প্রেমের পদ্য-০৫
প্রেমের পদ্য-০৫
রেজাউল করিম শেখ
ছাব্বিশ
বহুদিন ও প্রার্থনা মন্দিরে সমবেত হই না আর
গাইনা সমস্বরে প্রার্থনা সঙ্গীত!
ও প্রেমিকজন-সদর্থক শব্দগুলো তুলে নাও কন্ঠে
হাতে তুলে নাও কৃষ্ণের মোহন বাঁশি
কাঁধে তুলে নাও কর্মিষ্ঠ কৃষকের লাঙল
আমরা আবার সমবেত হবো
সমস্বরে গাবো প্রেম-প্রীতি
আর রহস্যাবৃত রজনীর
রহস্য উন্মোচনী গীত!
সাতাশ
অরণ্যের ভেতরে অরণ্য
নদীর ভেতরে নদী
আমি আজ ঘুরিফিরি
ফেলে আসা শৈশবের-
গলিঘুঁচি।
অরণ্যের ভেতরে অরণ্য
নদীর ভেতরে নদী
আমি আজ খুঁজি শুধু
জলরঙে আঁকা এক
প্রেমিকার ছবি।
অরণ্যের ভেতরে অরণ্য
নদীর ভেতরে নদী
আমি আজ মগ্ন আছি
বুদ্ধের ধ্যান আসনে
শান্তিকে ভাবী।
বুদ্ধং শরনং গো”ছামি… অং শান্তি
অরণ্যের ভেতরে অরণ্য
নদীর ভেতরে নদী…
আঠাশ
লেখো না কেন পেছনে ফেলা আসা সোনালী দিনের গল্প!
অথবা খোঁজো না কেন বেদনায় পোড়া ঘর!
হাতের বুকে লুকিয়ে রাখা অজস্র জল কেন সিক্ত করে না কলম!
পুরোনো রুমালগুলো কেন হয় না স্মৃতির কঙ্কাল!
এখনো দেখো নির্জন বৃক্ষ কীভাবে খোঁজে প্রিয়তমা হাওয়াকে,
বিমর্ষ গন্ধম খোঁজে উদ্দাম আদম।
ঊনত্রিশ
আবক্ষ নিমজ্জিত মুখর সময়
পানপাত্রে শরাব ঢেলে বলছি তোমায়
গ্রহণ করো-এই পূর্ণিমায়।
জানো তো সব-
হাতের মুঠোয় পাওয়ার তো নয়!
তবুও তো হাত বাড়ালেই ধরতে পারো!
মন যদি চায়-আবার একটু বাসতে ভালো!
ত্রিশ
এইখানে মেঘ নেই কোনো
নেই কোনো জলের পাহাড়
দুখের বালাখানায় ফোটে না-
রজনীর শুভ্রতা ছড়ানো কামিনী
জোছনা, প্রিয়তমা! হাতের তালুতে দেখ;
এঁকেছি মুখ তোমার মরিচীকা মতো।
জানি, তুমি অরুন্ধুতি নও কোনো
না হবে কোনোকালো দূর্গতিনাশিনী
অথবা ভেলায় ভেসে যাওয়া স্বর্গগামী বেহুলা
তবুও ডাকি;
কাছে এসো, জয় করি!
একত্রিশ
ধরো, তোমাকেই বললাম: ভালোবাসি
ধরো, তোমাকেই বললাম: কাছে আসি
অথবা, ভালোবেসে কাছে এসে
জড়িয়ে ধরে দিগন্তের রেখায়
চোখ রেখে বললাম: পৃথিবীটা আমাদের স্বর্গভূমি।
বত্রিশ
দিন সব মরে গেলে
জেগে থাকে রাতের পাখি
ডাহুক! প্রাণের বন্দনা করো
আবেগ আর উ”ছ¡াসে
নির্জলা জীবন আমাদের
ভরিয়ে তোলো,
দেখো, ক্রন্দনে ক্রন্দনে
জেগে উঠবে একদিন
শুষ্ক পুষ্প উদ্যান
ঊষর মরু প্রান্তর
আর
আমাদের সারমেয় সংসার।
আরও পড়ুন-
প্রেমের পদ্য-০১
প্রেমের পদ্য-০২
প্রেমের পদ্য-০৩
প্রেমের পদ্য-০৪
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
প্রেমের পদ্য-০৫