মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (১ম পর্ব)
মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (১ম পর্ব)
জ্যোতির্বিজ্ঞানী মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (১৯১৫-১৯৯৩ খ্রি.) বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার অগ্রদূত। তিনিই প্রথম বাংলায় আকাশের তারাসমূহের ছক তৈরি করেন। তাঁর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও পরিকল্পনায় বাংলাদেশের প্রথম খ-গোলক নির্মিত হয়। পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে একজন শিক্ষাবিদ, লেখক ও বিজ্ঞানী।
অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ড. কুদরত-ই-খুদা স্মৃতি পদক, একুশে পদক ও ব্রুনো পদকে ভূষিত হন।
জন্ম: মোহাম্মদ আবদুল জব্বার ১৯১৫ সালের ১লা জানুয়ারি (শিক্ষা সনদ অনুযায়ী), পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত ভায়না ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
পারিবারিক জীবন: পিতা মুন্সি মিয়াজান মল্লিক ও মাতা বুলুজান নেছা। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আবদুল জব্বার ছিলেন সবার ছোট। মোহাম্মদ আবিদ আলী, এম আকবর আলী ও মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার এই তিন সহোদর যেন একই বৃত্তে তিনটি ফুল। এদের জন্মদায়িনী মা ‘রত্নগর্ভা’ জননীর সম্মানে ভূষিত। পিতা মিয়াজান মল্লিক প্রথম জীবনে মাঝি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি স্বাধীনভাবে ছোট ছোট ব্যবসা শুরু করেন এবং এই ব্যবসার সীমিত আয় দিয়েই সংসার চালাতেন। পিতা এবং মাতা উভয়েই ছিলেন বিদ্যানুরাগী।
আরও পড়ুন কৃষি বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন
জ্যোতির্বিজ্ঞানী মোহাম্মদ আবদুল জব্বার সংসার জীবন শুরু করেছিলেন উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ যাওয়ার আগেই। সুসাহিত্যিক মোহাম্মদ বরকতুল্লাহর বড় মেয়ে নূরজাহান বেগমের সঙ্গে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৩৯ সালের ৮ জুন। নূরজাহান বেগমও সাহিত্যচর্চায় বিশেষ আগ্রহী ও পারদর্শী ছিলেন। তিনি স্যার আর্থার কোনান ডয়েল এর ‘লস্ট ওয়ার্ল্ড’ অবলম্বনে রচনা করেছিলেন ‘হারিয়ে যাওয়া জগৎ’ এবং শিশু-কিশোরদের জন্য ‘সোনার কাঠি’। মোহাম্মদ আবদুল জব্বার-নূরজাহান দম্পতির ৫ পুত্র ও ২ কন্যা। সবার বড় মেয়ে হাসিনা জাহান এবং সবার ছোট মেয়ে সাবিয়া মালিক শম্পা। পাঁচ পুত্রের মধ্যে বড় ছেলে আবদুল লতিফ, মেজো ছেলে আবদুল মতিন, সেজো ছেলে আবদুল মজিদ, চতুর্থ ছেলে মোহাম্মদ রফি এবং ছোট ছেলে মোহাম্মদ শফী। নিজের সন্তান এবং তাঁর অন্য দুই ভাইয়ের সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যাপারে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সচেতন। তাঁর সন্তানদের সকলেই পরবর্তী জীবনে নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। ১৯৭৯ সালের ২ মার্চ তাঁর স্ত্রী পরলোক গমন করেন।
মোহাম্মদ আবদুল জব্বার সবসময় সকল গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় আন্দোলনে সক্রিয় সমর্থক ছিলেন। ছোটবেলায় তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্বদেশী আন্দোলনে স্থানীয়ভাবে সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন। ভাষা আন্দোলনেও শরীক হয়েছিলেন। ছোট ছেলে মোহাম্মদ শফিকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন তিনি।
শিক্ষা জীবন: অসাধারণ মেধাশক্তি ও ফলাফলের জন্য তিনি প্রাথমিক শিক্ষা থেকে একেবারে মাধ্যমিক পর্যন্ত বৃত্তি পান। মিয়াজান মল্লিক তার বড় ছেলে মোহাম্মদ আবিদ আলীকে প্রথমে গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি করান। পাঠশালার হেডপণ্ডিত শশী ভূষণ দাস মেধাবী আবিদ আলীকে বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেন। বৃত্তি পরীক্ষায় আবিদ আলী জেলার সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম হয়ে মাসিক দুই টাকা বৃত্তি লাভ করেন এবং স্কুলে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ পান। আবদুল জব্বার এবং তাঁর মেজো ভাই আকবর আলীকেও হেডপণ্ডিত পাঠশালায় বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ দেন।
আরও পড়ুন মাওলানা রইচ উদ্দিন
