বিপরীত হালচাল, হে মহা মহীয়ান, নীল-বেদনা
বিপরীত হালচাল
গুণী লোকের এই সমাজে
সম্মান নাই আজি;
দুষ্টু লোকের ফন্দী-ফিকির
বাড়ছে ধান্দাবাজি।
সদাচারের বড়োই অভাব
চলা ফেরায় পশুর স্বভাব-
অন্যের কাঁধে বন্দুক রেখে
দেশ দরদী সাজি;
কাজ-কর্মে’তে ফাকি দিয়েও
ভাবে কাজের কাজী…
সম্মান দিলে সম্মান মেলে
শুনছি চিরকাল।
এখন দেখছি সবই মেকি
বিপরীত হালচাল।
যাহার আছে অনেক টাকা
অহংকারে সে চলে বাঁকা-
সদায় ভাবে অন্যরা সব
ছোট লোকের দল।
আসল সম্মান তার’ই প্রাপ্য
বাঁকিরা মাকাল ফল…!
ছোটর মুখে বড় কথার
ফুটছে যেনো খই;
উলঙ্গ কৃষক মাথা ঠুকছে
পাকা ধানে’তে মই।
অসৎ লোকের পাল্লা ভারী
করছে কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি-
চোর পুলিশে সখ্যতা আজ
দেখছি সর্বত্রই;
সুশিক্ষা তাই ধ্বংসের মুখে
সিকেয় উঠছে বই…
আরও পড়ুন মো: হাতেম আলীর কবিতা-
পান পেয়ালা শূন্য
ন্যায়ের যুদ্ধ
কালের যাত্রী
হে মহা মহীয়ান
এই দৃশ্যপট নদী-সাগর মাঠ
অবাক চেয়ে রই ;
কি যে অপরূপ সৃষ্টি তোমার
তুলনা যে তার নাই।
ফুল থেকে ফল তার থেকে গাছ
গাছ থেকে ফুল মহা-কারুকাজ !!
মানব, দানব,পশুপক্ষী, মাছ
সৃষ্টি সর্বত্রই ;
ত্রিভূবনের ভারসাম্যতা ভার
তোমারই নিশ্চয়ই..
চন্দ্র-সূর্য, গ্রহানুপুঞ্জ, তারা
জমিন ও আসমান ;
তোমার ইশারায় যে যার পথে
সদায় ঘূর্ণায়মান।
থাকতো যদি দ্বিতীয়জন কেহ
দ্বিমত কি হতো না সৃষ্টি আবহ-?
তোমার মত এমন কারিগর
নেই যে অন্যজন ;
তুমিই সব কিছুর সৃ্ষ্টিকর্তা
হে মহা মহীয়ান…
উত্তপ্ত মরূ তার মাঝেও তুমি
প্রাণ কর সঞ্চার ;
হিমবাহে ঢাঁকা উত্তর মেরূতে
তুমিই দাও আঁধার।
প্রাণ থেকে কর প্রাণের সৃষ্টি
মেঘ থেকে ঝরাও শীতল বৃষ্টি-
জ্ঞান-বিজ্ঞানে জনম-জনম
করছে পরীক্ষা তার ;
আজও কি তারা দিতে পেরেছে
একটিও উপহার…?
নীল-বেদনা
স্মৃতিরা আমায়
কুঁড়ে-কুঁড়ে খায়
নীল-বেদনায়
অনবরত।
খুঁজে মরি হায়
স্মৃতির পাতায়
মন আঙিনায়
লুকিয়ে শতো।
ছিল এই হৃদে
ভালোবাসা খিদে
কোন অপবাদে
করলি পর ?
নিজের হাতেই
ভেঙে দিলি তুই
সাজানো এই
সুখের ঘর।
আমার এ ঘরে
ভরেছে আঁধারে
জ্বলে তোর ঘরে
ঝালর-বাতি।
দুঃখগুলো যত
বৃষ্টির’ই মত
হউক বর্ষিত
আমার প্রতি।
পথ-প্রতিকূল
হারায়ে দু’কুল
আঁখি ছলছল
বিরহে তোর।
হউক পূরণ
তোর’ই স্বপন
দোআ আমরণ
নিরন্তর।
আরও পড়ুন কবিতা-
প্রকৃতিতে হবো লীন
সাবাশ বাংলাদেশ
সময়ের দাবি
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
বিপরীত হালচাল