অধ্যাপক ডা. রুহুল আবিদ
অধ্যাপক ডা. রুহুল আবিদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের এলপার্ট মেডিকেল স্কুলের একজন অধ্যাপক। তিনি ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল হেলথ ইনিশিয়েটিভস এর কার্যকরী সদস্য। এছাড়া তিনি হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফর অল-HAEFA এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি।
অধ্যাপক ডা. রুহুল আবিদ ২০২০ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ২১১ ব্যক্তিবর্গের মধ্যে একজন। একই সঙ্গে তাঁর অলাভজনক সংস্থা HAEFA (হায়েফা) তাঁর সঙ্গে শান্তি পুরস্কারে মনোনীত হয়।
জন্ম: ডা. আবিদ ১৯৬১ সালের ২৭ মে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাকনাম লেখন। তাঁর পৈতৃক নিবাস পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সুজানগর পৌরসভায়। বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। ঢাকায় বাস করেছেন বিভিন্ন উপশহরে-মালিবাগ, ইন্দিরা রোড, কলাবাগান ও শ্যামলীতে।
পারিবারিক জীবন: ডা. আবিদের পিতা মো. আব্দুল গফুর (১৯৩৪-১৯৯৮ খ্রি.)। মো. আব্দুল গফুর বিমান বাহিনীতে রাডার বিশেষজ্ঞ (১৯৫২-১৯৬৪ খ্রি.) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থ বিজ্ঞানে (১৯৬৮-১৯৮৪ খ্রি.) কর্মরত ছিলেন। তাঁর মায়ের নাম রাজিয়া বেগম (জন্ম: ১৯৪৪ খ্রি.)। তাঁরা তিন ভাই ও দুই বোন।
আরও পড়ুন কৃষি বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন
ডা. আবিদ তাঁর স্ত্রীসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের লেক্সিংটন শহরে বসবাস করেন। তাঁর স্ত্রী একটি স্থানীয় বীমা কোম্পানিতে একাউন্ট ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত আছেন। তাঁদের দুই সন্তান। মেয়ে ব্রড ইনস্টিটিউট অফ হার্ভার্ড ও এমআইটিতে ব্রেন ক্যান্সার গবেষক এবং ছেলে টিএসএনই বোস্টনে সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
শিক্ষা জীবন: অধ্যাপক ডা. রুহুল আবিদ ধানমণ্ডি বয়েজ স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৭৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি শেষ করে স্বপ্ন পূরণের পথে হাঁটেন। খুব একটা মসৃণ পথ না হলেও পিছু হটেননি কখনোই। ভর্তি হন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। সেদিনই শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষের মনে আশার আলো জাগানোর স্বপ্ন। স্নাতক সমাপ্ত করেন।
ছোটবেলায় শিখেছিলেন রবীন্দ্রসংগীত। মেডিক্যাল কলেজে নানা অনুষ্ঠানে নাটকে অভিনয় করতেন নিয়মিত। সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন ছাত্ররাজনীতির সঙ্গেও। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৪-৮৬ মেয়াদে ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি ও নয়টি সরকারী মেডিক্যাল কলেজের সম্মিলিত ছাত্র ঐক্য পরিষদের মহাআহবায়ক ছিলেন।
আরও পড়ুন ড. এ বি মির্জ্জা মো: আজিজুল ইসলাম
পেশা জীবন: মেডিকেল থেকে পড়ালেখা শেষ করেন উচ্চ রক্তচাপের রোগগুলোর উপর বিশেষ আগ্রহ নিয়ে। পেশাজীবনের শুরু হয়েছিল আমু, নালুয়া, লংলা ও চানপুরের চা বাগানে চিকিৎসা সেবা দিয়ে। ডানকান ব্রাদারসের পিএইচসি (প্রাইমারি হেলথ কেয়ার) প্রকল্পের প্রধান চিকিৎসকও ছিলেন তিনি। গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছেন দেশের মানুষের চিকিৎসা ও মাতৃস্বাস্থ্যে। ১৯৯৩ সালে জাপান গিয়ে মলিক্যুলার বায়োলজি ও বায়োকেমিস্ট্রিতে ডক্টরেট ডিগ্রি নেন। ১৯৯৭ সালে আণবিক জীববিদ্যা ও প্রাণরসায়নে পিএইচডি লাভ করেন জাপানের নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব সায়েন্স থেকে। ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। স্তন ক্যানসারের ওপর পোস্ট ডক্টরাল প্রশিক্ষণ নেন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ‘এলএসইউ মেডিকেল সেন্টার’ থেকে। ১৯৯৯ সালে যোগ দেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুলে মেডিসিনে ফেলোশিপ নিয়ে। এখানে ‘ইন্সট্রাক্টর’ পদে যোগ দিয়ে ২০০২ সালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের শিক্ষক হিসেবে পেশাজীবনের শুরু হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা হাসপাতাল ‘বেথ ইসরায়েল ডিকোনেস মেডিকেল সেন্টার’ থেকে মানবদেহের রক্তনালির ওপর ফেলোশিপ করেন। ২০০৬ সালে সহকারি অধ্যাপক হন।
ডা. আবিদ ২০১১ খ্রিস্টাব্দে ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ব্রাউন মেডিকেল স্কুল’-এ সহকারি অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এখানেই বর্তমানে ব্রাউন ইউনিভার্সিটির এলপার্ট মেডিকেল স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কার্ডিওভাসকুলার নিয়ে কাজ করছেন। ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত স্কুলের মেডিকেল ফ্যাকাল্টি এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল (চিকিৎসা শিক্ষকদের নির্বাহী কমিটি)’র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রুহুল আবিদ রোড আইল্যান্ড হাসপাতালের কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ সেন্টারের কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি বিভাগের প্রধান (প্রিন্সিপাল) গবেষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ‘সিভিআরসি’ বিভাগে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘ভাসকুলার বায়োলজি’ (জীববিজ্ঞানের রক্তনালি শাখা)।
আরও পড়ুন জ্যোতির্বিজ্ঞানী মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
ডা. আবিদের পেশাজীবন বিস্তৃত ভাসকুলার বায়োলজি, কার্ডিওভাসকুলার (হৃৎপিন্ডের রক্তনালি) রোগ ও স্নাতক এবং মেডিকেলের ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর ক্ষেত্রগুলোতে। বিজ্ঞানের মৌলিক শাখাগুলোর মধ্যে মেকানিজম অব করোনারি সার্কুলেশনে গবেষণাতেও তার বেশ আগ্রহ রয়েছে। বিশ্বজুড়ে গরিবের স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে নানা কাজ ও শিক্ষার্থীদের পড়ানো মিলিয়ে পেশাজীবন সমন্বয় করেছেন। গবেষণা করেছেন হৃৎপিন্ডের রক্তনালির শিরাগুলোর চিকিৎসা প্রদান নিয়ে। কাজ করেছেন ভাসকুলার এনডোথিলিয়াল সেলে সিগন্যাল ট্রান্সডাকশন ও অক্সিজেন উৎপন্ন করা প্রজাতিগুলোর ভাসকুলার বা এনডোথিলিয়াস কার্যক্রম, নতুন রক্তনালির উন্নয়নে তাদের প্রভাব বিষয়ে। গবেষণা কার্যক্রমের ভিত্তিতে নতুন ও মৌলিক অসংখ্য গবেষণাপত্র তাঁর ক্ষেত্রের অনেকগুলো জার্নালে প্রকাশ করেছেন। তাঁর গবেষণা কাজের জন্য আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ এবং আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন প্রতি বছর জাতীয় পর্যায়ে ফান্ড দিয়ে থাকে। তাঁর উন্নতমানের নতুন উদ্ভাবাবনী গবেষণার জন্য আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন দুইবার (২০০৬ ও ২০১১ সাল) তাঁকে সেরা হৃদরোগ গবেষকের মর্যাদায় ভূষিত করেছে।
তিনি অনেক আমেরিকান ও আন্তর্জাতিক আবাসিক চিকিৎসক, পোস্ট ডক্টরাল ও স্নাতকের ছাত্র-ছাত্রীদের পথপ্রদর্শক (মেন্টর) শিক্ষক।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল হেলথ ইনিশিয়েটিভ ও বাংলাদেশী সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে সহজে বহনযোগ্য ইলেক্ট্রনিক মেডিক্যাল রেকর্ড (ইএমআর) নির্মাণ করেন। এটির নামকরণ করেছেন ‘নীরোগ’।
আরও পড়ুন অধ্যাপক মুহম্মদ খোয়াজউদ্দিন
মানব সেবা: ডা. আবিদ কাজের ফাঁকে ২০১২ সালে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কিছু করার পরিকল্পনা করেন। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল, ব্রাউন মেডিকেল স্কুল ও বাংলাদেশের কয়েকজনকে নিয়ে গড়ে তোলেন ‘হায়েফা’। সারাদেশে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে হায়েফা প্রতিষ্ঠা করেন।
গত তিন বছরে বাংলাদেশে প্রায় ৩০ হাজার পোশাক শ্রমিককে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে সংস্থাটি। প্রায় ১২ হাজার সুবিধাবঞ্চিত নারী ও পোশাক শ্রমিককে করা হয়েছে জরায়ু ক্যানসার স্ক্রিনিং।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় শুরু থেকেই কাজ করছে সংস্থাটি। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ১ লক্ষ ৭৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে।
বিদেশে থাকলেও দেশকে কখনোই ভুলে যাননি ডা. আবিদ। হায়েফা ছাড়াও আরও বেশ কিছু কাজ করেছেন তিনি। এক রোগসংক্রান্ত নানা সেবায় তিনি পৌঁছেছেন দেশের দরিদ্র মানুষদের কাছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানী হওয়ায় হৃৎপিন্ডের রক্তনালির নানা রোগ ও অসংক্রামক রোগ নিয়েই কাজ করেছেন বেশি। ডা. আবিদ, ডা. ডুডার সঙ্গে মিলে হৃৎপিন্ডের রক্তনালি, স্তন ও জটিল ক্যানসার রোগের ওপর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, বিএসএমএমইউ’র দি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজে বক্তব্য ও সেমিনারে অংশ নিয়েছেন। মানুষদের সচেতনতার কাজ করেছেন দীর্ঘদিন ধরে। এ দেশের না হয়েও ড. আবিদের সঙ্গে থেকে বাংলাদেশের বিষয়গুলোকে সব সময় গুরুত্ব দিয়ে দেখেছেন ডা. ডুডা। বারডেমে রোগীদের সচেতনতা ও চিকিৎসা নিয়ে বক্তৃতাও দিয়েছেন তিনি। দুজনে মিলে এমনভাবে স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করেছেন যেন স্বাস্থ্য ও শিক্ষা প্রকল্পগুলো নিজেরাই চলতে পারে।
আরও পড়ুন লোকসাহিত্য বিশারদ মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন
শিক্ষা ও ভালো স্বাস্থ্যের মাধ্যমে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছেন ডা. আবিদ। শিল্পশ্রমিক ও বস্তির মানুষদের জীবনযাপনের মান উন্নত করছেন। ছোট ছোট পুষ্টি ও স্বাস্থ্য শিক্ষা দিয়ে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের জীবনযাপনে স্থায়ী উন্নতি ঘটাচ্ছেন। কাজের স্থানে স্বাস্থ্যসেবা, মোবাইল ফোন নির্ভর এম-হেলথ (মাতৃস্বাস্থ্যসেবা), ইএমআর সফটওয়্যার নীরোগে বিভিন্ন টেস্টের ফলাফল ও সেবার সমন্বয় করছেন তিনি। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকরা যেন ভালো বোধ করে সেজন্য কাজের সুস্থ পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছেন, মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করছেন, পারস্পরিক বিশ্বাস ও সুস্থ জীবনের প্রতি আগ্রহ তৈরি করছেন। উভয়পক্ষকেই বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, সুস্থ কর্মশক্তি কর্মদক্ষতা বাড়ায়, মালিকের ক্ষতি কমায়।
কাজ করেছেন ময়মনসিংহের বাকুলিয়ার এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড, গাজীপুরের কলম্বিয়া গার্মেন্টস লিমিটেড, আভান্ট গার্মেন্টস লিমিটেড ও অন্যান্য শিল্পকারখানাগুলোতে। সর্বশেষ তারা ২০১৯ সালে সাভারের আমান গার্মেন্টসের ২ হাজার ৪৭৩ জন কর্মীকে বিনা খরচে রোগের পরীক্ষা, চিকিৎসা ও ফলোআপ করেছেন। কোন ধরনের সমস্যায় শ্রমিকরা বেশি আক্রান্ত হন সেসব বিষয়ে তথ্যাবলি সংগ্রহের ফলে পরবর্তী সময়ে সে অনুযায়ী কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প শুরু করতে তাদের সুবিধা হবে। ২০২০ সাল থেকে হায়েফা কোভিড-১৯ চিকিত্সা প্রশিক্ষণ শুরু করেছে, সম্প্রতি এর সাথে মানসিক স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণও যোগ হয়েছে।
আরও পড়ুন সুজানগর উপজেলার প্রথম এমএ পাশ মাওলানা রইচ উদ্দিন
সম্মাননা: ডা. আবিদের কাজ যেন থেমে না যায় সেজন্য ২০০৪ সাল থেকে বিখ্যাত আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন ও এনআইএইচ থেকে নিয়মিত গবেষণা অনুদান পান তিনি। ২০০৬ সালে রক্তনালিতে জমাট বাঁধা নিয়ে অনন্য গবেষণায় লাভ করেছেন ‘সিক্সথ অ্যানুয়াল ইয়ং ইনভেস্টিগেটর অ্যাওয়ার্ড’। জীববিদ্যার রক্তনালির শাখায় তার অনন্য গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে ২০১১ সালে পুনরায় আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মর্যাদাপূর্ণ ‘ওয়ার্নার রিসাও নিউ ইনভেস্টিগেটর অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেছেন। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাসোসিয়েশন ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্যানসার রিসার্চ (এআইসিআর) ও এনএইচএসের (অ্যাডহক-ভিসিএমবি) শিক্ষা সম্পর্কিত বিভাগগুলোর তিনি বিভাগীয় সদস্য। ২০০৮ সাল থেকে পূর্ণ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ‘লিপিডস, থ্রমবোসিস অ্যান্ড ভাসকুলার বায়োলজি-ক্লিনিক্যাল (এলটিভিডব্লিউবি-ক্লিনিক্যাল)’র শিক্ষা বিভাগে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে তাঁর ব্যাপক ও বিস্তৃত অভিজ্ঞতা গবেষণা ও প্রশিক্ষণের জ্ঞান ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাডভান্স কার্ডিওভাসকুলার বা হৃৎপিন্ডের রক্তনালিগুলোর অগ্রসর চিকিৎসা প্রদান ও গবেষণায়।
জীবনের শুরু থেকেই নানামুখী প্রতিভার স্বাক্ষর রাখলেও মূল লক্ষ্য থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। সবশেষে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন চিকিৎসা সেবায়। দূরদেশে থেকেও তাঁর সব কিছু আবর্তিত হয় বাংলাদেশ এবং এ দেশের মানুষকে ঘিরেই। সুযোগ পেলেই ছুটে আসেন জন্মভূমির টানে। বরাবরের লক্ষ্য মানুষের কল্যাণসাধন।
তিনি আপাতত একটি লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যেতে চান—বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যেন বছরে অন্তত একবার নিজের শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা করাতে পারে। অবশ্যই গরিবদের জন্য সেই পরীক্ষা হবে বিনামূল্যে।
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
অধ্যাপক ডা. রুহুল আবিদ