ভবলীলা
ভবলীলা
জাহাঙ্গীর পানু
ছন্দ আমার পদ্য আঁকে
গল্প আঁকে ছবি,
বন্দি জীবন মুক্ত হয়ে
চিত্র আঁকে কবি।
রিক্ত হস্তে নিঃস্ব হয়ে
চলছে মহারথী,
চলার পথে বাঁকা পথে
বয়ে চলে নদী।
রং মেখে সং সেজে
চলছি মোরা সবাই,
পল্টি খেয়ে উল্টো রথে
স্রষ্টারে না ডরাই।
জ্ঞানে গুণী বুদ্ধিজীবী
সত্যবিহীন লড়াই,
শিক্ষা-দীক্ষা বিদ্যা-বুদ্ধি
তবে কেন বড়াই।
জীবন তরী বৈঠা হাতে
শুকনো নদীর পানে
দখিন বায়ু পাল তুলে
উজান গুন টানে।
সত্য রেখে মিথ্যে বলে
যাচ্ছে জীবন ভর,
বিদায় বেলা আসলে তবে
আপন হবে পর।
ধর্ম আছে কর্ম নেই
ইচ্ছে মতো চলে,
অন্যের কথা বলতে গিয়ে
ধর্মের কথা বলে।
ভব লীলা সাঙ্গ হবে
ডুববে জীবন তরী,
বুজবে শেষে আত্মা তখন
শেষ হয়েছে সবি।
অন্য লোকে মন্দ বলে
পিছনে ফিরে চাও,
মনের মাঝে সকাল সাঝে
স্রষ্টার গান গাও।
পূণ্য কর্মে ধন্য হয়ে
হৃদয় করো পূর্ণ,
পর পারে যাবে যখন
জীবন হবে ধন্য।
ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজে