-
আদ্যনাথ ঘোষের কবিতায় প্রান্তিক প্রতিধ্বনি
আদ্যনাথ ঘোষের কবিতায় প্রান্তিক প্রতিধ্বনি জহুরুল ইসলাম কবিদের কোনো সীমারেখা নেই। কবি সব দেশের, সব মানুষের, সব জাতির। কবি মানুষের কথা বলে, মানবতার কথা বলে। কবি তার গোপন আয়নায় দেখতে পান- সমাজের অসঙ্গতি, পতন, ঔদ্ধত্যের বিকৃত রূপ, অনাচার। তিনি কারও সঙ্গে আপস করেন না, করেন না। কোনো গোপন চক্রান্ত। তিনি গোপনে গোপনে ক্রমাগত মোচড় খেতে থাকেন। একদিন তিনি সব গোপন সত্য আয়নায় প্রতিফলিত করেন। তিনি প্রকাশ করেন- কারণ না করে তিনি থাকতে পারেন না। কবি আদ্যনাথ ঘোষও এর ব্যতিক্রম নন। তার ব্যথিত হৃদয় বারবার কেঁপে ওঠে স্বদেশের ভাবনায়- তাতার ঘোড়ার পিঠে ছুটেছে নাগরিক স্থাপত্যবিদ্যার যোদ্ধাকুল পতন হচ্ছে গাঁয়ের পর…
-
আত্মকথন (১ম পর্ব)
আত্মকথন (১ম পর্ব) আদ্যনাথ ঘোষ আমি আদ্যনাথ ঘোষ। নেশা লেখালেখি। মানুষের অন্তরে বসবাস। জন্ম পদ্মা নদীর তীরবর্তী হেমরাজপুর গ্রামে। পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায়। আমি যখন ছোটবেলায় সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি, তখন কবিতা লেখা শুরু করি। সেটা ছিল ১৯৮৪ সাল। ছন্দে ছন্দে লিখতাম। হতো কিনা সেটা বলা মুশকিল। আমার পাশের গ্রামের একটি ছেলে পাবনা শহরে মাঝে মধ্যেই আসত। তার নাম এখন আর বললাম না। তার কাছে একটি কবিতা দিলাম পাবনার একটা পত্রিকায় দেওয়ার জন্য। সে কবিতাটি নিজের নামে পাবনার একটি পত্রিকায় ছাপিয়ে ফেলল। আমি দেখে হতাশ, হতবাক। যাহোক, পরবর্তীতে পাবনা শহরে ১৯৯১ সালে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে স্নাতক কোর্সে…