মেঠোপথে
মেঠোপথে
ফজলুল হক
সবুজ কুঁজবন আর মাঠ
অবিশ্রামী মানুষের পাহারায়
মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে খড়কুটোর সারি সারি ঘর,
কুয়াশার কান্না শেষে সোনালি রোদের অকৃপণ হাসি
শীর্ণ দেহে উষ্ণতার প্রলেপ;
পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত সবুজ ঝোপঝাড়–
মাঝের সরু আলটি ধরে
চলে গেছে কোন সুদূরের গ্রাম,
যেনো সোনালি-সবুজে আঁকা চিরচেনা জীবনের আল্পনা।
রাখালের ভাটিয়ালি গান
কৃষাণ কৃষাণীর মনে ছন্দের দোলা,
কী করে ভুলি
আমিও যে এই মাটিরই সন্তান!
বিধবা মায়ের একাকীত্বতা
আঁকে ধূসর জীবনের আল্পনা,
ঋণের বোঝা মাথায়
ফিরবো ফিরবো করে ফেরা হয় না,
তারপর ফেরা হলো।
শিশিরভেজা মেঠোপথে
বেদনার দীপ নিভে
জীবন উপভোগ করি ফসলের লকলকে ডগায়;
রিক্ত নীড়ে হেসে ওঠে
আমার শৈশব-কৈশোর,
আমি খুঁজি সেই জীর্ণ ছোট্ট ঘর,
খেলার মাঠ,দুরন্তপনার স্মৃতি;
খুঁজি তাঁকে–দীপ জ্বেলে যে আমার অপেক্ষায় আজও।
খোলস বদলানো প্রেম
সোডিয়াম লাইটে ঝলসানো মেকি ভালোবাসা
সম্পর্কের নাটাই ছেঁড়া শহুরে দমকা বাতাস
জীবনছোঁয়া স্মৃতি–সব হয়ে যায় দীর্ঘশ্বাস।
পোষা পাখিদের ঘরে ফেরায়
মুখরিত হয় গ্রাম্য সন্ধ্যার উঠোন;
কতোদিন পরে আমিও যেনো সত্যি ঘরে ফিরে এলাম।
আরও পড়ুন কবিতা-
ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজে