চাওয়ার কিছু নাই, ঘুষ
চাওয়ার কিছু নাই
নেংটি পরে ঘুরে বড়ায়
মুখেতে নাই দাড়ি,
বিয়ের সময় পাত্রী খোঁজে
পর্দানশীল নারী।
মা হেসে কয় আমার ছেলে
মাটির মতো শান্ত,
আনবো ঘরে ফর্সা মেয়ে
জেনে আদ্যোপান্ত।
যে জন দেবে মোটা গয়না
অনেক টাকা পণ,
অনেক ভালোবাসবে তারে
আমার আপনজন।
মেয়ের বাবা হেসে বলেন
নামাজ পড়ে ছেলে?
মাঝে মধ্যে পড় নামাজ
যদি সময় মেলে।
তবে ভাইজান একটা কথা
আমার ছেলে ভালো,
যদি একটু বাড়িয়ে দেন,
হোকনা মেয়ে কালো।
ছেলে নেশা করে না- কি?.
জান্তেতো নাই মানা,
আর কী করে ছেলের বাবা?
পারিস যদি জানা।
ছেলের মায়ে বললো রেগে
মুখটা করে বাঁকা,
নামাজ রোজায় ঢিলা হলেও
ঈমানটা তার পাকা।
বড়াই করে বলতে পারি
কী আর কবো ভাই,
এমন ছেলে জানা মতে
এ তল্লাটে নাই।
যদি পারেন রঙিন টিভি
একটা মোটর গাড়ি,
সাধ্য মতো সাজিয়ে দেবেন
ছেলের বাবার বাড়ি।
আর কিছু নাএকটা পালং
ও-তো এমনি পাই,
আর দুইটা বালা দেবেন
চাওয়ার কিছু নাই।
আমার মেয়ের বিয়ের সময়
অনেক দিবার আশা,
বাড়ি ভাড়া বাকি আছে
ছাড়তে হবে বাসা।
এসব শুনে মেয়ের বাবা
ধপাস করে পড়ে,
বিয়েই আমার কিপটে অতি
কিপটেপণা করে।
এমন দাবি করতেই পারি
এমন কী আর বেশি ,
এসব নিয়ে দুইয়ের মধ্যে
চলছে রেষারেষি।
মেয়ের বাবা কিপটে অতি
কী আর কবো ভাই ,
অবশেষে খবর পেলাম
বিয়েটা হয় নাই।
ঘুষ
সবখানে ঘুষ,খাচ্ছে মানুষ
অফিস আদালতে বাসায়,
না দিলে ঘুষ হয়ে অমানুষ
চেয়ারেতে বসে শাসায়।
না দিলে টাকা,
ঘোরে নাকো চাকা
লাল ফিতার ফাইলের,
বহুদিন ধরে অফিস ঘুরে
চোক্ষে দেখেছি ঢের।
মুখে চাপ দাড়ি
কথা কয় ভারি
মিষ্টি মিষ্টি করে,
বয়সেতে দাদু
সেজে থাকে সাধু
টাকায় পকেট ভরে।
স্বর্গের আশায়
ফজরে এশায়
আল্লাহ আল্লাহ জিকির,
আলিশান বাড়ি
কিনিয়াছে গাড়ি
করিয়া ফন্দি ফিকির।
গোলটুপি পরে
ঘুষ খাও জোরে
সুন্নতি বেশ গায়,
ভাবি মনে মনে
খোদার জমিনে
মানুষ চেনাও দায়।
হায়রে মানুষ
রঙিন ফানুস
কীসের এত লোভ?
হয়েছে গাড়ি
বহুতল বাড়ি
তাও মনেতে ক্ষোভ?
দুইদিন পরে
আলোহীন ঘরে
সবাইকে যেতে হবে
বেহুশ মানুষ
ঘাস কেনো ঘুষ
সেদিন সাথে কে রবে?
ডোবে নাই রবি
বলতেছে কবি
মনে রেখো বারে বার,
হায়রে মানুষ
রঙিন ফানুস
খাসনাকো ঘুষ আর।
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
চাওয়ার কিছু নাই