গোপালপুর পাঠশালা থেকে বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মোহাম্মদ আবদুল জব্বার নিশ্চিন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এরপর ১৯৩২ সালে সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হিসেবে লেটারসহ ম্যাট্রিক পাস করেন। একই বছর তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে আইএসসি তে ভর্তি হন। ১৯৩৪ সালে তিনি এই কলেজ থেকে গণিতে লেটারসহ কৃতিত্বের সঙ্গে আইএসসি পাস করেন। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মুসলমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং বৃত্তি লাভ করেন। এরপর গণিতে অনার্স নিয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজে বিএসসি ভর্তি হন। মেজো ভাই আকবর আলীর মতো রসায়নে অনার্স নিয়ে বিএসসি পড়ার ইচ্ছে ছিল তাঁর। কিন্তু আইএসসি পরীক্ষায় গণিতে লেটার পাওয়ায় প্রেসিডেন্সি কলেজের রসায়ন বিভাগের তৎকালীন প্রধান ড. কুদরত-এ-খুদার পরামর্শে তিনি গণিত বিষয়ে অনার্স পড়ার সিদ্ধান্ত নেন
প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে গণিতে অনার্সসহ বিএসসি পাস করেন। মাত্র অল্প কয়েক নম্বরের জন্য তিনি প্রথম বিভাগ পান নি। এরপর গণিত বিষয়ে এমএসসি ডিগ্রি লাভের জন্য তিনি পড়াশোনা শুরু করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনিযুক্ত জার্মান অধ্যাপক এফ ডব্লিউ লেভি এমএসসি শ্রেণিতে মডার্ন অ্যালজেবরা নামে একটি নতুন বিষয় প্রবর্তন করেন। এই নতুন বিষয়ের একমাত্র ছাত্র ছিলেন মোহাম্মদ আবদুল জব্বার। ১৯৩৮ সালে তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৩৯ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করতে লন্ডন যান। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তাঁকে ভারত সরকারের নির্দেশেই ফিরে আসতে হয়।
আরও পড়ুন অধ্যাপক ড. রুহুল আবিদ
গবেষণা: এমএসসি পাস করার পর অধ্যাপক এফ ডব্লিউ লেভির সুপারিশে মোহাম্মদ আবদুল জব্বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণা বৃত্তি লাভ করেন। এ বৃত্তি নিয়ে অধ্যাপক লেভির তত্ত্বাবধানে গবেষণা কাজ শুরু করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশুদ্ধ গণিত (Pure Mathematics) বিভাগের প্রভাষক নিযুক্ত হন। সে সময় তৎকালীন সরকার ফরেন স্কলারশিপ চালু করে এবং তিনি এই স্কলারশিপ লাভ করেন। এই স্কলারশিপ অর্জনের মধ্য দিয়ে তিনি বিদেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করে তাঁর প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ পেলেন। শুভানুধ্যায়ী অধ্যাপক লেভির পরামর্শে তিনি ডিএসসি ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে এমএস ডিগ্রির জন্য ভর্তি হন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্দেশ্যে আবদুল জব্বার ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর মুম্বাই থেকে জাহাজে ওঠেন। ইউরোপে তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়েছে। বোম্বাই থেকে তাঁদের জাহাজ ছাড়ার দুই দিন পর ব্রিটেন জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এ সময় জার্মান যুদ্ধজাহাজের অতর্কিত আক্রমণের আশঙ্কায় জাহাজের যাত্রাপথ পরিবর্তন করতে হয়। সুয়েজ খাল ধরে এগোনোর পরিবর্তে তাঁদের জাহাজ পুরো আফ্রিকা ঘুরে ব্রিটেনে পৌঁছায় নির্দিষ্ট সময়ের অনেকদিন পর। বিশ্বযুদ্ধের সেই অস্থির সময়ে তিনি একজন অধ্যাপকের অধীনে তার পড়াশোনা শুরু করেন।
যুদ্ধকালীন নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এক বছর গবেষণা করে তিনি যখন পিএইচডি ডিগ্রির জন্য মনোনীত হলেন, তখনই যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধির কারণে লন্ডনের সকল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ব্রিটিশ সরকারের নির্দেশে অন্যান্য সক্ষম লোকদের মতো মোহাম্মদ আবদুল জব্বারের অধ্যাপককেও বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হয়। তিনি তখন অন্য কোনো অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে তাঁর কাজ শেষ করার চেষ্টা করতে থাকেন। এসময় ব্রিটিশ সরকার সব বিদেশীকে ইংল্যান্ড ছেড়ে চলে যাবার আদেশ জারি করলে তিনি তাঁর উচ্চশিক্ষা অসমাপ্ত রেখেই দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন।
আরও পড়ুন লোকসাহিত্য বিশারদ অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন
গবেষণা কাজের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক লেভির সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিষয়ক সেমিনারগুলোতে যোগ দেওয়ার সুযোগ হয় তাঁর। অধ্যাপকের সঙ্গে মিলিতভাবে কয়েকটি গবেষণা নিবন্ধও তিনি প্রকাশ করেন এসময়ে।
কর্ম জীবন: মোহাম্মদ আবদুল জব্বার দেশে ফিরে ১৯৪১ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে প্রভাষক হিসেবে চাকরি করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈতনিক প্রভাষক হিসেবে নিযুক্তির সময় তাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে, পদ খালি হলে তাঁকে প্রভাষকের পদে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। কিন্তু এই আশ্বাস শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে ১৯৪৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজে গণিতের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। কিছুদিন পর সেখান থেকে বদলি হয়ে তিনি ফিরে আসেন প্রেসিডেন্সি কলেজে।
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর তিনি পাকিস্তানের কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। প্রথমে তাঁকে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর কলেজে বদলি করা হয়। কিন্তু এর পরপরই কৃষ্ণনগর ভারতের অন্তর্ভুক্ত হলে তাঁকে রাজশাহী কলেজে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়। বছরখানেক এই কলেজে থাকার পর ১৯৪৮ সালে গণিত বিভাগের প্রধান হিসেবে তৎকালীন আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বর্তমান বুয়েট) যোগ দেন। এখানে প্রায় পনের বছর গণিত বিভাগের প্রধান পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। শিক্ষকতার জীবনের শেষদিকে এসে তিনি প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের দায়িত্ব পান।
১৯৬২ সালে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হলে তিনি এর প্রথম রেজিস্ট্রার নিযুক্ত হন এবং ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৮ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্রকল্যাণ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন বাংলাদেশে বইমেলার প্রবর্তক সরদার জয়েনউদ্দীন
১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ড. এম এ রশীদের নামে সম্মানসূচক পদ (চেয়ার)-এর সূচনা করা হয়। মোহাম্মদ আবদুল জব্বার প্রথমবারের মতো ‘ড. রশীদ অধ্যাপক’ নিযুক্ত হয়ে পুনরায় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন।
এই সময়ে তাঁর পরিকল্পনায় ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত হয় প্রথম Celestial Globe বা খ-গোলক (আকাশ সম্বন্ধীয় গোলক)। এই খ-গোলকটি জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে। ৪০ ইঞ্চি ব্যাসের এই গোলকটিতে সর্বমোট ১ হাজার ৯ শত ৯০ টি তারার অবস্থান দেখানো হয়েছে। এছাড়া এতে আরও রয়েছে ৮৯টি তারামণ্ডলের সরলরৈখিক চিত্র। একইসঙ্গে প্রায় দুই হাজার তারার অবস্থান নির্দেশিত আছে ঐ গোলকে।
চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর মোহাম্মদ আবদুল জব্বার সদ্যপ্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিযুক্ত হন। ১৯৮৫-৮৬ সালে ৭৬ বছর পরপর আবির্ভাব ঘটা ‘হ্যালীর ধূমকেতু’ পর্যবেক্ষণের জন্য যখন সারা বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু হয়, তখন তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে এই ধূমকেতু পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উদ্যোগী হন। তাঁর প্রচেষ্টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা বিভাগ একটি ভালো টেলিস্কোপ কেনার জন্য এক লক্ষ টাকার মঞ্জুরী প্রদান করে। ঐ টাকা দিয়েই ১৬ ইঞ্চি রিফ্লেক্টর টেলিস্কোপ আনা হয় আমেরিকা থেকে। এছাড়া হ্যালীর ধূমকেতু পর্যবেক্ষণের জন্য বিজ্ঞান জাদুঘরের পক্ষ থেকে যে ৮ ইঞ্চি ব্যাসের ‘স্মিট ক্যাসেগ্রেইন’ টেলিস্কোপ সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেখানেও তাঁর পরোক্ষ অবদান ছিল। ১৯৮৭ সালে বিজ্ঞান জাদুঘরের পক্ষ থেকে ‘প্রাথমিক জ্যোতির্বিজ্ঞান প্রশিক্ষণ কোর্স’ নামে একটি স্বল্পমেয়াদী পাঠক্রম চালু করা হলে তিনি অসুস্থ শরীর নিয়েও এই প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রায় দু’ঘণ্টা একটানা দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করতেন এবং প্রশিক্ষণার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যেতেন।
আরও পড়ুন মোহাম্মদ আবদুল জব্বার-
২য় পর্ব
৩য় পর্ব
৪র্থ পর্ব
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (১ম পর্ব)