ভারসাম্যতা, আমার আমি
ভারসাম্যতা
বহুদিন পর দেখতে গেছি সবুজ ঘেরা পাহাড় চুড়া
একি দশা পাহাড় রে তোর, সর্বাঙ্গ আজ বসন ছাড়া;
তুই কি তবে বর্ণচোরা?
নেই যে কোথাও একটি চাড়া-
হবে না তোর ছায়ায় বসে সুখ-দুঃখের গল্প করা
ক্লান্ত পথিক গামছা পেতে বসবে বল তো কোথায় তারা…?
কেওড়া, সেগুণ,শাল গাছগুলো জড়িয়ে ছিল একে অন্য
রাত্রদিনে প্রেমবন্ধনে গলায় গলায় বিলিয়ে পুণ্য;
যা দেখে মন হতো ধন্য
কোথায় সেই সবুজ অরণ্য-
মনি ঋষি তোরই অঙ্গে, অঙ্গ মেখে হয় অনন্য
তোর প্রেমেরই পরশ পেতে ছুটে আসে এই নগণ্য…।
পাহাড় বলে তোমরা মানুষ চিড়ছো এ বুক তিলে-তিলে
পশুর চেয়েও হিংস্র ঘাতক হাজার কান্নায় মন না গলে;
গাছ কাটিছো ছলে-বলে
বুক ভাসে তাই লোনা জলে-
ময়না টিয়া গাছের ডালে নাচবে না আর তালে তালে
নিজেই নিজের মরণের ফাঁদ পাতছো নয় কি নিজের ভুলে..?
বাজপাখি বাঁধবে না বাসা সু-উচ্চ ঐ গাছের ডালে
হেরে গলায় ডাকবে না আর সঙ্গী সাথী সবাই মিলে
পাহাড় যারা খাচ্ছে গিলে
ছিঁড়ে ফেলবো তাদের পিলে-
রক্ষা করি এসো সবাই বন প্রকৃতি সবে মিলে
ফিরবে তবেই ভারসাম্যতা সুখ-শান্তি মানব কূলে…।
আরও পড়ুন মো: হাতেম আলীর কবিতা-
বিপরীত হালচাল
ন্যায়ের যুদ্ধ
কালের যাত্রী
আমার আমি
ভিক্ষার হাত ঘৃণার হাত
চোর ডাকাত,
ঘুষখোর;
করবো লড়াই এসো সবাই
দূরে তাড়াই-
জোচ্চোর।
লুটতরাজে ধাপ্পাবাজে
ধরকবাজে,
গিলছে দেশ;
ডেকে পুলিশ করলে নালিশ
উল্টো পালিশ-
হচ্ছি বেশ।
শিক্ষা বিদ্যা নেই মর্যাদা
নেই আলাদা,
শিক্ষার নূর;
উচিৎ কথা শুনলে ভ্রাতা
লাগবে তিতা –
মিষ্টি গুড়।
কত যে আশা হয় নিরাশা
হর-হামেশা,
জগত মাঝে;
দিলে প্রশ্রয় নেবে নিশ্চয়
ফাঁকির আশ্রয়-
নিজের কাজে।
বলছো সেকি! এমন ফাঁকি
দেখাও দেখি,
কোথায় কেউ !
ধর্মাবতার করুন বিচার
আমার ভিতর
তারই ঢেউ।
আরও পড়ুন কবিতা-
বিষণ্ন বাসন্তী বাংলা
বাংলার কৃষক
আকাশে ডানা মেলে
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
ভারসাম্যতা