কাবাব পোড়া মানচিত্র, স্বরূপ চেনা দায়, পাশ্চাত্য শিক্ষা
কাবাব পোড়া মানচিত্র
খেয়েছিল চুষে বৃটিশেরা এসে
বাংলা মায়ের বুক ;
পাক শাসকে তিন দশকে
কেড়ে নিয়েছিল সুখ।
যেদিকে তাকাই বিচিত্র-চিত্র
কাবাব পোড়া মানচিত্র-
দাগায়ে কামান ফিরে পেলাম
প্রাণ প্রিয় মুল্লুক;
আশা এ বুকে বাংলা মাকে
দেবো না কখনও দুখ…।
ওগো জননী দিতে পারিনি
স্বাধীনতার পূর্ণতা;
তোর ঐ বুকে মরছে যে ধুঁকে
পদ্মা নদী খরস্রোতা।
নেই আজ আর পাক-হানাদার
তবু কেন বুকে ব্যথার পাহাড়?
চোর দালালে খায় মা খুবলে
তোর ঘরবাড়ি ভিটা;
সোনা ফলা দেশ সবই হল শেষ
জ্বলন্ত অগ্নি-চিতা…।
আরও পড়ুন মো: হাতেম আলীর কবিতা-
একমুঠো রৌদ্র
আমার জন্মভূমি
মানবতার ছায়াতলে
স্বরূপ চেনা দায়
ওরে বিকাশ বাদ দে নিকাষ
করিস্ ক্যান হৈ চৈ,
পাবে না জানি ঘুঁটে কুড়ানি
উপরে উঠার মই;
ঘাট হয়েছে আজিকে অঘাট
বেগুন তলায় বসেছে রে হাট-
ছাগলের গা বাঘে চাটে চা
সামনে রেখে ওই,
উঠলো গেয়ে আদর পেয়ে
বাঘ মামা তার সই…।
সময় যখন আসবে তখন
দেখবি বাঘের রূপ,
বাগেতে পেলে খাবে সে গিলে
আদর নয় ওতো টোপ;
সুযোগ সন্ধানি প্রতিনিধি যারা
ধর্মের বিধি মানে না তারা –
গয়া কি কাঁশি,মক্কাতেও আসি
জ্বালে ওরা ধর্মের ধুপ
কে বলবে তাকে বাহিরটা দেখে
অন্তরটা ময়লার স্তুপ…!
পাশ্চাত্য শিক্ষা
বিলেত গিয়েছিল মানুষ হতে
নগেণ খুঁড়োর ছেলে,
এসেছে সে ফিরে ভক্তি-শ্রদ্ধা,
আত্মার-বন্ধন ভুলে;
পরনে তার কোর্ট-প্যান্ট-টাই
মাটিতে পড়ে না পা,
সঙ্গে এনেছে বিলেতি নারী ও
বিদেশী কুকুরের ছা-
নিজের বাছা ঠ্যালা গাড়ীতে
কুকুর ছা রাখে কোলে
নগেণ খুঁড়োয় তাই দেখে দেখে
ভাসে চোখের জলে…।
মাকে সে এখন মাম্মি ডাকে
ডেডী ডাকে বাবার,
সারা না দিলেই তার ডাকে কেউ
বলে খ্যাত সবার;
বিদেশী বৌকে দেখতে এসেছিল
গ্রামের বৌ-ঝি যারা,
বৌকে দেখার সাধ মিটেছে
খেয়ে কুকুরের তাড়া-!
পাড়ায় পাড়ায় দোকানে আড্ডায়
বৌ-পুতের দরবার
লোক সম্মুখে তাই নগেণ খুঁড়োর
মুখ দেখানো ভার…।
আরও পড়ুন কবিতা-
জগা ও পিসি
কবি ও কবিতা
শিকড়ের আঘাত
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
কাবাব পোড়া মানচিত্র