কেশবতী প্রিয়ংগনা, আমার কবিতার রাণী
কেশবতী প্রিয়ংগনা
কেশবতী প্রিয়ংগনা,
তুমিতো সন্ধ্যাকাশের
শুকতারার চেয়েও সুন্দর।
তুমি অসীম আকাশে
একাকী জেগে থাকা
পূর্ণিমার চাঁদের মতোই উজ্জ্বল,
কিন্তু আমার আকাশতো
এখনো ঘোর অন্ধকার।
এখানে আর চাঁদ ওঠেনা,
তারাও ফোটেনা
বহেনা মৃদুমন্দ বাতাস,
ডাকেনা বসন্তের কোকিল
ফোটেনা লাল কৃষ্ণচূড়ার ফুল
ভরা বসন্তেও।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে এদিক সেদিক চাই,
কত লোক আসে
কত লোক যায়,
শুধু তুমি নাই তাদের ভিড়ে।
প্রতীক্ষার প্রহরগুলো
হতাশায় শুধু দীর্ঘতরই হয়,
আশার আলো ফোটেনা আর
এ প্রতীক্ষিত জীবনে আমার!
আরও পড়ুন কবি পথিক জামানের কবিতা-
বারবার ফিরে আসি
ঝড়ের পূর্বাভাস
ভালোবাসি যারে
সুখের সন্ধান
আমার কবিতার রাণী
কোন এক ফাগুনে
তুমি এসেছিলে আমাদের পাড়া গাঁয়,
শিমূলের ডালে ডালে,
লেগেছিল ফাগুনের আগুন,
ঘুঙুর বেজেছিলো, রাঙা দুটি পায়।
ডাগর দুটি আঁখি ঠোঁটে বাঁকা হাসি,
মিশকালো জোড়া ভুরু,
যৌবন উছলিয়া পড়ছিল বিজলীর প্রায়,
ভালোলাগা সেই বুঝি শুরু।
সেই যে আলপথে, এক সাথে টিকি-টিকি
হেলে দুলে চলা,
হেসে হেসে কুটি কুটি ঢলে পড়ে ভাবিদের গায়,
কানে কানে কিছু বলা।
কোন এক ফাল্গুনে এসেছিলে তুমি
তা ঠিক মনে নাই,
সেই হাসি, সেই গান, কত ভালোলাগা
এখনো অন্তরে তার অনুভব পাই।
আহা! কত গান, কত সুর ছিল
তোমার ঐ প্রাণে,
আমি তোমায় স্মরণ করি এখনো সুন্দরী
আমার রচিত গানে।
গান লিখি, কবিতা লিখি কত কিছু
লিখি বসে আমি,
তুমি জাননা, তুমি আমার কবিতা,
আমার কবিতার রাণী।
তারপর কতকাল কেটে গেল আমার
বিরহ ব্যথায়,
কারো কি কিছু আসে যায় তাতে?
আমার সে ব্যথার কথায়?
তোমার মধুর হাসি, তোমার সুরেলা কণ্ঠ
ভোলা যায় না,
তাই তুমি ছাড়া এ হৃদয়ে
আর কেউ ঠাঁই পায় না।
এই দেখ না কতদিন, কতকাল
বাঁধিয়াছি ঘর,
তুমি আমার আপনই আছ, আপনই
হয়ে আছে পর।
আরও পড়ুন কবিতা-
সময়ের দাবি
বসন্ত কোকিল
স্মৃতি ছায়া
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
কেশবতী প্রিয়ংগনা