দোয়েল পাখি, নির্ঘুম রাত কাটে, সেই ছেলেটি
দোয়েল পাখি
দোয়েল পাখি,
ভোরের আলো ফুটতে
না ফুটতেই তোমার
উপস্থিতি অনুভব করি
ভোরের অন্ধকারে,
তুমি অদ্ভত চঞ্চলা
পলে পলে এ গাছে
ও গাছে-
আমার বাড়ির আঙিনায়
তোমার ফুরুত ফুরুত
পাখনার শব্দ
প্রতিদিন কানে বাজে –
আমি অপলক চেয়ে থাকি
তোমার ধূসর কালো
চঞ্চল দুটি ডানার দিকে।
প্রকৃতির কোলে তুমি
অনিন্দ্য সুন্দর এক
তিলক রেখা-
আলকুশি গাছটায়
প্রতিদিন তোমায় দেখি
সকাল সন্ধ্যায়।
তোমাকে ভূষিত করেছি
জাতীয় পাখির
বিশাল উচ্চ মর্যাদায়
জাতীয় জীবনে তুমি
এক নতুন অধ্যায়-
তোমাকে প্রতিদিন দেখি
আলকুশি গাছটায়।
ভোরের আলো ফোটার আগে
তোমাকে চিরদিন দেখতে চাই –
আমার বাড়ির আঙিনায়
চিরচেনা আলকুশি গাছটায়।
আরও পড়ুন কবি পথিক জামানের কবিতা-
দোয়েল পাখি
প্রেমের পরশ
রহস্যের সন্ধান
নির্ঘুম রাত কাটে
এখন আমার নির্ঘুম রাত কাটে।
লীলাবতী,
তাতে অনেক ক্ষতি হয়েছে আমার।
গত ফাল্গুনে তোমার দেয়া গোলাপটিতে
বুঝি বিষ ছিল,
আর নইলে বিষাক্ত কাঁটা ছিলো তাতে,
লাল রক্ত ঝরছে দিনে রাতে
তাই অব্যক্ত বেদনায় আমি
নীল হয়ে উঠি,
পাই না ছুটি এ বেদনার বিষাক্ত
বন্ধন থেকে,
তাই ওঠে বেঁকে সমস্ত শরীর
তীব্র যন্ত্রণায় ।
মধুর পরশে নতুন হরষে মেতে
উঠেছিলাম দু’জনায়।
নতুন স্বপ্নের বাসর রচিত
হয়নি আর ভেনাসের
কুমন্ত্রনায়।
তাই এই কঠিন পরিণতি, অজস্র ক্ষতির
চিহ্ন বহিছে এ ভগ্ন হৃদয়।
সেই ছেলেটি
সেই ছেলেটি যে তোমার জন্য
ছিল পাগলের মত,
পথের ধারে প্রায়ই বসে থাকতো
ঘন্টার পর ঘন্টা,
কখন তুমি আসবে বলে।
ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে
গভীর আগ্রহে নিয়ে বসে থাকতো
বুড়ো বটের তলায়।
মনে মনে স্বপ্নের জাল বুনতো
কবে তুমি তার হবে, এই আশায়।
ছেলেটি যে সত্যি তোমাকে
মনো-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতো
এবং এখনো বাসে,
সেটা হয়তো তুমিও স্পষ্টই
বুঝতে পেরেছিলে।
আহা, এভাবে কতকাল কেটে গেল
দিন ক্ষণ গুণে-
কখনো যে তুমি তার হলে না-
এ বেদনা ছেলেটি এখনো বুকে বহন করে চলেছে
ভারবাহি পশুর মত।
তুমি হয়তো খেয়ালই করনি,
ছেলেটি তোমাকে কত ভালোবাসে
অথবা বুঝলেও না বোঝার ভান করেছ।
ছেলেটি জানে তুমি আর কখনই তার হবে না,
তারপরেও কী ভেবে যেন
তোমার পথ পানে চেয়ে থাকে
সকাল-বিকাল শুধু তোমার আশায়।
আরও পড়ুন কবিতা-
সময়ের দাবি
বসন্ত কোকিল
স্মৃতি ছায়া
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
দোয়েল পাখি