ভালোবাসার ঋণ, চলে যাব বহু দূরে
ভালোবাসার ঋণ
ডাকছে আমার নদীর বান,
ডাকছে সবুজ ছায়া ;
ডাকছে যত গ্রাম্য পথের
ফেরারি সব কায়া।
শিমুল রাঙা গ্রাম্যপথে
কিশোর বেলা খেলেছি কত খেলা,
ওদের সাথে ভাব বিনিময়
করেই যেত বেলা!
এখন ওরা ঈশারাতে ডাকছে আমায়,
কেমন করে ফেরাবো ওদের
ভালবাসার ঋণ?
ক্ষণিক দেখার ইচ্ছে হলে
তাইতো ছুটে আসি,
মরা ঘাসে পা ছড়িয়ে
ওদের কাছেই বসি।
জড়িয়ে আছি পিতৃঋনে
শিকড়েরা নেয় যে চিনে,
কেমন করে ভুলবো আমি
ওদের যত স্মৃতি?
এখন আমার হলদে সময়
পাতা ঝরার দিন,
কেমন করে ফেরাবো আমি
ভালবাসার ঋণ?
চুপটি করে কষ্ট চেপে,
খুচরো মেঘে উড়িয়ে দেব
ওদের যত ঋণ।
আরও পড়ুন জিন্নাত আরা রোজীর কবিতা-
সোনামনি
অলিখিত কবিতা
সাগরকন্যা
চলে যাবো বহু দূরে
অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছি…
এখন অন্তিম বেলা;
স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে চারিপাশ,
এই বুঝি সাঙ্গ হবে সকল খেলা।
নিজেকে বড় অপ্রয়োজনীয় মনে হয়
দীর্ঘকাল টিকে থাকা বিরক্তিকর…
দীর্ঘায়ু তিক্ততা বাড়ায় বৈকি কমায় না।
আচ্ছা আমি চলে গেলে কি কেউ কাঁদবে?
শোকের মিছিল হবে কি?
কারো কি কষ্ট হবে?
তোমাদের জন্য সাজানো আছে অনেক বরণডালা।
এ ঘাটে নোঙর আর বাঁধতে চাই না।
আচ্ছা, পরপারে বিশ্বাস করো তো?
দূরে গেলে ভুলে যাবে স্বাভাবিক,
কিন্তু সেটা কি তোমার জন্য ঠিক হবে?
ভেবো না তোমাকে নিঃস্ব রেখে যাবো!
যেদিকেই তাকাবে, দেখবে আমাকে;
বইয়ের ভাঁজে ভাঁজে আমার গন্ধ খুঁজে পাবে;
দেয়ালে দেয়ালে সাজানো থাকবে আমার মিছে কায়া।
মনে করে নিও কিছু উল্টা-পাল্টা স্মৃতি,
সেটা নাই বা বলে গেলাম;
খেয়ালে বসে স্মরণে এনো।
অথবা ভুলে যেও!
আচ্ছা আমার জন্য কি তোমার নয়ন জল ঝরাবে?
না, ঝরবে না জানি।
মনের অজান্তে যদি পড়ে মনে,
দেখবে কতো কিছু তোমার জন্য রেখে গেছি।
ওদের আঁকড়ে ধরবে তো?
নাকি সেটাও তখন অপ্রয়োজনীয় মনে হবে?
চলে যাবো বহুদূর, গহীন কোনো অরণ্যে;
অথবা সুদূর নীলিমায়, যেখানে শঙ্খচিল খেলা করে ।
চিৎকার করে বলবো, ‘চলে যাচ্ছি দূরে, বহুদূরে’;
দূর থেকেই দেখবো তুমি আছো, তুমি আছো…
আরও পড়ুন কবিতা-
হৃদয়পটে
কবি ওমর আলী
দূরবর্তী তুমি একাত্তর
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
ভালোবাসার ঋণ