এসো দেশকে ভালবাসি
এসো দেশকে ভালোবাসি একটি অরাজনৈতিক সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনটি মূলত দূর্নীতি, মাদক, বাল্য বিবাহ, খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে এবং বন্যপ্রাণী ও ইলিশ মাছ সংরক্ষণে কাজ করে আসছে।
সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে এবং বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে এসো দেশকে ভালোবাসি সংগঠনের আত্ম প্রকাশ ঘটে।
প্রতিষ্ঠাতা:
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম।
প্রধান কার্যালয়:
তৈলকুণ্ডু, মানিকহাট, সুজানগর, পাবনা।
বর্তমান কমিটি:
১। সভাপতি: আহমেদ ফররুখ কবির (বাবু)
২। সহ-সভাপতি:
ক) মো: আব্দুল মান্নান (মানু)
খ) প্রফেসর মো: ইশানুর রহমান
গ) মো: আলমগীর কবির
৩। সাধারণ সম্পাদক: মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম
৪। সাংগঠনিক সম্পাদক: মো: সাহেব আলী মাস্টার
৫৷ সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক: মো: বাসেদ হোসেন শান্ত
৬। প্রচার সম্পাদক: কাউছার মাহমুদ নিরব
৭। হিসাবরক্ষক: মো: আব্দুল্লাহ আল মাসুদ
৮। দপ্তর সম্পাদক: কামরুল হাসান
৯। প্রকাশনা সম্পাদক: মো: মাসুদ রানা
১০। সমাজ কল্যাণ সম্পাদক: মো: শামসুল আলম
১১। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: শরিফুল ইসলাম জনি
পটভূমি:
একটি সুন্দর উন্নত দেশ গড়তে এবং সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সরকারের চেষ্টা সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে তা ফলপ্রেসু হয় না। তাই সামাজিকভাবে আমরা সচেতন না হলে সরকারের পক্ষে শুধুমাত্র আইন করে সবকিছু সমাধান করা সম্ভব নয়। সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও দেশ ও সমাজ উন্নয়নে ভুমিকা রাখা দরকার এবং দেশের প্রতি এটা আমাদের দায়। আর এই দায়বদ্ধতার কারণেই এসো দেশকে ভালোবাসি সংগঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সংগঠনটি গড়ার জন্য মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম প্রথমে পার্শ্ববতী মায়ের দোয়া কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধর রফিকুল ইসলাম রতন (ক্ষেতুপাড়া) ও স্বাস্থ্য সহকারী আব্দুল্লাহ আল মাসুদের (ক্ষেতুপাড়া) সাথে আলাপ আলোচনা করেন। ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার পরে বোনকোলা কলেজের প্রফেসর মোস্তফা কামাল (ইশানুর রহমান) এর সাথে আলাপ আলোচনা করে সংগঠন গঠনের জন্য একটি মিটিং আহ্বান করা হয়। সে মোতাবেক ২০১৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারীতে মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম এর ওষুধের দোকান তৈলকুন্ডু মেডিসিন কর্নারে আলোচনা ও সংগঠনের নাম প্রস্তাব করা হয়।
আরও পড়ুন নবজাগরণ পাঠক মেলা
এসো দেশ গড়ি, আমরা সচেতন সমাজ চাই, আমরা দেশকে ভালোবাসি, প্রকৃতি ও মানব কল্যাণ সংস্থা ইত্যাদি নাম প্রস্তাব আসে। পরে সংগঠনটির উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম এসো দেশকে ভালোবাসি নাম প্রস্তাব করেন এবং সেটা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
পরে ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল বোনকোলা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ অডিটোরিয়ামে এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মপ্রকাশ করে। উক্ত অনুষ্ঠানে পাবনা সুজানগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে সমমনা লোক যোগদান করেন।
এছাড়াও সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, সমাজ সেবকসহ সমাজের বিশিষ্টজনেরা এখানে যোগ দেন এবং সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
কার্যক্রম:
বন্যপ্রাণী ও পাখি সংরক্ষণে সংগঠনটির কার্যক্রম ইতিমধ্যে সুজানগর উপজেলায় নজর কেড়েছে এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।
সংগঠনটির উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম-
১. সুজানগর উপজেলা ব্যাপী কোভিড-১৯ সচেতনতামূলক মাইকিং। মহামারী মোকাবিলায় মোড়ে মোড়ে সাবান পানির ব্যবস্থা করা এবং বিভিন্ন মসজিদে সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ।
২. লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্থ সাধারণ মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরন।
৩. এলাকায় দুস্থ চক্ষু রোগীদের জন্য চক্ষু ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা।
৪. উপজেলা ব্যাপী বন্যপ্রাণী ও পাখি শিকারের বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন-২০১২ নিয়ে মাইকিং।
৫. সদস্যদের রাজশাহী বন বিভাগ ও ঢাকা বন অধিদপ্তরের তত্বাবধানে ট্রেনিং এর ব্যবস্থা।
৬. জাটকা ও মা ইলিশ শিকারের বিরুদ্ধে মোটিভেশানাল প্রোগ্রাম।
৭. ডিমওয়ালা এবং পোনা মাছ না ধরার জন্য স্থানীয় জেলেদের মাঝে সচেতনতা মূলক প্রচারণা চালানো।
৮. সদস্যদের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রচুর পাখি ও বন্য প্রাণী অবমুক্তকরণ।
৯. উম্মুক্ত জলাশয় বিশেষ করে সুজানগরের ঐতিহ্যবাহী বিল গাজনা থেকে কচ্ছপ-কুঁচো শিকারে বাঁধা প্রদান।
১০. গ্রাম-গঞ্জে, হাট-বাজারে কয়েক সহস্র সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ এবং হাট-বাজারে পাখি বিক্রি শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা।
১১. অমর একুশে বইমেলায় স্টল দিয়ে মানুষের মাঝে পাখি, বন্যপ্রাণী, ইলিশ মাছ সংরক্ষণে দৃষ্টি আকর্ষণ।
১২. বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক বিলবোর্ড স্থাপন।
১৩. যুব সমাজকে মাদকের হাতছানি থেকে দূরে রাখতে নাইট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।
১৪. অসহায়-দুস্থ পরিবারকে ঘর প্রদান।
দুটো ঘর সরাসরি নির্মাণ এবং একটার আর্থিক সহায়তা প্রদান।
১৫. সংগঠনের উদ্যোগে বীর প্রতীক আজিজুর রহমানের নামানুসারে হাটখালী ইউনিয়নের জাঙ্গাল পাড়ার নাম পরিবর্তন করে আজিজনগর নামকরণ এবং হাটখালী উত্তর পাড়া (জাঙ্গাল পাড়া) বাইতুল মিরাজ জামে মসজিদকে আজিজনগর বাইতুল মিরাজ জামে মসজিদ নামকরণ।
সদস্য হওয়ার নিয়মাবলি:
সমমনা যে কেউ সংগঠনের সদস্য হতে পারে।
এক্ষেত্রে সদস্য ফরম পূরণ করতে হয় এবং শপথ বাক্য পাঠ ও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার নিয়ম রয়েছে।
ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজে