ভালোবাসার গ্রাম, বাদল দিন, শরৎ
ভালোবাসার গ্রাম
আমার ভালোবাসার গ্রামকে তোরা শহর বানানোর চেষ্টা করিস না
তা হলে যে বাবুই পাখির একতলা দোতলা বাসা আর
দেখতে পাবো না।
টুনটুনিরা চলে যাবে, যাবে বহুদূর
শুনতে পাবো না তাদের মিষ্টি মধুর সুর
ছোটো গাছে তাদের জোড়া পাতার বাসা
আর তো ভাই দেখা যাবে না।
দোয়েল-কোয়েল ঘুঘু-শ্যামার সুমিষ্ট ডাক
সেখানটায় দখল নিবে শহরের
কাক বক-ডাহুক-মাছরাঙাদের উড়াউড়ি
আর তো দেখা যাবে না।
গ্রামের নির্মল বাতাস আর বিশুদ্ধ পানি
ক্রমে দূষিত হবে জানি গো জানি শহরের বাস্তবতা আজ
আর কারও অজানা না।
সোঁদা সোঁদা মাটির গন্ধ পেতে গ্রামে ছুটে যাই
মনময় দক্ষিণী হাওয়া সেখানে পাই
পূর্ণিমা রাতে গ্রামে আকাশ ভেঙে পড়ে চাঁদের জ্যোৎস্না
শহরে যা মালুম করা যায় না।
আরও পড়ুন খোন্দকার আমিনুজ্জামানের কবিতা-
আষাঢ় শ্রাবণ
শ্রাবণ ধারা
অনন্ত
বাদল দিন
এমন ঘনঘোর বাদল দিনে উন্মনা মনটা গ্রামে ছুটে যায়
শত স্মৃতির পরশে হৃদয় ভরে যায় আকুলতায়।
রংধনুর সাত রং কখন যে ঐ নীল আকাশে ভাসে
গাছে গাছে কদম ফুল হাসে
এমন রমণীয় দৃশ্য দেখে মন ব্যাকুল হয়ে যায়।
কী সবুজ শ্যামল কতো ফুল ফল
নদী-নালা খাল-বিল জলে ছল ছল
মন তাই ছুটে যায় গ্রাম বাংলায়।
মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে ছুটে যেতাম বৃষ্টি নামা মাঠে
কাঁদায় লুটোপুটি শরীরটা টেনে নিতাম পুকুর ঘাটে
সেইসব দিনগুলোর কথা কি ভোলা যায়?
মেঘেরা বাজনা বাজায়, বিজলি ছড়ায়
বৃষ্টি সুর তোলে নূপুর থাকে পায়।
একপশলা বৃষ্টি পড়লে মাথায়
আদর করে মুছে দিতেন আমায়
সেই মা-বাবা শুয়ে আছেন গ্রামে চলে গেছেন স্রষ্টার ঠিকানায়।
শরৎ
শরৎ এসেছে বেড়েছে রূপ এই রূপসী বাংলায়
আহা কী আনন্দ বয়ে যায় চোখের তারায় মনের আঙিনায়
শ্বেত শুভ্র কাশফুল দোল দোল দুলছে
পুঞ্জ পুঞ্জ শুভ্র মেঘ নীল আকাশে ভাসছে
দেখে দেখে ভেবে ভেবে আনন্দে মন হারিয়ে যায়।
প্রসন্ন রোদে কুঞ্জে কুঞ্জে বেড়ে যায় পাখিদের কলরব
মায়াবী রাতে শিউলি ফোটে বাতাসে ছড়ায় সৌরভ
শরতের দোলা যাবে না ভোলা এ যে অন্তরে বয়ে যায়।
শরৎ শশীর মিষ্টি হাসি কখনও হবে না বাসি
সে যে অন্তরে বসে বারে বারে দিবে হাসি।
শরতের দেহে এতসব দেখে মন করে উতলা
শরতের দোলা আহা যাবে না যাবে না ভোলা
দেখে দেখে ভেবে ভেবে তাই তো এ মন
উন্মনা হয়ে যায়।
আরও পড়ুন কবিতা
সম্পর্ক
ভুলে যাবো
সীমাবদ্ধতা
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
ভালোবাসার গ্রাম