রিঙকু-অনিমিখ
আহম্মদপুর,  লেখক পরিচিতি,  সাহিত্য,  সৈয়দপুর (আহম্মদপুর)

রিঙকু অনিমিখ

রিঙকু অনিমিখ একজন কবি ও চারুশিল্পী হিসেবে সমধিক পরিচিত।

জন্ম: রিঙকু অনিমিখ ১৯৮২ সালের ৫ এপ্রিল, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত  আহম্মদপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মিয়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। এটি তাঁর পৈতৃক বাড়ি।

পারিবারিক জীবন: পিতা মৃত সৈয়দ আব্দুস সাত্তার ও মাতা সৈয়দা রওশনারা সাত্তার। পিতা ছিলেন একজন সরকারি চাকরিজীবী এবং মা গৃহিণী। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়।

শিক্ষাজীবন: স্কুল কলেজ পাবনাতেই। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কেটেছে ঢাকায়। চারুকলায় ‘ড্রয়িং এন্ড পেইন্টিংয়ে স্নাতকোত্তর।

কর্মজীবন: বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলাকালীন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্সসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় চাকরির মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। বছর তিনেক আগে একটি নিউজ মিডিয়ার প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার মধ্য দিয়ে চাকরি থেকে বিচ্ছেদ। এরপর ভাস্কর্য, মুরাল, চিত্রকর্ম, টেরাকোটাসহ নানারকম বিউটিফিকেশন ও ডিজাইনবেজ কাজের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন। ইতিমধ্যে ঢাকায় ‘আর্ট এঙ্গেল’ নামের একটি ডিজাইনবেজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও স্থাপন করেছেন।

আরও পড়ুন  সাংবাদিক ও লেখক ইমরুল কায়েস

দেশের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে তার নির্মিত বেশকিছু স্থপত্য শিল্পকর্ম। এর মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর অনেকগুলো ভাস্কর্য (যেমন- কুষ্টিয়া ডিসি অফিসের সামনে ২০ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্য, নারায়ণগঞ্জ সিটি ও রূপগঞ্জ ইউএনও ভবণ প্রাঙ্গণে আবক্ষ ভাস্কর্য যা সমাদৃত হয়েছে সর্বমহলে)। ঐতিহাসিক বিষয়ের ওপর টেরাকোটা, মুরাল ইত্যাদি। এর মধ্যে পাবনার সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়িতে তাঁর আবক্ষ ভাস্কর্যটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য এই কারণে যে দুই বাংলায় এটিই তার একমাত্র ভাস্কর্য এবং ঢাকার বেড়িবাঁধের পাশে বিজিএমইএ ইউনির্ভাসিটির একটি ভবণের দেয়ালে ভার্টিক্যালি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টেরাকোটা ভাস্কর্য। যার প্রস্থ ২২ ফুট উচ্চতা ১০০ ফুট।

১৯৯৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৫টি ছোটকাগজ সম্পাদনা করেছেন। এর মধ্যে ‘ছলাৎ’ ও ‘আরক’ ছোটকাগজ দুটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যার কোনটিই এখন আর নিয়মিত নয়।

লেখালেখি: ছোটবেলা থেকেই ছড়া ও কবিতা দিয়ে লেখালেখি শুরু। পারিবারিকভাবে সাংস্কৃতিক আবহ ছিলো। বাড়িতে ছিলো প্রচুর বই, পত্র-পত্রিকা। খুব ছোটবেলা থেকেই তাঁর বিচিত্র বইয়ের সাথে পরিচয় ঘটে। বাবার সরকারি চাকরিসূত্রে ছোটবেলা কেটেছে কলোনিতে। এরপর নদী তীরবর্তি গ্রামের বাড়িতে থিতু হওয়া।

লেখালেখির বিষয় মূলত কবিতা, গদ্য ও কলাম। লেখার ক্ষেত্র মূলত ছোটকাগজ। এছাড়া জাতীয় দৈনিক, ওয়েবম্যাগসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁর অনেক কবিতা, গদ্য, কলাম এবং কিছু শিশুতোষ লেখাও।

আরও পড়ুন খোন্দকার আমিনুজ্জামান

প্রকাশনা: প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা সাত। চারটি মৌলিক কাব্যগ্রন্থ, একটি সংকলন, দুইটি সম্পাদনা।

কাব্যগ্রস্থ:

  • বিমূর্ত মিউজিয়াম (২০১৫ খ্রি.)
  • নিষিদ্ধ সাইরেন (২০১৭ খ্রি.)
  • বসন্ত এসে ফিরে যায় (২০১৯ খ্রি.)
  • দল বেঁধেছি একা (২০২০ খ্রি.)

সংকলন:

  • প্রেমের কবিতা (২০১৯ খ্রি.)

সম্পাদনা:

  • জীবনানন্দ দাশের অগ্রন্থিত প্রেমের কবিতা ও অন্যান্য (২০১৯ খ্রি.)
  • যুক্তি-তর্কে বিমূর্ত চিত্রকলা (২০২২ খ্রি.)

 

বর্তমানে তিনি ঢাকায় বসবাস করছেন।

 

ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলফেসবুক পেইজে

Facebook Comments Box

প্রকৌশলী আলতাব হোসেন, সাহিত্য সংস্কৃতি বিকাশ এবং সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিবেদিত অলাভজনক ও অরাজনৈতিক সংগঠন ‘আমাদের সুজানগর’-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সাধারণ সম্পাদক। তিনি ‘আমাদের সুজানগর’ ওয়েব ম্যাগাজিনের সম্পাদক ও প্রকাশক। এছাড়া ‘অন্তরের কথা’ লাইভ অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক। সুজানগর উপজেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, শিক্ষা, মুক্তিযুদ্ধ, কৃতি ব্যক্তিবর্গ ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে ভালোবাসেন। বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করে বর্তমানে একটি স্বনামধন্য ওয়াশিং প্লান্টের রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেকশনে কর্মরত আছেন। তিনি ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই জুন পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত হাটখালি ইউনিয়নের সাগতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

error: Content is protected !!