কালো মেঘের ছায়া, অগ্নি স্রোত, আজও খুঁজি সেই উষ্ণতা
কালো মেঘের ছায়া
ঘুটঘুটে অন্ধকার মেঘে
চাঁদ জেগে ওঠে
আপন খেয়ালে,
আমি নিশীথের সাথে
মন করি বেচাকেনা
শব্দবিহীন ঘরে।
আমি ভুলিতে চেয়েও
ভুলিতে পারি না তারে
এ কোন তামাশা?
পৃথিবীতে যত ঘৃণা আছে
একবার যদি আসে
আপনি দুয়ারে,
জানি না তখন কেমন করে
সামলাব তারে।
কষ্ট আমারে করেছে কঠিন
যৌবনের উদিত অহঙ্কারে
ছলনাময় এই গগনের নিচে।
পাথরে বেঁধেছি প্রশস্ত বুক
হাসিতে আড়াল করেছি
জীবনের সব লেনাদেনা।
কেবলই অন্ধকারে ছুঁয়ে যাওয়া
আপন সীমানা,
যদি নষ্ট করে দিতে পারতাম
দীর্ঘদিনের জমানো
সাদা-কালো কষ্টগুলো
আলোর ঝিলিকে ভরে যেত
ঘুটঘুটে অন্ধকারে জমে থাকা
স্মৃতির আকাশখানা।
আরও পড়ুন কবি জিন্নাত আরা রোজীর কবিতা-
হেমন্তের বিকেল
অলিখিত কবিতা
কবে আমার হবি
অগ্নি স্রোত
কেন এত মনোকষ্টে ডুবে আছ?
তুমি কি কেবলই আগুনের স্রোতে ভাসতে চাও?
আমার যে বিশাল আকাশ চাই!
তারকারাজি চাই, চাই চাঁদের আলো।
নাইবা পেলাম ঘরদোর,
নাইবা হলো সুখের সংসার,
নিরালা নিঝুম সঙ্গ চাই, চাই পাখির গুঞ্জন।
নিবির একটা ছায়া বৃক্ষ চাই।
পথ হারানোর গল্প তো প্রাচীন,
সেই কাহিনি আর ভালো লাগে না।
একটাই তো জীবন,
চলো উড়ে যাই নতুন কোনো সীমানায়।
আজও খুঁজি সেই উষ্ণতা
আমি আজও খুঁজি সেই ঘ্রাণ,
যেখানে মায়ের গায়ের গন্ধ লেপ্টে আছে।
আমি আজও অনুভব করি সেই বাতাস,
যে বাতাসে মায়ের শাড়ির আঁচল উড়ত হেলে দুলে,
আমি আজও খুঁজি সেই উষ্ণতা,
যেখানে মায়ের শরীরের উম জড়িয়ে।
আমি আজও খুঁজি মায়ের হাতের সেই পরশ,
যেখানে শুধু মমতায় মাখামাখি,
আদরে আদরে জড়াজড়ি সারা দেহখানি।
আমি আজও খুঁজি সেই চোখ,
যে চোখে অবিরত সন্তানের ভালোবাসা খোঁজে।
করুণ আর্তনাদ ঝরে দু’চোখের কোণ বেয়ে।
আমি সেই পথ আজও খুঁজি,
যে পথে মায়ের পদচিহ্ন এখন বিরাজমান।
যার সান্নিধ্য ছাড়া স্তদ্ধ, নিথর, প্রাণহীন এই জীবন।
নির্ঘুম রাত কাটে, অমানিশা ছেয়ে রয়
কতটা কঠিন, কতটা পাথর সময়।
এ যেন অনাথ সময় যাচ্ছে বয়ে।
ভয় নাই তাই আজ কোনোকিছু হারাবার,
আমি আজও বসে থাকি সেই সরোবরে
যেখানে তুমি ফিরবে না জানি,
যে পথে গেছ, সে পথ অনন্তকালের,
জানি পাব না খুঁজে…
স্মৃতিময়, স্মৃতিকথা এসবের মাঝে তাইতো তোমাকে খোঁজা।
আরও পড়ুন কবিতা-
নীল রক্ত
যে রঙে রং নেই
নীরব অসন্তুষ্টি
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে
কালো মেঘের ছায়া