শহিদ ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলাল
শহিদ ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলাল ও সুজানগরের মুক্তিযুদ্ধ
মো. মনসুর আলী
১৯৭১ সালে বাংলার আপামর জনসাধারণ দেশমাতৃকার মুক্তির লক্ষ্যে জীবন-পণ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল। মুক্তিপাগল বাঙালি সেদিন নিজ জীবনের চেয়ে মাতৃভূমির স্বাধীনতাকে অধিকতর মূল্যবান ভেবে কামান-ট্যাংক-মর্টার-মেশিনগানে সুসজ্জিত পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসরদেরকে দেশপ্রেমের অস্ত্র দিয়ে মোকাবেলা করে বাঙালির চির আরাধ্য স্বাধীনতার সূর্যকে ছিনিয়ে এনে বিশ্বের বুকে প্রথম বাঙালিদের একটি নিজস্ব স্বাধীন রাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিল। মুক্তির নেশায় বেসামাল ত্রিশ লক্ষ বাঙালির রক্ত-স্রোতে ভেসে স্বাধীনতার সোনালি সূর্যটি বাঙালির দুয়ারে এসেছিল। তাদেরই একজন আমাদের সুজানগর উপজেলার অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলাল।
পাবনা জেলার সুজানগর পৌরসভার ভবানীপুর মহল্লায় ১৯৫০ সালে পিতা ডা. এম. সলিমুল্লাহর ঘর আলোকিত করে, মাতা বেগম সায়েরা খাতুনের কোল জুড়ে ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলালের জন্ম হয়। ছয় ভাই বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয় (ভাইদের মধ্যে প্রথম)। তিনি সুজানগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। সুজানগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে এসএসসি পাস করে রাজশাহী কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি ছিলেন সুজানগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস ও প্রেরণার প্রতীক। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে পরিচালিত প্রতিটি অপারেশনে তিনি ছিলেন প্রাণশক্তি।
আরও সুজানগর উপজেলার একমাত্র খেতাবপ্রাপ্ত বীর প্রতীক আজিজুর রহমান
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের অগ্নিঝরা আহ্বান; একুশ বছর বয়সী সুদর্শন, অকুতোভয়, টগবগে যুবক ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলালের রক্তে ঝড় তোলে। ২৫ই মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যা শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে সুজানগরে এসে সহযোদ্ধা আ. সামাদ, আব্দুল হাই, তোফাজ্জল হোসেন তোফা, আ. কাদের, শাহজাহান আলী মন্টু, হাবিবর রহমান প্রমূখদের সাথে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরি করতে মনোনিবেশ করেন। গ্রাম-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে মানুষকে সাহস যুগিয়ে উদ্বুদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করতে থাকেন। ব্যাপক সাংগাঠনিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষের মনে সাহস সঞ্চার করার পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলেন।
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পর্যায়ে ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলালের বাবা ডা. এম. সলিমুল্লাহ পাাকস্তানি বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার হলে; দুলাল তার বাবার সুজানগর বাজারস্থ ডিসপেনসারি থেকে সকল ওষুধ বাড়িতে এনে, দরিদ্র-অসহায় মানুষের চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করতেন। দুলাল লুটপাটকারীদের প্রতিরোধ করে সাধারণ মানুষের বাড়ি-ঘর ও সম্পদ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
