মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের ৭ অক্টোবর পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত হাটখালী ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
পারিবারিক জীবন: বাবার নাম মো. আকমল হোসাইন শিকদার। মা বেগম হাসিনা আকমল। চার ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। বড় ভাই হাফেজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (হাটখালী ইউনিয়নসহ আশপাশের গ্রামের প্রথম হাফেজ)
শিক্ষা জীবন: মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ সৈয়দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা জীবন শুরু, এরপর জামিয়া আশরাফিয়া মাদরাসা, তারপর উলাট সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদরাসায়। শিবপুর ত্বহা ফাজিল মাদরাসা থেকে ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে দাখিল পাশ করেন। ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে আলিম পাশ করেন। ডিপ্লোমা ইন ফার্মেসি পড়েছেন ইনস্টিটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, মহাখালী-ঢাকা থেকে। স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ থেকে গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে স্নাতক করেছেন।
আরও পড়ুন ইমরুল কায়েস
কর্ম জীবন: ডিপ্লোমা শেষ করে ইউনাইটেড নেশন্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএডিপি)’র একটা প্রজেক্টে দুই বছর চাকরি করেন। পোস্টিং ছিল রংপুরে। এই সময়ে পত্রিকায় লেখা শুরু করেন। ২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রথম আলোর রস+আলো, কালের কণ্ঠের ঘোড়ার ডিম, ইত্তেফাকের ঠাট্টা, যুগান্তরের বিচ্ছুসহ দেশের সবগুলো জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় রম্য লেখা শুরু করেন। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিদিনের সংবাদ নামে একটা পত্রিকায় যোগদান করেন। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে যোগদান করেন চ্যানেল আইতে। ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে চ্যানেল আই থেকে চলে যান দেশ রূপান্তরে। ২০২১ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে দেশের সেরা বিজনেস জাতীয় দৈনিক বণিক বার্তায় যোগাদান করেন করেন। এখনো এখানেই সহ সম্পাদক পদে কর্মরত আছেন।
প্রকাশনা:
গল্পগ্রন্থ:
- নোবেল প্রাইজ (২০১৫ খ্রি.)
- অসুখের নাম তুমি (২০১৬ খ্রি.)
- অতঃপর বুঝলাম তুমি কত পর (২০১৭ খ্রি.)
উপন্যাস:
- চুড়ি অথবা চেয়ারের গল্প (২০১৮ খ্রি.)
- নিপাতনে সিদ্ধ (২০১৯ খ্রি.)
- বিষাদিতা (২০২১ খ্রি.)
সম্মাননা: ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে নরওয়ের একটা ওয়েব সাইটে ঈদ রম্যগল্প লেখা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম হন। ভার্সিটির সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও ডিবেট সোসাইটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। আন্ত বিভাগীয় ডিবেট কম্পিটিশনে চ্যাম্পিয়ন ও সেরা বক্তার পুরস্কার জিতেছেন। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে রেডিও টুডের একটি রিয়েলিটি শো (এফএম কবিরাজ) অংশ নিয়ে প্রথম আসরেই চ্যাম্পিয়ন হন।
সাংবাদিকতা আর লেখালেখি চলছে। থাকেন ঢাকার মগবাজারে। এখনো ব্যাচেলর। একটু সময় পেলেই ছুটে যান গ্রামে। গ্রামের বাতাস, ঘ্রাণ, পথ ও মানুষ মোহাচ্ছন্ন করে রাখে। একদিন ব্যস্ত শহর ছেড়ে গ্রামে গিয়ে বসবাসের স্বপ্ন দেখেন।
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে