-
অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন একজন শিক্ষাবিদ। জন্ম: অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে আজকের এই দিনে (২৫শে ডিসেম্বর) পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত দ্বারিয়াপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেনের পিতা খোন্দকার আবুল হাশেম ওরফে চুনু মিয়া (১৯১৫-২০০০ খ্রি.), যিনি ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে দ্বারিয়াপুর ১০ ন. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৩ শতাংশ জমি দান করে স্কুল প্রতিষ্ঠায় রেখে গেছেন অবিস্মরণীয় ও মহত্ত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। চুনুমিয়া তিন বছর বয়সে পিতৃহারা হন, পাঁচ বছর বয়সে মমতাময়ী মাকে হারান। খুব অল্প বয়সে এতিম হয়ে তিন ভাইবোন দুঃখ কষ্ট ভাগাভাগি করে বড়ো…
-
ড. রেবেকা বানু
ড. রেবেকা বানু অধ্যাপক (অবঃ), ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগ, ফার্মেসী অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা। জন্ম: ড. রেবেকা বানু ১৯৫১ সালের ১৮ জুলাই, পিতার কর্মস্থল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত কামারহাট গ্রাম তাঁর পৈতৃক নিবাস। পারিবারিক জীবন: পিতা বরেণ্য কথাসাহিত্যিক সরদার জয়েনউদদীন, মাতা মিসেস রাবেয়া খাতুন। ড. রেবেকা বানু তাঁদের জ্যেষ্ঠ সন্তান। তিনি ১৯৭৭ সালে ঢাকা কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক ফজলুল করিমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০০৫ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হিসেবে অধ্যাপক ফজলুল করিম সাঅবসর গ্রহণ করেন। তাঁদের দুই পুত্র সন্তান-মেজর রেজওয়ানুল করিম বর্তমানে যশোর ক্যান্টনমেন্টে আছেন ও ড. রেয়াতুল করিম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের…
-
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (৩য় পর্ব)
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (৩য় পর্ব) ~ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন রাজশাহী কলেজ থেকে অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার ১৯৪৮ সালে তৎকালীন আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (বর্তমান বুয়েট) গণিত বিভাগে যোগদান করেন। তিনি কলেজ হোস্টেলের (বর্তমানে রেজিস্ট্রারের অফিস) সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট হিসাবে হোস্টেলের দক্ষিণ প্রান্তের দোতলার কোয়ার্টারের বরাদ্দ পেয়ে ওখানে বসবাস করতে থাকেন। কোন এক কারণে ছাত্ররা হোস্টেল সুপারিনটেনডেন্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে এবং এক পর্যায়ে তাঁর বাসায় হামলা চালায়। কর্তৃপক্ষ তাকে হোস্টেলের দায়িত্ব গ্রহণ করে পুলিশে রিপোর্ট করতে বলেন। তিনি অস্বীকার করলে তাঁকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তিনি নিরুপায় হয়ে তাঁর মেজ ভাইয়ের ফরাশগঞ্জের বাসায় উঠলেন। এরপর তিনি আজিমপুরের একটি সরকারি…
-
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (২য় পর্ব)
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (২য় পর্ব) ~ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার সাতবাড়িয়া স্কুলে পড়ার সময়েই বন্ধুদের নিয়ে হাতে লেখা পত্রিকা বের করতেন। সেইখান থেকেই তিনি লেখার দিকে ঝুঁকে পড়েন। এই সময়ে ঢাকার এক ভদ্রলোক, তাঁর একখানা বইয়ের সমালোচনা আহবান করে এক বিজ্ঞাপন দেন, তখনকার কোন এক সাপ্তাহিকে। সমালোচক হতে হবে স্কুল কলেজের ছাত্র এবং সমালোচনার জন্য দেওয়া হবে তিনটি পুরস্কার। অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার এই সমালোচনায় অংশ নিয়ে দ্বিতীয় পুরস্কার পান। অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়া অবস্থাতেই আজাদ, মোহাম্মদী প্রভৃতি কাগজে ছোটদের জন্য বিজ্ঞান সম্বন্ধে লেখালিখি শুরু করেন। তাঁর অগ্রজ, বিজ্ঞানে মুসলমানের দান-এর লেখক…
-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, গবেষক, গোপালপুর (ভায়না), বিজ্ঞানী, ভায়না, লেখক পরিচিতি, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাহিত্য
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (১ম পর্ব)
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (১ম পর্ব) ~ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার অগ্রপথিক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বহুপূর্ব থেকে, প্রকৃতপক্ষে ভারত বিভক্তির পর থেকেই তিনি একাকী জোতির্বিজ্ঞান চর্চা শুরু করেছিলেন। তিনি অবিভক্ত ভারতে প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়া অবস্থায়, অর্থাৎ ছাত্র অবস্থায় জোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠেন। তাঁরা ৫ ভাইবোন, ৩ ভাই আর দুই বোন। অধ্যাপক আব্দুল জব্বার ভাইদের ভেতর সবার ছোট আর ভাইবোনদের মধ্যে চতুর্থ। তাঁর পিতার নাম ছিল মুন্সী মিয়াজান মল্লিক, মা বুলুবেগম। তাঁদের পারিবারিক অবস্থা সম্পর্কে, উনার মেজ ভাই জনাব মোহাম্মদ আকবর আলী লিখেছিলেন, “আমাদের বাপ মা ছিলেন খুবই গরীব। জমিজমা কিছুই ছিল…
-
অধ্যাপক ডা. রুহুল আবিদ
অধ্যাপক ডা. রুহুল আবিদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের এলপার্ট মেডিকেল স্কুলের একজন অধ্যাপক। তিনি ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল হেলথ ইনিশিয়েটিভস এর কার্যকরী সদস্য। এছাড়া তিনি হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফর অল-HAEFA এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। অধ্যাপক ডা. রুহুল আবিদ ২০২০ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ২১১ ব্যক্তিবর্গের মধ্যে একজন। একই সঙ্গে তাঁর অলাভজনক সংস্থা HAEFA (হায়েফা) তাঁর সঙ্গে শান্তি পুরস্কারে মনোনীত হয়। জন্ম: ডা. আবিদ ১৯৬১ সালের ২৭ মে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাকনাম লেখন। তাঁর পৈতৃক নিবাস পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সুজানগর পৌরসভায়। বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। ঢাকায় বাস করেছেন বিভিন্ন উপশহরে-মালিবাগ, ইন্দিরা রোড, কলাবাগান ও শ্যামলীতে। পারিবারিক জীবন:…