তৃষ্ণা; amadersujanagar.com
কবিতা,  সাহিত্য

তৃষ্ণা, অকাল মরণ, করো দীর্ঘজীবী

তৃষ্ণা

অঞ্জলি ভৌমিক

 

পাখ পাখালির তৃষ্ণার ঠোঁট
জল নাই নদী তীরে,
সব নদী জল বাষ্পে উড়িয়ে
মেঘ ফিরে গেছে নীড়ে।

জলের সাথে মধু মিলনের
দিন গুনে তবু পাখি,
ছন্দে ছন্দে জোষ্ঠ্যের কালে
আনমনে যায় ডাকি।

ভরা পূর্ণিমা ভরা যৌবন
মরে মরে ফের বাঁচে,
মেঘ ফিরে আর আসে না বুকের
বামপাশটার কাছে।

রোদেলা দুপুরে ঘুম বেঁচে পাখি
আঙিনায় যাচে জল,
নদীর গভীরে ক্ষত করে আনে
বৃষ্টি ছলাৎ ছল।

 

অকাল মরণ

ইচ্ছে করে দরজা খুলে
আকাশটাকে লুকাই ঘরে,
বাতাসটাকে যত্ন করে
হাতের মুঠোয় রাখি ভরে।

ইচ্ছে করে স্বপ্ন হাজার
বিলিয়ে দিতে তাদের মাঝে,
স্বপ্ন যাদের চোখের পাতায়
পড়েই থাকে সকাল সাঝে।

ইচ্ছে মনে -সব আঁধারে
জোছনা রাতের আদল গড়ি
সব শহরের চিপাগলি
ইচ্ছে দারুণ আলোয় ভরি।

ইচ্ছে অগাধ সাজিয়ে দিতে
নতুন কুঁড়ির ফুলেল জীবন,
ইচ্ছে করে এক নিমিষেই
বন্দী করি অকাল মরণ।।

 

করো দীর্ঘজীবী

একটা পাখি দক্ষিণ ঘরে
একটা পাখি উত্তর
একটা পাখি জেগে ঘুমে
স্বপ্ন দেখে দিনভর।

একটা পাখি গান গেয়ে যায়
একটা পাখি কাঁদে
একটা পাখি নতুন করে
পড়ছে ধরা ফাঁদে।

একটা পাখি জন্ম থেকে
একলা গৃহ বন্দী
একটা পাখি মৃত্যু পথে
বাঁচার করে ফন্দি।

একটা পাখি মরছে কাছে
সঙ্গী ভয়ে দূরে
একটা পাখি মুখোশ পড়া
যায় না চেনা সুরে।

একটা পাখি সুখের রোদে
বাঁচে মহা সুখে
একটা পাখির দারুণ ক্ষিদে
পায় না খাবার মুখে।

সব পাখিকে বাঁচাও তুমি
করো দীর্ঘজীবী
নতুন সুরে সাজিয়ে দাও
পুরাতন পৃথিবী।

আরও পড়ুন কবিতা-
প্রেমের পদ্য
রোদনের নীল জল
প্রকৃতি আমার ভালোবাসা

 

 

ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলফেসবুক পেইজে

তৃষ্ণা

Facebook Comments Box

অঞ্জলি ভৌমিক মূলত ছড়া ও কবিতা লেখেন। এছাড়া তিনি একজন বাচিকশিল্পী। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: মনে পড়ে লক্ষ কোটি বার। তিনি ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত রাণীনগর ইউনিয়নের বাঘুলপুর গ্রামের পুত্রবধূ তিনি।

error: Content is protected !!