কাসিমুল উলুম মাদ্রাসা এতিমখানা
কাসিমুল উলুম মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের সাগরকান্দি গ্রামে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সাগরকান্দি মাদ্রাসা ও এতিমখানা নামে পরিচিতি লাভ করে। এটি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত যার নিবন্ধন নং ৬৭২।
এক নজরে কাসিমুল উলুম মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং-
•ধরন: জনগণের অর্থে পরিচালিত।
•স্থাপিত: ২০০০ ইং
•তত্ত্বাবধায়ক: শায়খুল হাদিস মুফতি মঞ্জুরুল আলম ও বিশিষ্ট মুহাদ্দিস মুফতি শরিফুল ইসলাম।
•প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক: মাওলানা কাজী নাজমুল হুদা
•শিক্ষার্থী: আবাসিক ও অনাবাসিক ৪০০+
•ঠিকানা: সাগরকান্দি (সুলতান গেট), সুজানগর, পাবনা।
•ভাষা: বাংলা, আরবি, ইংরেজি, উর্দু ও ফারসি।
অবস্থান: পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের সাগরকান্দি গ্রামে কাসিমুল উলুম মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং অবস্থিত। ৩ কিলোমিটার উত্তরে পদ্মা নদী, পূর্ব দিকে ১২ কিলোমিটার দূরে (কাজিরহাট) যমুনা নদী, ১৮ কিলোমিটার দূরে কাশিনাথপুর।
প্রতিষ্ঠাকালীন ইতিহাস: সাগরকান্দি ইউনিয়নের আলহাজ্ব কাজী নুরুল ইসলাম সাহেবের বড় ছেলে মাওলানা কারী নাজমুল হুদা সর্বপ্রথম এই মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে। তার উদ্যোগে সাড়া দিয়ে মাস্টার শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ তালহা, মোঃ রোকন উদ্দিন, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা মাহফুজ একাত্মতা পোষণ করেন।
প্রথমেই মাওলানা নাজমুল হুদার পরিচালনায় স্থানীয়দের কাছ থেকে কিছু অর্থ সংগ্রহ করে মাদ্রাসার জন্য আলহাজ্ব কাজী নুরুল ইসলাম সাহেবের দানকৃত জায়গায় মাটি ভরাট করা হয়। স্থানীয় অনেকের সহযোগিতায় একটি টিনের ঘর তৈরি করা হয়। মাওলানা আফজাল হোসাইন কাসেমী সাহেব ঘর উদ্বোধন করেন।
আর পড়ুন উলাট সিদ্দিকীয়া (ডিগ্রী) মাদ্রাসা
অবকাঠামো: জনসাধারণের সহযোগিতায় অত্র প্রতিষ্ঠানের ১৬২ ফিট ভবনের ৪তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে নির্মাণ কাজ চলছে (বর্তমানে দোতালার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছে)।
বিভাগসমূহ:
✪নূরানী কিন্ডারগার্টেন (অনাবাসিক)
✪নূরানী
✪মক্তব
✪নাজারা বিভাগ
✪হেফজুল কোরআন বিভাগ
✪হেফজ রিভিশন বিভাগ
✪কিতাব বিভাগ
✪জামাতে নাহবেমীর পর্যন্ত
সহশিক্ষা:
✔ছেলেদের জন্য বালক শাখা আর মেয়েদের জন্য বালিকা শাখার ব্যবস্থা আছে (বালিকা শাখা মহিলা শিক্ষিকা দ্বারা পরিচালিত)। ✔নিয়মিত খেলাধুলার ব্যবস্থা আছে। যেমন ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন।
✔বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হামদ নাত, কেরাত, আজান প্রতিযোগিতা ও পুরস্কারের ব্যবস্থা আছে।
✔বাৎসরিক শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা আছে।
পোষাক পরিচ্ছেদ
পোষাক:
☞ মাদ্রাসার পক্ষ থেকে প্রতিবছর ছাত্রদের পোশাক দেওয়া হয়।
☞গোল জোব্বা, পাগড়ী, ঢোলা পায়জামা ছাত্রদের পোশাক (টাইট ফিটিং পায়জামা ও পাঞ্জাবি ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধ)।
শিক্ষকমণ্ডলী:
১. মুফতি মঞ্জুরুল আলম (তত্ত্বাবধায়ক)
২. মোহাম্মদ তালহা (মুহতামিম)
৩. মুফতি শরিফুল ইসলাম (শিক্ষা সচিব)
৪. মুফতি আ. হালিম
৫. মুফতি আবু হোরায়রা
৬. মুফতি রফিকুল
৭. মাওলানা ফরহাদ
৮. মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান
৯. মাওলানা আলমগীর
১০. হাফেজ এনামুল
১১. হাফেজ আমির হামজা
১২. হাফেজ জাকারিয়া
১৩. হাফেজ আজিম
১৪. মাওলানা সাব্বির
১৫. রোকনুজ্জামান
১৬. আ. কবির
১৭. সোহেল
১৮. মহিলা শিক্ষক চারজন
অত্র মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রথম প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম ছিলেন মাওলানা ইউনুস শিকদার।
কমিটি: অত্র মাদ্রাসাটি বাংলাদেশের স্বনামধন্য আলেমেদ্বীন আল্লামা শাহ সালাউদ্দিন (হাফিজাহুল্লাহ তাআলার), মহাপরিচালক জামিয়া ইসলামিয়া ওবায়দিয়া নানুপুর (চট্টগ্রাম) এর পরামর্শে পরিচালিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন নবজাগরণ পাঠক মেলা
বর্তমান উপদেষ্টা কমিটি: মাওলানা আফজাল হোসেন কাসেমী, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মাওলানা কেরামত, মাওলানা আমজাদ, মাওলানা আনোয়ার, ফকির রহমত আলী, হাজী এবাদত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা
আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ।
বর্তমান নির্বাহী কমিটি:
১. সভাপতি: মোঃ লোকমান আলী সরদার
২. সহ-সভাপতি:
ক) আলহাজ্ব সোহরাব
খ) আলহাজ্ব সৈয়দ আলী
গ) কোরবান আলী
৩. সেক্রেটারি: আলহাজ্ব আ. রাজ্জাক
৪. ক্যাশিয়ার: জিয়াউর রহমান
আয়ের উৎস: মুসলিম দীন দরদি জনগণের আন্তরিক দোয়া ও সহযোগিতার মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিভিন্ন মৌসুমে মৌসুমী ফসল যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে মাদ্রাসায় দিয়ে যায় (মাদ্রাসার ছাত্রদের দিয়ে কোন প্রকার কালেকশন করানো হয় না)। রমজান মাসে নগদ অর্থ মাদ্রাসার একটি বড় আয়ের উৎস। এছাড়া ছাত্রদের কাছ থেকে নামমাত্র বেতন খোরাকি জন্য অর্থ সংগ্রহ করা হয়(এতিম অসহায়দের নিকট থেকে কোন প্রকার টাকা নেওয়া হয় না)।
প্রতিবছর মাদ্রাসার বাৎসরিক ইসলামী জলশা অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ২১ জন শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা গ্রহণ করছে। বোর্ডিংয়ে ২৪০ জন+ শিক্ষার্থীকে নিয়মিত তিনবেলা খোরাকি দেওয়া হচ্ছে।
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে