ভয় নাই
ভয় নাই
মো. রমজান আলী খান
ভয় নাই ওরে ভয় নাই একুশে জাগ্রত বীর,
ক্ষয় নাই ওরে ক্ষয় নাই বইমেলার রেখ মনস্থির।
একতাবদ্ধ হও সকলে সাজো দামালের সাজ,
যতই আসুক সংগঠনের বাঁধা চালিয়ে যাও কাজ।
একুশে বইমেলা সম্পর্কে যদি কেউ দ্বিমত পোষণ করে,
বোঝাতে হবে সকলে মিলে গিয়ে তাদের ঘরে ঘরে।
বোঝাতে হবে সকলকে কেন হয় একুশে বইমেলা,
যেদিন বুঝবে করবে না কখনও বইমেলার অবহেলা।
বোঝাতে হবে একুশ মানে নাজিমুদ্দিনের হুংকার,
উর্দু-ভাষা বলবৎ রাখবে এই তার অহংকার।
বোঝাতে হবে একুশ মানে দুশমনের কালো হাতছানি,
ভাষা শহিদদের বাবা মায়ের বুক ভেজা চোখের পানি।
একুশ মানে রফিক, শফিক, সালাম বরকতের আত্মা,
বাংলা ভাষী সেনারা করেছিল যুদ্ধে মরণ যাত্রা।
একুশ মানে ভাষা শহিদদের বুকের তাজা খুন,
একুশ মানে ভাষা শহিদদের শোকাহত মা বোন।
একুশ মানে মাতৃভাষা বাংলাকে টিকে রাখা,
একুশ মানে ভাষা শহিদদের রক্তে রাজপথ ঢাকা।
একুশ মানে শত শত নারীর স্বামী হারানো বেদনা,
একুশ মানে শত শত বোনের ভাই হারানোর যন্ত্রণা।
একুশ মানে শহিদেদের রক্তের বিনিময়ে মা বলে ডাকি,
একুশ মানে মায়ের বুকে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে থাকি।
ব্যাঙ্গ করে কথা বলে যারা একুশের উপলক্ষ্যে,
বুঝতে হবে ওরা সবাই উর্দু ভাসীদের পক্ষে।
বাঙালির রূপ ধরে যারা নারী করে হরণ,
শহিদদের স্মরণে বইমেলাকে কেমনে করবে বরণ?
একুশে বইমেলার সংগঠকদের হতে হবে শক্তিশালী,
বোঝাতে হবে একুশ সম্পর্কে যার মনে আছে কালি।
আরও পড়ুন কবিতা-
অবচেতন মন
ভালোবাসি তোমায়
একজন পূজারী ও প্রণয়কাল
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে
ভয় নাই