প্রেমের পদ্য-০২
প্রেমের পদ্য-০২
রেজাউল করিম শেখ
নয়
কে কবে কার বেদনার ঘর
পুঁড়িয়েছে হৃদয়ের নীল আগুনে?
বেদনার লেলিহান শিখায়
কে তাপ নেয় পৌষের শীতে?
চৈত্রের কোনো একদিন-
কাঠ ফাটা রোদে দুঃখগুলো শুকিয়েছি।
নীল পদ্ম পাতায় জল ঢেলে
প্রজাপতি করে উড়িয়েছি দুঃখের ফসিল।
সোনালী, আর কত দুঃখ হবে
আর কত বেদনা হবে ফড়িংয়ের রঙে?
দশ
সদ্য ফোটা গোলাপে মূহ্যমান প্রেমিক
আলো-আঁধারের ব্যবধান ঘুঁচে যদি বেরিয়ে আসে
কোকিলের আর্ত স্বর-হরিণীর আর্ত স্বর কিম্বা
ছায়াহীন সমুদ্র তটে ভেসে ওঠে কোনো শুশুক—
তুমি কি তোমার প্রবল জলোচ্ছ্বাসে
ভাসিয়ে নেবে!-
ভাসিয়ে নেবে, আমার ডিঙি নাও?
এই তো সেদিন, তোমার হাতে হাতটি রেখে,
স্বর্ণকমল-পদ্মফুল খোঁপায় গুঁজে—
বললাম আমি বৃক্ষ নীড়ে
পাহাড় যেমন নদীটিকে
বাসছে ভালো নিবীড়ভাবে।
তেমন না হোক
মুক্ত ডানার পাখির মতো
উড়তে দেবো নীল আকাশে !
এগারো
কে কার হৃদয়ের খোঁজ রাখে,
অন্ধকার নেমে এলে পৃথিবীর পরে?
স্বর্গবাসী যদিবা মেলে অস্ফুট তারাটির কোলে,
তাতে কার কী আসে যায়? মৃয়মান চাঁদ যদি না থাকে !
এইসব গান ভুলে—
আমরা আমাদের দর্প বলে বলে ফেলি অসম্ভব সত্য কথন;
কে কার ঘরে ঢোকে অন্ধকারে।
অথচ এ কথা মোহন প্রেমিকও জানে—
একটা গাঁধা আর ঘোড়া খায় না জল এক ঘাটে।
তবুও যারা নিত্য কলপে ব্যস্ত কেশদামে—
তারাও বলে, মৃত নারী যদি হয় প্রসবিনী…!
আমরা হাসি—খেলি চৈতালীর খোলা মাঠে—
হাঁস আর হাঁসিনীর সাথে।
বলি—সত্যরা বিকিয়ে যায় সত্যবাবুদের থালে !
বারো
দু:খ জাগানিয়া কোনো পাখির গান শোনার জন্য জেগে থাকি অহর্নিশ।
ঝিঁঝিঁ পোকা, তেলাপোকা, টিকটিকি আর মেটে ইঁদুরের চলাচলের পথ চেয়ে থাকি;
কবে কোন ভোরে জেগে উঠবে এই পথে পোড়া বাঁশীর সুর তুলে হারানো সুদিন।
সমতার অসীম বেদনায় যে নদীর জল ফুলেফেঁপে ওঠে,
ঝরে যায় নির্নিমেশ কান্নায়।
আমি কি তার কোনো সন্ধান পাবো কোনোদিন এ অন্ধকার আলোহীন রাতে?
দিনের কায়ক্লেশে চাঁদের যে দহন দেখেছি তাতেও তো নেই তার কোনো ছাপ!
আরও পড়ুন-
প্রেমের পদ্য-০১
প্রেমের পদ্য-০৩
প্রেমের পদ্য-০৪
প্রেমের পদ্য-০৫
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
প্রেমের পদ্য-০২