নীরবতার খোলস ভেঙে, উন্মুক্ত হলো বৃত্তাবদ্ধতা
নীরবতার খোলস ভেঙে
ফজলুল হক
ভাবনার অভিপ্রায়ে
মনের গহীনে বড্ড খচখচে ব্যথা
অনুভূত হয় থেমে থেমে
বহ্নিশিখার মতো জ্বলে সেতো অহর্নিশ।
আমি জীবিতও নই,মৃতও নই
ডুবেডুবে ভেসে থাকা প্রাণহীন এক প্রাণ
তবুও আমায় উঠালে চিতায়!
আমি নিষ্পাপ নই,অপরাধীও নই
লুণ্ঠিত তোমার মন আমার হৃদয়ের ছোঁয়ায়,এটুকুই অপরাধ!
তাইতো আজ বিচারের মুখোমুখি।
চেয়ে দেখো সেই স্বপ্নপথ,স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে
স্মিতহাস্য স্বপ্নেরা আজ কতো মলিন দ্বিধা আর দ্বন্দ্বে,
তবু যেনো ওষ্ঠের কাছাকাছি স্বপ্নের কপোল
শুধুই অপেক্ষা ছুঁয়ে যাওয়ার।
আমি কিশোর নই,বৃদ্ধও নই
যৌবনের বেড়াজাল ছিন্ন করা এক অভিযাত্রী,
জোয়ারের বিপরীতে যার এখনও অবাধ সাঁতার
হাজারো জরা-যন্ত্রণায় এখনও যে সতেজপ্রাণ,
তবুও মনের আঙিনায় খটখটে শব্দ ভাঙা জানালার।
আমি হতাশাকাতর নই,প্রত্যাশাায় বাঁধি বুক প্রতিদিনের ন্যায় আজও,
ভয়ার্ত অন্ধকারে এখনও দেখি সেই জোছনাস্নাত মুখ
ভালোলাগার নিবিষ্ট আবেশে।
ভুলে যাওয়া ভাবনার গ্রাসে যদি তুমি মেতে ওঠো
তবুও নিরবতার খোলস ভেঙে অবারিত ভাবনার দ্বারে দীর্ঘশ্বাসের ঘ্রাণ নিও
চেয়ে দেখো পিছন পানে,
সেই তুমি সেই আমি আজো যেনো মুখোমুখি,মাখামাখি।
তারপরও যদি ভুলে যেতে চাও
যেতে পারো অবলিলায়,
পুরানো পথেই হবে আমার চলাচল।
আরও পড়ুন ফজলুল হকের কবিতা-
তোমার ভালোবাসা
প্রশ্ন তোমাকে
রোদনের নীলজল
উন্মুক্ত হলো বৃত্তাবদ্ধতা
অনেকদিন পরে দেখা,
বুঝিয়ে দিলে
আঁধারে ডুবে যায়নি প্রথম দেখার বিশ্বাসী ছোঁয়া।
সময়ের ডানায় ক্লান্ত সূর্য গোধূলিতে জমা হতে লাগলো,
ইচ্ছেরা অষ্টাদশী প্রেমিকার মতো চঞ্চল হয়ে উঠলো
কথায় কথায় হারিয়ে গেলাম,
কিঞ্চিত ভালোলাগা ভালোবাসায় পরিবর্তিত হলো।
অগনন সময় কেটে গেলে কী এক ভাবনায়!
মনের নিকানো উঠোনে ছড়িয়ে দিলাম স্বপ্ন বীজ,
ভরসার পুকুরটা ধীরে ধীরে ভরে উঠলো সুষম জলে।
উভচর জীবন
কিছু প্রশ্নবোধক এঁকে গেলো পিছন থেকে সামনে,সামনে থেকে পিছনে!
অভিমান ছুঁয়ে গেলো রাতের শরীরে।
প্রভাতের আলো ফোটে কুয়াশা চাদর ভেদ করে,
হেমন্তের ফোঁটা ফোঁটা শিশিরও জানে
আমার শুধু একটাই চাওয়া।
কার্ণিশে ঝুলানো খাঁচাটার দরজা দিলাম খুলে..
উন্মুক্ত হলো বৃত্তাবদ্ধতা।
আরও পড়ুন কবিতা-
হালচাল
বাদল দিন
স্বাধীনতার সাধ
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে