কতদিন-দেখি-না-মাকে
ছড়া,  সাহিত্য

কতদিন দেখি না মাকে, খঞ্জনা, মাকে মনে পড়ে

কতদিন দেখি না মাকে

জিন্নাত আরা রোজী

 

খোকা কোথায় যাস?
এখনই যে সন্ধ্যা নামবে!
ঐ নদীর বাঁকে,ঝোপের পারে
যেথায় আমার মা ঘুমিয়ে আছে।

ও খোকা যাসনে ওখানে
তুই গেলে মা কষ্ট পাবে,
বলবে, বাবা ঘরে ফিরে যা,
আমি আছি তোরই সাথে।

মাকে দেখিনি ঢের দিন,
বড় ইচ্ছে জাগে,
মাকে দেখবো নয়ন ভরে
দু’টি কথা বলবো নিরবে,
মা কেন পালালো বলবে আমারে?
আমাকে রেখে মা কেমনে থাকো আড়ালে?
আমি হারিয়ে গেলে তবে কি আসবে ফিরে?

না দাদু, ওমন কথা বলো না মোটেই
তোর জন্যই যে আছি বেঁচে,
পরানে আমার বড় ব্যাথা জাগে
তোর মাকে হারিয়ে।
তুই যে কত আপনার কেন বুজিস না দাদু?
বলবি আমার?
আয় ফিরে আয় এই শূন্য বুকে
সব হারিয়ে তোকে নিয়ে আছি বেঁচে
ঐ দেখ দাদু জোনাক জ্বলে,
নদীর বাঁকে ঝোপের পারে
যেথায় তোর মা ঘুমিয়ে আছে পরম শান্তিতে।

 

খঞ্জনা

ছোট্ট পাখি খঞ্জনা
গোলগাল চেহারা
সকাল থেকে দেখি না
মনটা আমার ভাল না
কোথায় গেল জানি না।

সাদা -কালো বুকটা
ধুসর রঙের পিঠটা
গাড়ো লাল চোখের কোনা
লেজের কাছে লালের ছটা।

ডাগর চোখে তাকায় সে
মিষ্টি করে হাসে,
আমার দেখা না পেলে
সারা বাড়ি ঘোরে।

আয়রে আমাার খঞ্জনা
রাখবো তোর বায়না
কথা দে আর কখনো
দূরে উড়ে যাবি না।

 

মাকে মনে পড়ে

স্বপ্নে দেখি মাকে
ভোর বেলাতে
আমার কাছে আসে
আলতো করে বুলিয়ে হাত
আমার মাথায় রাখে।

আমি বলি মা
কোথায় থাকো?
আমায় একা ফেলে
কষ্ট গুলো চেপে রাখ
একাই বুকের মাঝে
ভয় কি মা আমি আছি সাথে।

চুপটি করে থাকো কেন?
ঐ দূর আকাশের মাঝে
বলতে পার তোমার ছেলে
একলা ঘরে কেমন করে রবে?

সন্ধ্যা হলে শিয়াল ডাকে
হিজল গাছের নীচে
ভয় পেলে মা বুকের মাঝে
জড়িয়ে নেবে,
এমন কেউ কি আছে?
বলতো পার তোমার মত
ভালবাসা কেউ দিতে পারে?

দোহাই মা আমায় ফেলে
আর যেও না
ঐ দূর আকাশের মাঝে
সব ফেলে আমি ও যদি
আসি তোমার কাছে কেমন মজা হবে।

আরও পড়ুন কবিতা-
আষাঢ়ের বৃষ্টি
রোদ বৃষ্টির খেলা
মায়ের আদর
মধু মাস

 

ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলফেসবুক পেইজে

কতদিন দেখি না মাকে

Facebook Comments Box

প্রকৌশলী আলতাব হোসেন, সাহিত্য-সংস্কৃতি বিকাশ এবং সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিবেদিত অলাভজনক ও অরাজনৈতিক সংগঠন ‘আমাদের সুজানগর’-এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ‘আমাদের সুজানগর’ ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক। এছাড়া ‘অন্তরের কথা’ লাইভ অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক তিনি। সুজানগর উপজেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, শিক্ষা, মুক্তিযুদ্ধ, কৃতি ব্যক্তিবর্গ ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে ভালোবাসেন। বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করে বর্তমানে একটি স্বনামধন্য ওয়াশিং প্লান্টের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেকশনে কর্মরত আছেন। তিনি ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই জুন পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত হাটখালি ইউনিয়নের সাগতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

error: Content is protected !!