বিপন্ন সমাজ
বিপন্ন সমাজ
জাহাঙ্গীর পানু
আকাশে শুক্লা দ্বাদশীর চাঁদ
নীলাবরণ জোস্না ছড়ায়।
আষাঢ়ের জোস্না কখনও স্বচ্ছ কখনো আবার
মেঘের আড়ালে ঢেকে যায়।
ঝিঁঝিরা ডাকে কোন খেয়ালে কে জানে
হুতোম পেঁচার অপলক চাহনি
অনেক কষ্টের না বলা কথা
মনের গহীনে দাগ কেটে যায়।
ঝিরিঝিরি মৃদু হাওয়ায় মালতীর গন্ধ
শুনশান নিরবতা ভাঙে।
মানবতার বিমূর্ত চিৎকার শুনে
আৎকে উঠে ধরণী,
সমাজপতিদের নিপীড়ন আর অপরাজনীতির বলি হয়
পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী।
শিক্ষা-দীক্ষা আর সুস্থ সংস্কৃতির অঙ্গন
রাজাসন টিকে থাকার খাঁচায় বন্দি।
দূর্নীতির করাল গ্রাসে থমকে আজ মাতৃভূমির বেড়ে উঠা।
রাতের আকাশ ভারী হয়ে ওঠে ধর্ষিত
নারীর আর্ত চিৎকারে।
আইনের দরজায় কড়া নেড়ে নেই কোনো প্রতিকার।
বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদে!
সমাজের আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে বিচরণকারীরা আজ
আপন নৈতিকতার অভাবে আদিষ্ট।
জলসা ঘরের নর্তকীরা আজ রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারক।
বন্দিত্ব জীবন কাটায় আজ মানবতার মুক্তির প্রচারকরা।
সুশীল নামক মানবতার ধজ্বাধারীদের চোখে
ছানি পড়ে গেছে।
বিপন্ন সমাজ, চারিদিকে হযবরল অবস্থা
সুশাসন, সুবিচার, বাকস্বাধীনতা,
ভোটাধিকার, গণতন্ত্র সবই আজ নির্বাসনে।
উজির, নাজির, পাইক, পেয়াদা
নৈতিকতার শপথ ভঙ্গের প্রতিযোগিতায় সিদ্ধহস্ত।
গুমোট অন্ধকারে নিমজ্জতি দেশের মানচিত্র।
বাক ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা-
আজ এক কল্পিত স্বপ্ন।
কোন এক অজানা আশংকায় আমজনতা
আজ নিথর নিস্তব্ধ।