কেয়ামত
কেয়ামত
এ এফ এম মনিরুল ইসলাম তরুন
পরনের পোশাক খুলে করবে বিবস্ত্র
গোসল শেষে পড়াবে কাফন, সাদা রঙের বস্ত্র।
আতর গোলাপ সুরমা মেখে অবস্থান খাটিয়া
প্রিয়জন ফেলবে চোখের জল, পাশেতে বসিয়া।
হারাবে প্রথম বাবা-মায়ের দেয়া, অস্তিত্বের নাম
“লাশ” হয়ে থাকবে শুয়ে, মুছে যাবে স্বনাম।
বংশ গোত্র সকল পরিচয়, সকল পদমযার্দা
সব কিছুই বিলীন হবে, ছিলো যা দুনিয়ায় সর্বদা।
অনেক লোকের সমাবেশ ঘটবে, সামনে রাখবে লাশ
জানাযা শেষে কাঁধে তুলে, বিদায় করবে নিবাস।
আত্মীয় স্বজন প্রতিবেশি যারাই পাবে খবর
নিবাস থেকে রওনা দিবে, দিতে লাশের কবর।
বাবা-মা জীবন-সঙ্গী সন্তান বন্ধু-বান্ধব
বিত্ত চিত্ত সবই হারাবে, এটাই অতি বাস্তব।
দাফন শেষে অস্তিত্ব নিয়ে, চলবে জল্পনা-কল্পনা
সম্পদের ভাগ বাটোয়ারা, করবে পরিকল্পনা।
ব্যক্তিগত সকল সম্পদে, হারাবে অধিকার
সবকিছুই হবে তছনছ, হবে একাকার।
ব্যবহার্য্য জিনিস পত্র, থাকবে কিছুদিন
হয়তোবা পরিশোধ করবে, থাকে যদি ঋন।
খাওয়া দাওয়া কাজকর্ম বন্ধ রবে না
প্রিয়জনের ছুটে চলা থেমে যাবে না।
অসমাপ্ত কাজগুলো করবে অন্যজন
দায়িত্ব পালনে ব্রত হবে করবেনা কেউ বারণ।
ধনসম্পদ ওয়ারিসদের মাঝে, হবে বন্টন
এটাই দুনিয়ার বিধান, আইনের খন্ডন।
এই দুনিয়ায় জীবনটা, অতি তুচ্ছ
পরকালের সময়টাই, সঠিক জীবন-গুচ্ছ।
ছোট বড় অনুপরিমাণ কিয়দংশ, সবকিছুরই হিসাব
এদিক সেদিক হলে পরেই, শুরু কবরের আজাব।
সব কিছুই হারালেও, থাকবে শুধু আমল
বেঁচে এখনো আছো যখন, হও আল্লাহর পাগল।
মহান আল্লাহর সৃষ্টিশীলতায়, সৃষ্টি সকল নেয়ামত
সব কিছুরই সমাপ্তি হবে, হবে যেদিন কেয়ামত।
আরও পড়ুন কবিতা-
শ্বাশত বাণী
স্বপ্ন ও স্বাধীনতা
প্রেমিকের প্রতিদান
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
কেয়ামত