কবে আমার হবি, বর্ষার পরশে দুজন
কবে আমার হবি
দিন গড়িয়ে মাস গেল,
বছর শেষে যুগ পেরুল,
আর কিছুদিন পরে হবে অর্ধশতাব্দী;
তোর সাথে প্রথম দেখা,
প্রথম পরিচয় তোরই আঙিনায়।
সেই মুহুর্ত ভুলেই গেছিস বোধহয়!
তুই তো আমার প্রথম প্রেম,
প্রথম ভালোবাসা…
তুই না হয় বেশ কিছু দিন অন্য কারো ছিলি!
নিকষ আঁধারের সাথে খেলে খেলে
সেই তো এলি আমার দুয়ারে,
তুই কবে হবি আমার?
তোকে নিয়ে কত্ত ভাবি!
তুই আমার অনন্তকালের সাথী.
ঝুমঝুম বৃষ্টি মুখরিত সকাল,
গোধুলি লগনের পড়ন্ত বিকেল,
মায়াবতী সাঁঝের বাতি,
মধ্যরাতে কবিতা পড়ার সাথী;
তোর জন্য নিতে পারিনি উচ্চশিক্ষা,
সব চাওয়া-পাওয়া, আনন্দ দিয়েছি দূরে ঠেলে;
তোর জন্য আমি হতে পারিনি দেশান্তরী।
তোর জন্য অভিমানে দিতে পারিনি আত্মাহুতি।
তবুও কেন তুই আমার হলি না?
বলতে পারিস, কবে আমার হবি?
এত কাছাকাছি,
তবুও কেন আমাকে অথবা তাকে বুঝি না?
এটা কি আমার ব্যর্থতা?
নাকি তোর অবহেলা?
তোর জন্যই সব কষ্টগুলো বুকে জমা রাখি,
তোর থেকে পাওয়া কষ্টগুলো নিভৃতে সহ্য করি।
মাঝে মাঝে চোখে পর্দা টেনে রাখি,
আড়ালে কাঁদি, আড়ালে হাসি;
তবুও তোকেই ভালোবাসি।
আরও পড়ুন জিন্নাত আরা রোজীর কবিতা-
মেঘ বালিকা
ভালবাসা রঙ বদলায়
সোনামনি
বর্ষার পরশে দুজন
রিমঝিমিয়ে বর্ষা এলো আদর-সোহাগ নিয়ে,
কদম কেঁয়ার সুবাস ছড়িয়ে দেবে বাতাসে,
ছলাৎ ছলাৎ নামবে পানি চারিধার;
উদাস আকাশ চেয়ে রবে মুগ্ধ নয়নে।
ঘাটে আছে তরী বাঁধা সারি সারি,
প্রেমিক যুগল অভিসারে যাবে বর্ষার আমেজে।
একগুচ্ছ কদম হাতে নিয়ে বাদলের সাথী করে
ঘনঘটা বৃষ্টি কখনো যদি আসে ধেয়ে
নাচবে যুগল শৃঙ্খল ভেঙে তা-থৈ তা-থৈ করে।
ছাতা নেই, ছই নেই, ভিজবে তারা নির্জন নিরালাতে
আকাশ ফুটো হয়ে জলের শিশু নামবে তখন,
কামনার অনুরাগে ভেসে এই ধরাতে।
যদি ঝড় আসে, তুফান ছুটে, আপনারে চিনবে মাঝি;
বিজলী আলো নাচবে থমকে থমকে
তবুও দুজন মুখোমুখি বসে রবো চোখে চোখ রেখে
কত কথা বলবে নির্জনে নিভৃতে একই সুরে ।
প্রিয়ার হাতের লাল রেশমী চুড়ি বাজবে রিণিঝিনি
অবিরল বৃষ্টির স্রোতে ভেসে যাবে জমাট বাঁধা রক্তের দাগ।
অতঃপর বিলাসী মনে দুজন দু’জনার হয়ে
বর্ষার উৎসবকে হার মানাবে অবশেষে ভালোবেসে।
আরও পড়ুন কবিতা-
আমার সংসার
শোকবার্তা
শিরোনামহীন
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
কবে আমার হবি