রঙিন-খামে-চিঠি
কবিতা,  জিন্নাত আরা রোজী,  সাহিত্য

রঙিন খামে চিঠি, তোমার জন্য তারার ফুল, অগ্নি স্রোত

রঙিন খামে চিঠি

জিন্নাত আরা রোজী

 

বুকটা দুরু দুরু কাঁপছে,
বাইরে চোখ পড়তেই
খোলা রাস্তায় জোড়া শালিক
মাথার উপর আকাশটাও
মেঘে মেঘে ভেসে যাচ্ছে।
সকাল থেকেই ভাবনাগুলো
কেন যেন এলোমেলো।

মনে হয় কিছু একটার জন্য অপেক্ষা করছি।
হঠাৎ বাহির থেকে জোরে আওয়াজ এলো,
মনটা কেন যেন আঁতকে উঠলো,
এমনটাতো কখনো হয় না।
আবার চিৎকার; চিঠি আছে, চিঠি।
মা বললো, কার চিঠি?
দেখতো মা, কার চিঠি, কে পাঠিয়েছে?
হলুদ খাম, বড় বড় অক্ষরে লিখা খামের উপরে,
খান বাড়ি, নওয়াগ্রাম নাজিরগঞ্জ, পাবনা।

ভয়ে ভয়ে খুব আস্তে আস্তে
খামের উপরের অংশটুকু ছিড়লাম।
ভিতরে গাঢ় নীল কাগজ;
ভাঁজ খুলতেই, ‘প্রিয় রজন শুধু তোমার জন্য।
তোমার জন্য একটুকরো রঙিন কাগজ,
ভালোবাসা তোমার জন্য।
ভালোবাসা নিও, ভালো থেকো।

আরও পড়ুন জিন্নাত আরা রোজীর কবিতা-
কবির পাণ্ডুলিপি
অতল প্রেম
সাগরকন্যা

 

তোমার জন্য তারার ফুল

কী এক আজব শহরে বসবাস!
শুধু দূষিত বাতাস আর অস্থিরতা।
যদি এমন হতো
তোমাকে নিয়ে হাসিমাখা সূর্যের দেশে যেতাম!
আকাশ হতে তারার ফুল,
নিশুতি রাতে তোমাকে দিতেম!
সপ্তর্ষির তারারা দেখে মিটিমিটি হাসতো,
সহসা ফিরে আসতাম না।
ইটপাথরের দূষিত যানজটের শহরে।  

 

অগ্নি স্রোত

কেন এতো মনোকষ্টে ডুবে আছো?
তুমি কি কেবলই আগুনের স্রোতে ভাসতে চাও?
আমার যে বিশাল আকাশ চাই!
তারকারাজি চাই, চাই চাঁদের আলো!
নাইবা পেলাম ঘরদোর, নাইবা হলো সুখের সংসার,
নিরালা নিঝুম সঙ্গ চাই, চাই পাখির গুঞ্জন।
নিবির একটা ছায়া বৃক্ষ চাই।
পথ হারানোর গল্প তো প্রাচীন,
সেই কাহিনী আর ভালো লাগে না।
একটাই তো জীবন,
চলো উড়ে যাই নতুন কোনো সীমানায়।

আরও পড়ুন কবিতা-
স্বদেশ
দয়ার সাগর
সীমানা বিহীন পৃথিবী

 

 

ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলফেসবুক পেইজে

রঙিন খামে চিঠি

Facebook Comments Box

জিন্নাত আরা রোজী মূলত একজন কবি। এ ছাড়াও তিনি গল্প ও ছড়া লেখেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: কবিতায় মনে পড়ে, অভিমান বেঁচে থাক, একমুঠো স্বপ্ন। জিন্নাত আরা রোজী ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দের ২রা অক্টোবর পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের নওয়াগ্রামের এক সম্ভান্ত্র মুসলিম পরিবারের খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

error: Content is protected !!