সুজানগর উপজেলার ইতিহাস
সুজানগর উপজেলার ইতিহাস
মোগল সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় পুত্র ছিলেন বাংলার সুবেদার শাহ সুজা। শাহ সুজার স্মৃতি বিজড়িত সুজানগর পাবনা জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা। এটি পদ্মা নদীর তীরবর্তী পাবনা শহর থেকে ২০ কি.মি. পূর্বে অবস্থিত।
পাবনা জেলার অন্যতম বৃহত্তম উপজেলা হলো সুজানগর। অতি প্রাচীনকালে তথা বৌদ্ধযুগে সুজানগর অঞ্চল পৌণ্ড্রবর্ধন বিভাগের অধীনে ছিল। সে সময় অধিকাংশ অঞ্চল ছিল জলমগ্ন। পাল ও সেন আমলে এই অঞ্চল বরেন্দ্র ভূমির আওতাভুক্ত ছিল। পাল শাসনামলে করমজা ও বরাট গ্রামের নাম, যশ ও গৌরব প্রচারিত ছিল। মোগল শাসনামলে এই অঞ্চল সুবা বাংলা সরকার, পরগণার আওতাভুক্ত ছিল। ১৮২৮ সালের ১৬ অক্টোবর রাজশাহী জেলা থেকে পাবনা, শাহজাদপুর, রায়গঞ্জ, মথুরা, ক্ষেতুপাড়া থানা এবং যশোর জেলা থেকে ধর্মপুর (পাংশা), কুষ্টিয়া, মধুপুর থানা নিয়ে পাবনা জেলা গঠিত হয়। ১৯০৩ সালের ৩ জুন দুলাই থানা গঠিন হয়।
রাধারমণ সাহার ‘পাবনার ইতিহাস’ গ্রন্থে দেখা যায়-১৯২১ সালে পাবনা জেলায় থানা ছিল ৪টি। এগুলো হলো- পাবনা সদর, চাটমোহর, দুলাই ও মথুরা। পরবর্তীতে দুলাই থানা, সুজানগর থানায় রূপান্তরিত হয়।
আরও পড়ুন সুজানগর পৌরসভার ইতিহাস
১৮৭২-৭৩ সালে কর বৃদ্ধির কারণে পাবনাতে জমিদারদের বিরুদ্ধে প্রজাবিদ্রোহ শুরু হলে, এই অঞ্চলের কৃষকরা বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে। এই সময় ব্রিটিশ সরকার কঠোরভাবে এই বিদ্রোহ দমন করে। এই সূত্রে সুজানগরে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন হয়। ১৯২২ সালের ৮ এপ্রিল পুলিশ স্টেশন স্থাপিত হয়। তখন সুজানগরের আয়তন ছিল ১০০ বর্গমাইল এবং লোকসংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ৩৭ জন। এরপর ১৯২৯ সালে সুজানগরকে স্থায়ী থানায় পরিণত করা হয়৷ ১৯৮৩ সালে সুজানগর থানাকে উপজেলায় উত্তীর্ণ করা হয়।
বর্তমানে সুজানগর উপজেলায় দুটি থানা ও কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। থানা দুটি হলো সুজানগর সদর ও আমিনপুর। ২০১৩ সালের ২০ অক্টোবর তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার মার্শাল (অব) এ কে খন্দকার পাবনা জেলার ১১তম থানা হিসেবে আমিনপুর থানা উদ্বোধন করেন। আমিনপুর থানা মোট ৮টি ইউনিয়ন এবং ৩টি পুলিশ ফাঁড়ি ও ১টি নৌ ফাঁড়ি নিয়ে গঠিত। বেড়া উপজেলার ৫টি ও সুজানগর উপজেলার ৩টি এই থানার অন্তর্ভুক্ত।
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
সুজানগর উপজেলার ইতিহাস