আমার জন্মভূমি
আমার জন্মভূমি
এই যে মধুর স্নিগ্ধ কোমল
মুগ্ধ স্নেহের পরশ,
সে যে আমার জন্মভূমি
চিত্তে জাগায় হরষ।
আমার প্রাণে পুলক জাগায়
আমার মায়ের ছোঁয়া,
লাবণ্যময় মুখখানি তার
শরৎ শিশির ধোয়া।
ভোরের বেলা হাজার পাখির
হরেক রকম গান,
খুশিতে তাই দুলে ওঠে
পথিক জনের প্রাণ।
কি যে মধুর ডাকাডাকি
বসে গাছের ডালে,
এমন মধুর মাতৃমূর্তি
দেখেছে কোন কালে।
কৃষক ছোটে মাঠের পানে
শিশুর কোলাহল,
সবুজ ঘাসে শিশির কণা
রোদ্রে ঝলমল।
নদীর বুকে পাল তোলা নাও
চলছে অবিরত,
নদীর চরে অচীন পাখি
জুটছে শত শত।
প্রেম পিয়াসী পথিক জনে
হাঁটে নদীর পাড়ে,
বিকাল বেলার অপূর্বরূপ
সবার হৃদয় কাড়ে।
পূবের হাওয়া প্রবল বেগে
বহে নদীর কূলে,
কুল বালিকা স্বপ্ন আঁকে
মাথার বেনী খুলে।
আমার মায়ের এমন মূর্তী
কি যে মধুর লাগে,
আমার মা যে রূপ কুমারী
হাজার বছর আগে।
জোছনা রাতে আমার মাকে
দেখেছ কি কেউ?
সারা অঙ্গে বিচিত্র রূপ
খেলে রূপের ঢেউ।
ভাগ্যগুনে এমন মাকে
এই জীবনে পাওয়া,
ঢের পেয়েছি আর কিছু নাই
মায়ের কাছে চাওয়া।