আমাদের সুজানগর
সাম্প্রতিক পোস্ট
- শিক্ষক কবির উদ্দিন চৌধুরী
- নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। শেষ পর্ব ।। ধারাবাহিক উপন্যাস ।। এ কে আজাদ দুলাল
- নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। ১২শ পর্ব ।। ধারাবাহিক উপন্যাস ।। এ কে আজাদ দুলাল
- নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। ১১শ পর্ব ।। ধারাবাহিক উপন্যাস ।। এ কে আজাদ দুলাল
- নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। ১০ম পর্ব ।। ধারাবাহিক উপন্যাস ।। এ কে আজাদ দুলাল
- মাঝি // কবিতা // জাহাঙ্গীর পানু
- নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। ৯ম পর্ব ।। ধারাবাহিক উপন্যাস
- মুক্ত ভূমিতে কয়েকদিন // ভ্রমণকাহিনি // তাহমিনা খাতুন
- নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। ৮ম পর্ব ।। ধারাবাহিক উপন্যাস ।। এ কে আজাদ দুলাল
- বই চোর // শেষ পর্ব // ছোটোগল্প // সাইফুর রহমান
- নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। ৭ম পর্ব ।। ধারাবাহিক উপন্যাস ।। এ কে আজাদ দুলাল
- আতু // ছোটোগল্প // শাহানাজ মিজান
- নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। ৬ষ্ঠ পর্ব ।। ধারাবাহিক উপন্যাস ।। এ কে আজাদ দুলাল
- বই চোর // ১ম পর্ব // ছোটোগল্প // সাইফুর রহমান
- বুকের চর, সুখ না অসুখ ।। কবিতা ।। আবুল হাশেম
- নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। ৫ম পর্ব ।। ধারাবাহিক উপন্যাস ।। এ কে আজাদ দুলাল
- এক পশলা বৃষ্টি শেষে, যদি হয় ।। কবিতা ।। পূর্ণিমা হক
- নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। ৪র্থ পর্ব ।। ধারাবাহিক উপন্যাস ।। এ কে আজাদ দুলাল
- মির্জা আব্দুর রশিদ ।। শিক্ষক ।। রাজনীতিবিদ ।। মানবহিতৈষী
- যে চাওয়া ভুল, যে প্রেম আমাকে কাঁদায় ।। কবিতা ।। কে এম আশরাফুল ইসলাম
একটি তর্জনী আর বজ্রকণ্ঠ
একটি তর্জনী আর বজ্রকণ্ঠ তাহমিনা খাতুন আজ হতে শতবর্ষ আগে জন্ম নিয়েছিল দেবদূত সম এক মানব এক দুখী জনপদে, সে জনপদের নাম বাংলা সহস্র বছরের পরাধীন জাতি। শোষণে, শাসনে তিলে তিলে হয়ে ছিল মৃতপ্রায় দরদী হৃদয় কেঁদে হয়েছিল আকুল, অসহায় জাতির দুর্দশায় তাই কঠিন শপথ নিয়েছিল সহস্র বছরের নিপীড়িত, বঞ্চিত, দুখী জনতার দুঃখ মোচনের। জগৎ দেখল একটি তর্জনী, কি অসীম শক্তিধর একটি ক্ষুদ্র তর্জনী! পৃথিবী শুনল একটি কণ্ঠের বজ্র নির্ঘোষ কি অপরিসীম বলে বলীয়ান! কি...
Read More
কালো মেঘের ছায়া, অগ্নি স্রোত, আজও খুঁজি সেই উষ্ণতা
কালো মেঘের ছায়া জিন্নাত আরা রোজী ঘুটঘুটে অন্ধকার মেঘে চাঁদ জেগে ওঠে আপন খেয়ালে, আমি নিশীথের সাথে মন করি বেচাকেনা শব্দবিহীন ঘরে। আমি ভুলিতে চেয়েও ভুলিতে পারি না তারে এ কোন তামাশা? পৃথিবীতে যত ঘৃণা আছে একবার যদি আসে আপনি দুয়ারে, জানি না তখন কেমন করে সামলাব তারে। কষ্ট আমারে করেছে কঠিন যৌবনের উদিত অহঙ্কারে ছলনাময় এই গগনের নিচে। পাথরে বেঁধেছি প্রশস্ত বুক হাসিতে আড়াল করেছি জীবনের সব লেনাদেনা। কেবলই অন্ধকারে ছুঁয়ে যাওয়া আপন...
