আষাঢ়ের বৃষ্টি, মশা একটা আজব প্রাণী, যতই বুদ্ধি খাটাস, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি
আষাঢ়ের বৃষ্টি
টিপ টিপ ঝমঝম
আষাঢ়ের বৃষ্টি,
দুই চোখে ঘুম ঘুম
অদ্ভুত মিষ্টি।
ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ ডাকে ব্যাঙ
একটানা ধুমছে,
ভেজা হাঁস দল বেঁধে
তীরে বসে ঝুমছে।
ছোটো ছোটো ছেলে মেয়ে
জলে ভিজে ছুটছে,
মনে হয় তারাগুলো
আকাশেতে ফুটছে।
কবি মন জেগে ওঠে
বৃষ্টির তালেতে,
ছোটো মাছ ধরা পড়ে
জেলেনীর জালেতে।
পাড়া গাঁও মেতে ওঠে
নানা রূপ রঙেতে
মাঝি গায় ভাটিয়ালি
কত রঙে ঢঙেতে।
মশা একটা আজব প্রাণী
মশা একটা আজব প্রাণী
জ্বালায় সারাক্ষণ,
সকাল সাঁঝে কানের কাছে
করে যে ভনভন।
রাগের চোটে মাঝে মধ্যে
দু’ চার থাপড় মারি,
প্রবীণ মানুষ এখন কিআর
মশার সাথে পারি?
লক্ষ্য ভ্রষ্ট দু এক থাপড়
নিজের মুখেই লাগে,
চতুর মশা মেজাজ দেখে
সুযোগ বুঝে ভাগে।
যতই বুদ্ধি খাটাস
মা রেগে কয় পথিক রে তুই
আমায় এত জ্বালাস,
পড়ার কথা বললে পরেই
ঘর থেকে তুই পালাস।
সারাটা দিন টো টো করে
কোন খানেতে কাটাস,
তোর কপালে কষ্ট আছে
যতই বুদ্ধি খাটাস।
যখন তখন ইচ্ছে মতোন
ছোটো ভাইকে মারিস,
তোর বাবা আজ মারবে তোকে,
পালাস যদি পারিস।
ঠ্যাং দুটো তোর ভেঙ্গে দিবে
যদি কথা বাড়াস
সাহস থাকলে বুক চিতিয়ে
বাপের সামনে দাঁড়াস।
এমন সময় ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর
ডাকলো কোলা ব্যাঙ,
বাপের ভয়ে থর থরিয়ে
কাঁপছিলো দুই ঠ্যাঙ।
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি
চারদিক মেঘে ঢাকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি,
শিশুদের কোলাহল অদ্ভুত মিষ্টি।
কাদা মেখে সারা গায় ছোটাছুটি করছে
কেউ কেউ তাড়া খেয়ে পিছলিয়ে পড়ছে।
তবু নাই কাঁদাকাটি উঠে দেয় লম্ফ,
ঘরে যেন ফিরবেনা হলে ভূমিকায়।
মা মরে ডেকে ডেকে আয় তোরা ঘরে আয়,
কে শোনে কার কথা ওরা আরো মজাপায়।
হাঁসগুলো জলে ভাসে ব্যাঙগুলো ডাকছে,
দই দই জলা দই,দইওয়ালা হাঁকছে।
টিপটিপ গুড়িগুড়ি এইভরা আষাঢ়ে,
ধানক্ষেতে ছুটে চলে বাংলার চাষারে।
আরও পড়ুন ছড়া-
মাকে মনে পড়ে
রোদ বৃষ্টির খেলা
মায়ের আদর
মধু মাস
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে