• মাধবী-নিশীথিনী-শেষ-পর্ব
    আবু জাফর খান (গল্প),  গল্প,  সাহিত্য

    মাধবী নিশীথিনী (শেষ পর্ব)

    মাধবী নিশীথিনী (শেষ পর্ব) আবু জাফর খান   কুপির আবছা আলোয় দেখে, কুচকুচে কালো কারুকার্যময় পালঙ্কে রক্তিম মখমলের বিছানায় শায়িত এক নারী। গোটা শরীর ধবধবে সাদা চাদরে ঢাকা। শুধু মুখ অনাবৃত। যেন একটি মমের শব। গোটা মুখে হীরকের ঔজ্জ্বল্য। যেন মমির দেশের কোনো রাণীকে মমি করে রাখা হয়েছে। শাওনের ছুটে পালানোর কথা। কিন্তু সে সম্মোহিতের মতো পালঙ্কের দিকে এগিয়ে যায়। তার দৃষ্টি শবের মুখমণ্ডলে নিবদ্ধ। দৃষ্টি ফেরানোর ক্ষমতা যেন হারিয়ে গেছে। ভীষণ চেনা এই মুখ, বড় আপন! কে ইনি? “শাওন, এসেছিস?” শবের ঠোঁট মৃদু নড়ে ওঠে। তিনি অতি ক্ষীণ স্বরে ফিসফিস করে বলেন। রুদ্র শাওন কেঁপে ওঠে। ছিটকে সরে যায়।…

  • মাধবী-নিশীথিনী-শেষ-পর্ব
    আবু জাফর খান (গল্প),  গল্প,  সাহিত্য

    মাধবী নিশীথিনী (১ম পর্ব)

    মাধবী নিশীথিনী (১ম পর্ব) আবু জাফর খান   ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না? কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে, তোমারে দেখিতে দেয় না? ক্ষণিক আলোকে আঁখির পলকে তোমায় যবে পাই দেখিতে হারাই-হারাই সদা হয় ভয়, হারাইয়া ফেলি চকিতে॥’ সত্তর দশকের গোড়ার কথা। রুদ্র শাওন গুনগুন করতে করতে হনহন করে হাঁটছে। তার হাঁটার গতি দেখে যে কেউ বলবে, কোনো জরুরি কাজে বহুদূর পথ পেরবে। অবিশ্যি যারা চেনে, তারা বলবে না। দৈবাৎ দেখা হলে বরং পথ ছেড়ে সরে দাঁড়াবে। রুদ্র শাওন খান পরিবারের একমাত্র বংশধর। এই তরুণ যুবক যে বদ্ধ পাগল, তাতে ঐ তল্লাটের কারও বিন্দুমাত্র সংশয় নেই। রুদ্র শাওন…

error: Content is protected !!