Read More
ভেঙে পড়া শব্দের রং
ভেঙে পড়া শব্দের রং আবু জাফর খান এই যে আমি বেঁচে আছি অনন্ত জীবন ধরে ঘুরছি অরণ্যের ছায়াপথে উড়তে উড়তে ছুঁয়ে ফেলি আকাশ এবং একদা নিজেই ধূসর নক্ষত্রের পথ ধরে হেঁটে যাই, এই-ই কি জীবনের গল্প? ধুলো ওড়ে ধূলোরা উড়তে উড়তে একটি ঘূর্ণি তৈরি করে সন্ধ্যার শাঁখ বাজে বনের গহ্বরে পায়ের তলায় ঘাসেদের স্নানজল, বাল্মীকির বিমূর্ত সভ্যতা; এইসব শাপ কেন দুহাতে আমার! বনের পথে শালের ধূপ মাহুল লতা জড়ানো সেগুনের শরীর ডালপালা ডুবে গেলে নিঃস্ব...
Read More
কাকভোর
কাকভোর ♦ শফিক নহোর সকালে ঘুম থেকে উঠেই বউয়ের সঙ্গে একদফা ঝগড়া হয়ে গেল। বউ হাজারটা অভিযোগ তুলেছে; আমি খারাপ, আমি তাকে কিছুই দেইনি কান্নামিশ্রিত কণ্ঠে বলছে। রান্না ঘরে এপাশ থেকে ওপাশে যাচ্ছে। কাজের মেয়েটি আজ আসেনি। সকালের নাস্তা বানানোর দায়িত্ব তার। নাশতার টেবিলে বসে যেই মুখে খাবার দিয়েছি, বুঝলাম এখন বমি করলে কান্নার আওয়াজ বেড়ে যাবে। প্রতিদিন একই খাবার বার বার খেতে ভালো লাগে না। আমি মধুমাখা কণ্ঠে জানতে চাইলাম, “রাতের খাবার কিছু নেই? ওভেন...
Read More
ফাগুন এসেছে, আমি পথ হারা
ফাগুন এসেছে পথিক জামান এসেছে ফাগুন লেগেছে আগুন শিমুলের ডালে ডালে, দখিনা বাতাস লাগিল আসিয়া রঙিন প্রেমের পালে। এমন হয়নি আগে, কেন যে এমন লাগে, বলিও দখিন হাওয়া, সবই আমার শূন্য লাগে কিছুই হয়নি পাওয়া। ফাগুন দিনের পাখি, আমারে দেয় ফাঁকি, ডাকে কোন সে দূরে, ব্যথার বাঁশি গভীর নিশিতে বাজে করুণ সুরে। এমন মধুর রাতে সঙ্গী নাই যে সাথে গাহিতে আসে না গান, বিরহ ব্যথায় কাঁদিয়া মরি বিষিয়া উঠেছে প্রাণ। আমি তোমাকে চাই কোথায় তোমাকে...
Read More
আট ফাল্গুন
আট ফাল্গুন তাহমিনা খাতুন ভিনদেশি প্রভু চেপে ধরেছিল বাংলার কণ্ঠনালি বাংলা ভুলে শিখতে হবে তাদের শেখানো বুলি! ‘মা’ বলে ডাকা চলবে না, আর দিল এই ফরমান উর্দু ভাষা শেখার তরে, হও বাঙালি আগুয়ান। ‘মানি না মানব না’ যতক্ষণ আছে প্রাণ। গর্জে উঠল বাংলার মানুষ ‘রুখবই রুখব’ মায়ের এ অপমান। ‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’ উঠল ধ্বনি সাগরের কূলে কূলে সে ধ্বনি ক্রমে ছড়িয়ে গেল সকল মর্মমূলে। গৃহকোণ ছাড়ি পথে নেমে এল বাংলার লাখো তরুণ তাদের দমাতে...
