নিঃসঙ্গতা
নিঃসঙ্গতা
জাহাঙ্গীর পানু
তোমাকে তুমি বলার অধিকারটি দাওনি কখনও
আচমকা কোন এক মধ্য রাতে
তোমার দরজায় কড়া নেড়ে ডেকেছিলুম তুমি বলে
নিবিড় একনিষ্ঠ চিত্তে তাকিয়েছিলে অনেকক্ষণ
রাগ না অভিমান বুঝতে পারিনি সেদিন
তারপর থেকে একটু আধটু করে তুমি বলা শুরু
আসলে উদ্ধত যৌবনের দিনগুলোতে
সমবয়সী কোন রমণীকে তুমি বলার মধ্যে
মনের ভিতরে অসম্ভব ভাললাগা কাজ করে
সেটা বর্ণাতীত ব্যাপার।
তারপর কেটে গেছে অনেকদিন
স্বপ্নের মায়াজাল বোনা বেদনাতীত দিনগুলো
কল্পনায় ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বহুদূর
পৌরাণিক চরিত্রের কাল্পনিক নায়কের মতো
সুবিশাল প্রশস্ত দুবাহু ছড়িয়ে ডেকেছি
উন্মুক্ত বক্ষে জড়িয়ে নিয়েছি মৌমিতার সুগন্ধি
তোমার শরীরের সোঁদা গন্ধে হারিয়ে গিয়েছি
ক্ষণকালের জন্য।
এমন সুগন্ধ পৃথিবীতে কোন ফুলের মধ্যে
আমি খুঁজে পাইনি।
অবারিত সে দিনগুলোর কথা
আজও মনে পড়ে বিরহী সুরে।
গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে দেখি শুক্লা দ্বাদশীর চাঁদ
একরাশ সোনালী জোস্না ছড়িয়ে
নিঃসঙ্গ একাকী বসে আছে দূর আকাশে
অভিমানী তারাদের সঙ্গী করে।
দুচোখের সীমানা অতিক্রম করে মনের চোখ
চলে যায় আরো দূরে বহুকাল দূরে
যেথায় আমরা দুজন ছিলাম
ভালবাসার রঙমহলে অনাদিকালের প্রবৃত্ত চিত্তে
আজও সময়ের কল্পনায় স্পষ্ট শুনতে পাই
তোমার পায়ের পদধ্বনি ।
তোমার শরীরের উত্তপ্ত নিঃশ্বাস খুঁজে ফিরি
পথচলার মাটির সোঁদা গন্ধে।
আরও পড়ুন কবিতা-
ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজে
নিঃসঙ্গতা