আলো-আঁধার
কবিতা,  মো: হাতেম আলী,  সাহিত্য

আলো আঁধার, আলোর যাত্রী

আলো আঁধার

মো. হাতেম আলী

 

আলোর বিপরীতে ছায়া যেমন
চলে আলোর সাথে,
ছায়ার বিপরীত আলো তেমন
হারায় আঁধার রাতে।

মুখোশের আড়ালে দানবের মেলা
আলো-আঁধারে লুকোচুরি খেলা-

লোভে পাপে মন হয়েছে দূষণ
স্বার্থের অভিঘাতে,
মিষ্টি কথায় রাঙিয়ে এ হৃদয়
ছুরি চালায় পিঠে!

দীক্ষার আলোয় দীক্ষিত হও
বিকশিত কর জ্ঞান,
আঁধার ঘরেতেও জ্বলবে প্রদীপ
আলোকিত হলে মন।

শিক্ষা যদি হয় মানব কল্যাণে
বদলে যাবে এই জীবনের মানে-

এসো হে নবীন মানবতার তরে
জ্ঞান করি আহরণ,
গড়তে হবে আঁধার তাড়ায়ে
আলোকিত ভূবন…।

আরও পড়ুন মো: হাতেম আলীর কবিতা-
একুশ মানেই স্বাধীনতা
ভালো থাকিস মা
শূন্যতা

 

আলোর যাত্রী

অভূক্তপ্রাণ-
মরছে ধুকে, বন্দীদশা ক্ষুধার জ্বালায়
কি যে দহন পেটের জ্বলন জীবন মরণ অবহেলায়।
ঘুরছি যাযাবরের বেশে
তপ্ত বালি অঙ্গে মেখে দেশে দেশে-
দুখ পেয়ালার,
স্বাদ নিয়েছি দুখের নদী জীবন ভেলায়
অর্থ সকল অনর্থের মূল অধঃপতন সুখের নেশায়..।

জীবন নদীর অথৈ জলে-
ছুটছে ত্বরিত শিরায় শিরায় এ কোন নেশায়
প্রখরতর স্রোতের ধারা মোহ মায়ায় থমকে দাঁড়ায় ;
অর্থ কড়ি, ধন-সম্পদ
এর’ই লোভে আপন খুনে রাঙাই হাত –
ধর্ম-কর্ম জীবনগতি,
ভুলুন্ঠিত ভাব-সম্প্রীতি সর্বত্র অসংগতি দৃশ্যময়,
পাপের পাহাড় ছিন্ন করতে,আলোর যাত্রি’ আয়রে আয়….।

 

সভ্যতার বলি

অতীত ও বর্তমানে কতো ব্যবধান
বিবর্তনে বিভাজিত সভ্যতা সমাজ।
গোয়ালেতে গরু ছিল গোলা ভরা ধান
গাঁয়ে গাঁয়ে সুখ শান্তি করতো বিরাজ।
নদিতে পাওয়া যেতো ইলিশের ঝাঁক
ক্ষেত খামারেতে ছিল ধান পাট শাক।
মাছে ভাতে বাঙালীর না ছিল অভাব
অন্যের বিপদে সবাই রাখতো সদ্ভাব।

বিবর্তনের ছোঁয়ায় এসব কিছু নাই
প্রতিবেশী পরে থাক, পর নিজ ভাই !
আত্মীয় স্বজন কোথা খোঁজকারী নাই
নিজেকে নিয়েই ভবে করছি বড়াই,
গলাবাজি ধোঁকাবাজি, দেখছি সর্বত্রই
কু-কর্ম করতে কারো চক্ষু-লাজ নাই।

আরও পড়ুন কবিতা-
স্বদেশ
আপন ভূবন
স্বপ্নবাড়ি

 

 

ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলফেসবুক পেইজে

আলো আঁধার

Facebook Comments Box

আলতাব হোসেন, সাহিত্য-সংস্কৃতি বিকাশ এবং সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিবেদিত অলাভজনক সংগঠন ‘আমাদের সুজানগর’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। তিনি ‘আমাদের সুজানগর’ ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক। এছাড়া ‘অন্তরের কথা’ লাইভ অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক। সুজানগর উপজেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, শিক্ষা, মুক্তিযুদ্ধ, কৃতি ব্যক্তিবর্গ ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে ভালোবাসেন। তিনি ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। বর্তমানে একটি স্বনামধন্য ওয়াশিং প্লান্টের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেকশনে কর্মরত আছেন। ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই জুন পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত হাটখালি ইউনিয়নের সাগতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

error: Content is protected !!