যদি বেঁচে যাই
যদি বেঁচে যাই
ফজলুল হক
কোভিড ১৯,
রাক্ষুসে সময়ে ভাগ্যক্রমে যদি বেঁচে যাই-
স্বাক্ষী হয়ে অনাগত প্রজন্মকে বলে যাবো অভিশপ্ত জীবনের কথা।
বলে যাবো-
অখণ্ড এক আকাশের নীচে ধর্ম-বর্ণ ও জাতিভেদে ক্ষমতা লড়াইয়ের সিন্ধুসম বিষাদ গল্পকথা।
যুদ্ধের দামামা বাজলে-
মরণাস্ত্র ধ্বংসের খেলায় কীভাবে মেতে ওঠে,
কীভাবে তোর জন্ম হলো
কীভাবেই-বা মানুষের অভিন্ন রক্তে ভাসে রণতরী–সব বলে যাবো যতদূর পারি।
আরো যা যা বলবো-
কেনো আজ
অখণ্ড আকাশ খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত!
সব-ই মানুষের অনাসৃষ্টি।
যদি বেঁচে ফিরি-
প্রাণপণ চেষ্টা করব মানবিকতার শরীর ছুঁয়ে নিজেকে বদলে ফেলতে,
প্রেয়সির চাপা কান্নার জল মুছে
প্রতারকের তালিকা থেকে কেটে নিবো নিজের কলংকৃত নাম।
যদি মরতে মরতে বাঁচি-
ভুখাদের দরজায়
খাদ্যের ঝুড়ি বাড়িয়ে দেবো
অনাথের শরীরে জড়িয়ে দেবো প্রিয় পোশাকগুলো।
যদি ক্ষমা করিস-
বঞ্চিতদের মিছিলে আমিও কণ্ঠ মিলাবো,
বস্তির নোংড়া ক্ষুব্ধ অনাহারী মানুষের সাথে খুুঁজে নিবো মেলবন্ধন।
যদি সত্যি ক্ষমা কৃপা পাই-
দুঃখী মানুষের চোখের নোনাজলে ভেজাবো অসাধু দুটো হাত।
বদলে নেবো অহংকারী মন
আত্মশুদ্ধির প্রয়াসে,
ভুলে যাবো কুটিল রাজনীতি প্রথা,হিংসা-বিদ্বেষ।
ধ্বংসের খেলায় আর মেতে উঠিস না অদৃশ্য ঘাতক,
অভিশপ্ত চীনের উহান থেকে সোনার বাঙলায়
সর্বত্রই অভিভাবকহীন
লাশের বহর!
কিছুতেই থামছে না তোর অনুকম্পাহীন ক্ষুধার্ত আক্রোশ।
কথা দিলাম-
সত্যি মানবিক মানুষ হবো
এড়িয়ে যাবো না সামাজিক দায়বদ্ধতা,
এ আমার স্বজনের লাশের কসম।
তবুও কি থামবে না তোর দৈত্যবৎ ঘৃণিত তাণ্ডব?
ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজে
যদি বেঁচে যাই