের পণ্য
ভিন্ন পরস্পর ,
মা থাকে এক ছেলের ঘরে
বাবায় অন্যত্তর।
ভাই দেখে না ভাইয়ের মুখ
আচার অনুষ্ঠানে ,
বোনের বাড়ী বোন যায় না
মৃত্যু সংবাদ শুনে।
সামাজিকতা হারিয়ে গেছে
অসভ্য ছোঁয়ায়
কুশিক্ষার প্রভাবেই সমাজ
তাইতো হচ্ছে ক্ষয়।
শিক্ষা শুধুই জ্ঞানচর্চা নয়
শিক্ষা হল আলো,
সুশিক্ষার পরশ পাথরেই
আলোর প্রদীপ জ্বালো।
আরও পড়ুন মো: হাতেম আলীর কবিতা-
পাশ্চাত্য শিক্ষা
নতুন কুঁড়ি
সুখ-সরোবর
ন্যায়ের যুদ্ধ
কতিপয় সন্ত্রাসীর হাতে রাজ্য ধর্ষণ পথে ঘাটে
আগ্নেয়াস্ত্রের জোরে,
মানচিত্রটা খাচ্ছে ছিঁড়ে চোর-ডাকাত বাটপারে
যে যার মত করে।
গিলছে ওরা রাজভোগ শূন্য করে রাজকোষ
হারামি’র দল,
গরীব মরে খালি পেটে গ্রামে-গঞ্জে ফুটপাতে
আঁখি ছলছল !
আর কত রে ঘুম কাতুরে রইবি পড়ে অন্ধকারে
জাগরে নবীন দল
ভেঙে দিয়ে বিষদাঁত রাঙাতে চাই সু-প্রভাত
ছিঁড়ে ঐ শেকল।
যেমনি ভাবে “একাত্তুরে” মুক্তিসেনা যুদ্ধ করে
স্বাধীন করলো দেশ,
আয়রে তাঁদের উত্তরসুরি তেমনিভাবে যুদ্ধ করি
অন্যায় করবো শেষ।
নিজে করি নিজের কাজ নাই ভয় ওরে নাই লাজ
প্রফুল্ল বদন,
ভুলে গিয়ে হিংসাদ্বেষ গড়তে হবে সোনার দেশ
পূরণ হোক স্বপন।
আমার জন্মভূমি
জন্মেছি মা এই বাংলায় তোর-ই কোলে
ভালোবেসেছি কাঁদামাটি জল খেলার ছলে
বেড়াই ঘুরে জলে-স্থলে
পাহাড়-নদী, সাগর জলে-
তোর ছোঁয়া মা পাই যে আমি ফুল-ফসলে
এমন মধুর পরশ কোথাও পাই না গেলে।
রাখাল ছেলে বাজায় বাঁশী বটের মূলে
একতারাটি বাউল কন্ঠে সুর যে তোলে।
দোয়েল ডাকে গাছের ডালে
ময়ূর নাচে পেখম মেলে-
পানকৌড়ি ডুব দেয় টুপ-টুপ হাওড়-ঝিলে
দেখছি মাগো অবাক হয়ে দু’চোখ মেলে…।
উজান নদী পার হয় মাঝি পাল যে তুলে
করছে শিকার মাছের পোনা শ্রমিক জেলে।
ছোঁ মেরে ওই গাং চিলে
ছোট্ট মাছটি নিচ্ছে তুলে-
সাঁতার কাটে দামালের দল নদীর জলে
এমন দৃশ্য মিলবে কি রে কোথাও গেলে…?
তুই হউলি মা বসু-মাতারূপ সবার দিলে
জন্ম থেকেই দেখছি তোকে নয়ন মেলে।
স্বর্গ মা তোর চরণ তলে
আধার কাটে বিপদ কালে-
সারাটি জীবন কাটাতে চাই তোর আঁচলে
মরণ যেনো হয় ওগো মা তোর-ই কোলে…।
আরও পড়ুন কবিতা-
শরৎ
সীমাবদ্ধতা
অর্থবহ অধর
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
সুশিক্ষার অভাব