আমাদের গ্রামখানি, নিমন্ত্রণ, এ কী স্বপ্ন রচিছে হৃদয়ে
আমাদের গ্রামখানি
আমাদের সেই গ্রামখানি আগের মতোই আছে
শুধু একটুখানি রূপ-রস আর গন্ধ ক্ষয়ে গেছে।
এখন আর দোয়েল কোয়েল ঘুঘু-শ্যামা আগের মতো সুর করে ডাকে না
পাড়া-পড়শি, গ্রামবাসী এখন আর আগের মতো চলে না
মেঠোপথ ঘর-বাড়ি অনেকটাই এখন পাকা হয়ে গেছে
মাটির সোঁদা গন্ধ আর মায়াও যেন চলে গেছে।
টিনের চালে বৃষ্টি পড়তো নূপুর পায়ে কী আনন্দ পেতাম
দোলা লাগতো মনে
আমি কান পেতে বৃষ্টির সেই গান শুনতাম
আর সুর জাগাতাম প্রাণে
এখনও বৃষ্টি পড়ে ছাদে সে বৃষ্টি কতো কথা কয়
কিন্তু তাতে কি আর আগের মতো সুর আছে।
বর্ষাকালে হাটে ঘাটে ঘাটে নৌকায় যেতে হতো
বড়শি আর জাল ফেলে দরিদ্রজন কতো মাছ ধরে খেতো
পানি এখন আর কথিত উন্নয়নে গ্রামে ঢুকতে পারে না
বর্ষার আনন্দ তাই অনেক দূরে সরে গেছে।
নিমন্ত্রণ
সুপারমুনের রাতেরে বন্ধু সপারমুনের রাতে
পানসি নায়ে চরে যাইবো যাইও আমার সাথে ।
ধানখেতের আইল পথে সুজন নাইয়ার ঘাটে
পাকাধানের সোঁদা গন্ধ জ্যোৎস্না সারা পথে
বন্ধু জ্যোৎস্না সারা মাঠে
সেই জ্যোৎস্নারে দেখতে যাইবো সাগরকান্দী চরে
বন্ধু পাবনা জেলাতে।
পদ্মার ঢেউয়ে সুপার জ্যোৎস্না খেলে কতো খেলা
নীল আকাশে খেলা করে সাদা মেঘের ভেলা
এমন রমণীয় দেখতে যাইবো বন্ধু যাইও আমার সাথে ।
চরের একপাশে কাশফুলের মনমাতানো দোলা
তাহার উপর সুপার জ্যোৎস্না যাবে না ভোলা ।
পদ্মানদীর বালুচরে জ্যোৎস্না যেন ভেঙে পড়ে
সেই জ্যোৎস্নারে দেখতে যাইবো সাগরকান্দী চরে
নিমন্ত্রণ রইলো, বন্ধু সময় রেখো হাতে, সুপারমুনের রাতে।
এ কী স্বপ্ন রচিছে হৃদয়ে
এ কী স্বপ্ন রচিছে হৃদয়ে চেয়ে চেয়ে হই সারা
যতবার দেখি তোমায় হয়ে যাই দিশেহারা।
বাঁকা চাঁদ উঠলো আকাশে ডালাভরা তারার মেলা
এলোমেলো মেঘগুলো খেলছে কী দারুণ খেলা
সবকিছু হারিয়ে ফেলি যখন দেখি তোমার অনন্য চেহারা।
ওরে দক্ষিণী হাওয়া তুমি যতই মন মাতাও
বন্ধুর ঝলকে সেই মন এলোমেলো হয়ে যায়।
ফুলের সৌরভ পৃথিবীর যত গৌরব
বন্ধুতে সবকিছু ম্লান হয়ে যায়
আমি হয়ে যাই মাতোয়ারা, সে যে আমার নয়ন তারা ।
আরও পড়ুন কবিতা-
তিতাস নদীর পাড়ে
কবি ও কবিতা
দাঁড়িয়ে আছি ভুল দরজায়
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে