মেঘে যতো জল
মেঘে যতো জল
ফজলুল হক
ভীষণ তাড়াহুড়ো
মুক্তি চাইছো?
অথচ দুজনার অভিন্ন স্বপ্ন ছিলো,
একটা ছোট্ট ঘর হবে
ঘরের এক কোণে
মেঠোফুলের ফুল সজ্জা,
ছোট শিশুর হামাগুড়ি ও
আধো আধো বোলে
শব্দ অন্বেষার শব্দে আমাদের ঘরটি দিনে দিনে বাড়ি হয়ে উঠবে,
শুরু হবে একটি নতুন গল্পের পথচলা।
সংসারে অনেক অভাব থাকবে
আমি একটু একটু করে পূরণের চেষ্টায় ক্লান্ত হয়ে যখন বাসায় ফিরবো
তুমি তখন তালপাখা দিয়ে বাতাস করতে করতে মনের খোঁজ জেনে নেবে;
হৃদয় ভিটেয় জ্বলে উঠা আগুন নিভিয়ে
লজ্জা লুকানো হাসি মুখে বলবে,শোনো খুকির বাপ
আমার এত্তো কিছু দরকার নাই,
একবেলা পান্তা হলেই চলবে।
কথা ছিলো সংসার পাতার প্রথম সপ্তাহে কিস্তিতে দুটো মোবাইল ফোন কিনবো,
একটা থাকবে তোমার কাছে
আর একটা আমার,
আমি যখন গঞ্জে কাজে যাবো
তুমি শূন্য ঘরের বারান্দায় বসে মাঝেমাঝে আমাকে ফোন করবে
অদৃশ্য দুরত্বের এক পাশে তুমি, অন্য পাশে আমি
কথায় কথায় হারিয়ে যাবো।
বেশি কথা বললে মালিক আচানক রেগে যাবেন
কিছু মুজুরী কেটে নিবেন হয়ত;
কাটুক, রক্তচোষা মহাজনেরা ভালোবাসার মর্ম কি-ইবা বুঝবে!
গত মাসে ভিটেয় নতুন মাটি তুলেছি,
ঘর বাঁধার জন্য ছন-বাঁশ কিনেছি
পাটের দড়িও পাকিয়েছি;
আর তুমি?
এক অজানা আশঙ্কায় হাতটা ছেড়ে দিতে চাইছো!
এ কেমন ভালোবাসা তোমার?
কই,আগে তো বলোনি
ঘর্মাক্ত শরীর,বিজলি বাতি আর বৈদ্যুতিক পাখা বিহীন ঘর এবং
বাটন মোবাইল ফোন তোমার এক্কেবারে অপছন্দ!
তবে স্বপ্ন দেখালে কেনো?
আরও পড়ুন কবিতা
ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজে
মেঘে যতো জল