আরও পড়ুন ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কমরেড প্রসাদ রায়
১৯৭১ সালের ৩রা মে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী সুজানগরে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে সুজানগর বাজারে অগ্নিসংযোগ করে। ১২ই মে পাকিস্তানি বাহিনী সাতবাড়িয়ার সিংহনগর গ্রামের দুই চাচা-ভাতিজার (চাচা প্রভাবশালী স্বাধীনতা বিরোধী এবং ভাতিজা জেলা আল-বদর বাহিনীর প্রধান) নেতৃত্বে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে ব্যাপক গণহত্যা এবং অগ্নিসংযোগ ঘটায়। পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদরদের এমন নিষ্ঠুর নির্মমতা চির দামাল দুলালকে অধিকতর বিদ্রোহী করে তোলে। চূড়ান্ত সশস্ত্র যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণের লক্ষ্যে জুলাই মাসের শেষ নাগাদ ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে ভারতে গমন করেন। দুলালের বড় বোন নুরজাহান বেগম বলেন, তাঁর দাদি দুলালকে যুদ্ধে যেতে নিষেধ করলে দুলাল বলেছিলেন, ‘‘আমি মুক্তিযুদ্ধে না গেলে সুজানগর স্বাধীন হবে না।’’
ভারতে প্রবেশ করে টেনডুয়া ক্যাম্পে ২৮ দিন প্রশিক্ষণ (মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসাবে) গ্রহণ করে কেচুয়াডাঙ্গা হয়ে রফিকুল ইসলাম বকুলের (পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার) নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
উল্লেখ্য, সুজানগর-বেড়া অঞ্চলের তৎকালীন এমপিএ মরহুম আহমেদ তফিজ উদ্দিন কেচুয়াডাঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন।
সহযোদ্ধাদের সাথে দুলাল বাংলাদেশে প্রবেশ করে সরাসরি সুজানগর চলে আসেন। সুজানগর থানায় মুজিব বাহিনীর প্রধান ছিলেন মোহাম্মাদ ইকবাল এবং উপ-প্রধান ছিলেন জহুরুল ইসলাম বিশু (উভয়েই পাবনা শহরের বাসিন্দা)। যুদ্ধক্ষেত্রে মোহাম্মাদ ইকবাল, জহুরুল ইসলাম বিশু এবং ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলাল পরস্পরের অতি আপনজন হয়ে উঠেন এবং তাদের তিনজনের যৌথ নেতৃত্বে মুজিব বাহিনী এবং ফ্রন্ট ফাইটার বাহিনীর সমন্বয়ে সুজানগরের মুক্তিযুদ্ধের যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালিত হতো।
মোহাম্মাদ ইকবালকে অনেক সময় যুদ্ধ সংক্রান্ত কাজে সুজানগরের বাইরে (ভারতসহ অন্যান্য জায়গায়) যেতে হতো। এজন্য অধিকাংশ সময় জহুরুল ইসলাম বিশু ও দুলালের নেতৃত্বেই সুজানগরের মুক্তিযুদ্ধের যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালিত হতো। জেলা কমান্ডার হিসাবে রফিকুল ইসলাম বকুল সার্বিক সহযোগিতা করতেন।
আরও পড়ুন পাবনায় মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ বুলবুল
ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলালের সহযোদ্ধা আব্দুল হাই বলেন, “ডিসেম্বর মাসের ছয় অথবা সাত তারিখে আমার বাবা ডা. আ. কাদের মুনসীকে তারাবাড়িয়া হাট থেকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানি বাহিনী সুজানগর থানায় আটকিয়ে রাখে। তীক্ষ্ণ মেধাবী এবং অকুতোভয় সাহসী দুলাল সুজানগরের এক বিশেষ প্রভাবশালী স্বাধীনতা বিরোধী যিনি পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে থাকতেন-তার বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীসহ ছেলেমেয়েদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। অতপর তার স্ত্রীকে বাধ্য করেন স্বামীর কাছে চিঠি লিখতে। স্বামীকে পরিবারের সদস্যদের জিম্মিদশার বর্ণনা দিয়ে লেখেন যে, তুমি আ. হাইয়ের বাবাকে জীবিত অবস্থায় ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হলে দুলাল এবং তার বাহিনী তোমার পরিবারের কাউকে জীবিত রাখবে এমন কোনো সম্ভবনা নাই। থানায় যাতায়াত করে এমন কারো মাধ্যমে তিনি চিঠিটি স্বামীর কাছে পৌঁছান। তার স্বামী নিজ পরিবারের সদস্যদের জীবন রক্ষার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করে, আ. হাইয়ের বাবাকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।”
তিনি আরো বলেন, “দুলাল সুজানগরের জনৈক পোস্টম্যানের নিকট থেকে পোস্টম্যানের পোশাক সংগ্রহ করেন এবং অপর এক পোস্টম্যান যিনি সুজানগর সদরে চিঠিপত্র বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন, তার নিকট থেকে বিতরণযোগ্য চিঠিপত্রের ব্যাগ কেড়ে নিয়ে উক্ত পোস্টম্যানকে আটকিয়ে রাখেন। নিজে পোস্টম্যানের পোশাক পরিহিত অবস্থায় চিঠির ব্যাগ হাতে পোস্টম্যানের ছদ্মবেশে সুজানগর থানায় প্রবেশ করেন। চিঠি বিতরণের কৌশলে থানা রেকি করে আসেন।”
আরও পড়ুন বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন সন্টু
সুজানগরে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মোট পাঁচটি সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
প্রথম যুদ্ধটি সংঘটিত হয় ২৪ অক্টোবর, নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাটে। জহুরুল ইসলাম বিশু ও ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলালের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সেদিন এক ভয়াবহ সম্মূখ যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি মিলিশিয়া বাহিনীর একটি ফেরি এ্যাম্বুশ করে পদ্মা নদীতে ডুবিয়ে দেয়। এ যুদ্ধে মিলিশিয়া বাহিনীর প্রায় ৫০ জন সেনা ও ১২ জন রাজাকার নিহত হয়। (তথ্যসূত্র: পাবনা জেলার মুক্তিযুদ্ধের কথা, মো. জহুরুল ইসলাম বিশু)
দ্বিতীয় যুদ্ধটি সংঘটিত হয় সুজানগর পৌরসভায়। রফিকুল ইসলাম বকুল, মোহাম্মদ ইকবাল, জহুরুল ইসলাম বিশু ও ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলালের নেতৃত্বে প্রায় তিনশত মুক্তিযোদ্ধা সুজানগর থানা দখলের জন্য ১০ই ডিসেম্বর শেষ রাতে একযোগে আক্রমণ করেন। এই যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল ও উদ্যমকে চাঙ্গা রাখার ক্ষেত্রে দুলালের ভূমিকা ছিল অদ্বিতীয়। তিন দিনব্যাপী তুমুল সম্মূখ যুদ্ধ চলাকালে পাবনা শহরের দিলালপুর মহল্লার নূরুল ইসলাম ১১ই ডিসেম্বর শাহাদত বরণ করেন এবং একই দিনে জহুরুল ইসলাম বিশু হাতে গুলিবিদ্ধ হন। এ যুদ্ধেই সুজানগর উপজেলার উলাট গ্রামের আনিসুর রহমান সাইদ মর্মান্তিকভাবে গুলিবিদ্ধ হলে তাঁর দুটি চোখ চিরতরে অন্ধ হয়ে যায়।
১২ই ডিসেম্বর সম্মূখ সমরে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চির দামাল, চির দুরন্ত, চির অকুতোভয় ও চির আপোষহীন দুলাল তাঁর তাজা রক্তে সুজানগরের মাটিকে রঞ্জিত করে শাহাদত বরণ করেন। তিন দিনব্যাপী অবিরাম যুদ্ধ শেষে ১৩ই ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর বাহিনীকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করে সুজানগর থানা পুরোপুরিভাবে দখলে নিতে সক্ষম হন। এ যুদ্ধে অনেক মিলিশিয়া ও রাজাকার-আলবদর নিহত হয়। যুদ্ধের শেষ দিনে কৌশলগত কারণে সুজানগর থানার দক্ষিণ পাশ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অবস্থান সরিয়ে নিলে অনেক মিলিশিয়া ও রাজাকার-আলবদর ঐ পথে পালিয়ে যায় এবং সুজানগর থানা চূড়ান্তভাবে হানাদার বাহিনীর মুক্ত হয়।
আরও পড়ুন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদ মো. আহসান হাবিব
সুজানগরে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকিস্তানি বাহিনীর তৃতীয় যুদ্ধটি সংঘটিত হয় ১৩ই ডিসেম্বর সকালে তারাবাড়িয়া বান্নাই খেয়াঘাটে। এই যুদ্ধে পাবনার দ্বীপচরের আবু বকর শাহাদত বরণ করেন।
১৩ই ডিসেম্বরেই তিন শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলাল, নূরুল ইসলাম ও আবু বকরকে সুজানগর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে (মসজিদের পাশে) কবরস্থ করা হয়। গুলিবিদ্ধ জহুরুল ইসলাম বিশুকে চিকিৎসার জন্য ভারতে পাঠানো হয়। অপর যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুর রহমান সাইদ যুদ্ধে দুটি চোখ হারিয়ে সারাজীবন অন্ধত্বের সাথে লড়াই করে ২০২০ সালের ১২ই জুনে মৃত্যুবরণ করেন।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে সুজানগরের বীর সন্তানদের চতুর্থ যুদ্ধটি সংঘটিত হয় ১৩ই ডিসেম্বর বিকালে নিয়োগীর বনগ্রাম খাঁরপাড়া ঘাটে।
পঞ্চম ও সর্বশেষ যুদ্ধটি সংঘটিত হয় ১৪ই ডিসেম্বর সকাল ১১ টার দিকে তাঁতিবন্দ এলাকায়। এই যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর শোচনীয় পরাজয়ের মাধ্যমে সুজানগর উপজেলা পুরোপুরিভাবে হানাদার মুক্ত হয়।
জহুরুল ইসলাম বিশু তাঁর লেখা ‘পাবনা জেলার মুক্তিযুদ্ধের কথা’ বইতে দুলালকে তাঁর যুদ্ধকালীন সময়ের ঘনিষ্ঠতম বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘‘দুলাল ছিল আমার চোখ। যুদ্ধক্ষেত্রে পরিকল্পনা প্রণয়ন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং গৃহীত সিদ্ধান্ত কার্যকরের ক্ষেত্রে শহিদ দুলাল ছিলেন সিদ্ধহস্ত।’’
আরও পড়ুন সুজানগর থানা দখল ও আমার আহত হওয়া
১৯৭২ সালে শহিদ দুলালের ঘনিষ্ট সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ অধ্যক্ষ আ. গনি, আ. সামাদ, তোফাজ্জল হোসেন তোফা, আ. হাই, আ. কাদের ও শাহজাহান আলী মন্টু বিশ্বাস সুজানগর উপজেলা সদরে ‘শহিদ দুলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেন। এ বিদ্যালয়টি বর্তমানে সুজানগর উপজেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া সুজানগর উপজেলা পরিষদ গেট থেকে পরিষদ চত্বরে প্রবেশের রাস্তা এবং ভবানীপুরে অবস্থিত শহিদ দুলালের বাড়ির সম্মূখ দিয়ে চিনাখড়াগামী রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে ‘শহিদ ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলাল সড়ক’।
যতদিন স্বাধীন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন লাল-সবুজ পতাকার মাঝে শহিদ দুলালের মত দেশ প্রেমিক শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধারা অমর হয়ে থাকবেন। শহিদ দুলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমে অনন্তকাল ধরে শহিদ দুলাল দেশ-প্রেমের আলোকবর্তিকা হয়ে দেশ ও সমাজের সর্বত্র আলো ছড়াবেন।
লেখক:
মো. মনসুর আলী
প্রধান শিক্ষক
শহিদ দুলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
সুজানগর পৌরসভা, সুজানগর, পাবনা।
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে