অতৃপ্ত বাসনা
অতৃপ্ত বাসনা
জাহাঙ্গীর পানু
আমি তোমাকে বলেছিলাম
আমার হাতটি ধরো।
তুমি ধরলে না, অবলীলায় বিমূর্ত চোখে
মুখটি ঘুরিয়ে নিলে।
আমি তোমাকে বলেছিলাম
তোমার জীবনের প্রতিটি বসন্ত আমি;
পলাশ ফুলের রং দিয়ে সাজিয়ে দিবো।
তুমি শুনলে না,
তুমি শুনলে কোকিলের সাময়িক সুর।
গ্রীস্মের উষ্ণতায় তাকে আর খুঁজে পেলে না।
তুমি আলতা খুব পছন্দ করতে-
শরতের কোন এক বিকেলে তোমাকে বলেছিলুম-
আমার সঙ্গে চলো, আমি তোমাকে
রংধনুর সাত রঙের লাল রঙটা এনে দিবো;
তুমি আলতা মেখে নগ্ন পায়ে ধুলোমাখা পথ পাড়ি দেবে আমার সাথে, তুমি এলে না।
ভরা বর্ষায় চাঁদের পুর্ণিমার আলোয়
তোমাকে গল্প শোনানো হয়নি কখনও
সেতো ছিল তোমার শুধুই শখ
রুপকথার গল্পের রাজকন্যার মতো
তোমাকেও কল্পনাতেই দেখতে হলো।
আমি বলেছিলুম শীতের শেষে বসন্ত এলে
তোমাকে বাসন্তী রঙে সাজিয়ে
খোপায় হলুদ গাদা ফুল পরিয়ে
দুরে কোথাও বেড়াতে নিয়ে যাবো
আমি বুঝতে পারিনি –
বসন্তে শুধু ফুলই ফুটে না পাতাও ঝরে যায়।
পাতাহীন শুকনো ডালগুলো প্রতিক্ষায় থাকে
নতুন সজীব জীবনের প্রত্যাশায়
অবশেষে বৈশাখের রঙ ছড়ানোর পূর্বেই
তার স্বপ্ন পূরন হয়।
পরিশেষে বসন্ত গিয়ে রুদ্র গরমের পরে বর্ষা আসে;
কিন্তু আমার জীবনে বর্ষা, বসন্ত কোনটাই আসে না।