Read More
একুশ মানে, দুয়ারে একুশ
একুশ মানে জাহাঙ্গীর পানু একুশ মানে - ফাগুন মাসের ঠান্ডা হাওয়ায় তপ্ত মনের উচ্ছাস। বাংলা মায়ের দামাল ছেলের বীরত্বগাঁথা উপন্যাস। একুশ মানে - কৃষকের মুখের হাসি স্বপ্নবোনা সোনার মাঠ। নদীতটের বটতলার বিকিকিনির গঞ্জ হাট। একুশ মানে - কিশোরীর মলিন ঠোঁটে মুক্ত আলোর বিচ্ছুরণ। সন্ধেবেলা পড়তে বসা খোকার কণ্ঠের উচ্চারণ। একুশ মানে - পাতা ঝরা শেষ বিকেলের মুক্ত ধরার প্রাণ। মধুর সুরে গেয়ে যাওয়া কোকিল পাখির গান। একুশ মানে - শিমুল পলাশ কৃষ্ণচূড়ার লাল বর্ণে ধারণ।...
Read More
ভয় নাই
ভয় নাই মো. রমজান আলী খান ভয় নাই ওরে ভয় নাই একুশে জাগ্রত বীর, ক্ষয় নাই ওরে ক্ষয় নাই বইমেলার রেখ মনস্থির। একতাবদ্ধ হও সকলে সাজো দামালের সাজ, যতই আসুক সংগঠনের বাঁধা চালিয়ে যাও কাজ। একুশে বইমেলা সম্পর্কে যদি কেউ দ্বিমত পোষণ করে, বোঝাতে হবে সকলে মিলে গিয়ে তাদের ঘরে ঘরে। বোঝাতে হবে সকলকে কেন হয় একুশে বইমেলা, যেদিন বুঝবে করবে না কখনও বইমেলার অবহেলা। বোঝাতে হবে একুশ মানে নাজিমুদ্দিনের হুংকার, উর্দু-ভাষা বলবৎ রাখবে এই...
Read More
হারানো ফাল্গুন
হারানো ফাল্গুন তাহমিনা খাতুন ফাল্গুন এসেছে আবার ফিরে শূন্য রিক্ত হাতে খুঁজে ফিরি ফাল্গুনী মায়া রুক্ষ অকরুণ খাঁ খাঁ প্রান্তরে। ফাল্গুন খুঁজে ফিরি জারুলের বনে, খুঁজে তো পাই না তা হারায়েছে জারুলের বন। সাথে নিয়ে গেছে স্নিগ্ধ মনোরম বেগুনির মায়া ফাগুনের আগুন খুঁজি কৃষ্ণচূড়ার বনে। কৃষ্ণচূড়ার বোন উধাও! সাথে হারায়েছে ফাগুনের আগুন রাধাচূড়া ফিরে গেছে, নয়ন জুড়ানো হলুদের আলপনা মুছে গেছে তাই। বৃক্ষহীন শাল বনে নাই পাতা ঝরার গান ফাল্গুনে শুনি না তাই কোকিলের ‘কুহুতান।...
Read More
কলকাকলি, ছলনার ফসল
কলকাকলি কে এম আশরাফুল ইসলাম দেখেনি ভুবন ভাষার রণাঙ্গন কালে কস্মিনে কোথাও, বাংলার কানন খুনে রাঙ্গা ভাষা শহিদানের দিকে চাও! শকুনি মামারা হায়েনার বেয়ারা কাড়িতে মায়ের ভাষা, ক্ষিপ্ত মাতোয়ারা মূর্খতার মুকুটে এলো করিতে সর্বনাশা! বীরের জাতি না মেনে বজ্জাতি ভাষার দাবিতে অটল, বীরত্বে মাতি জরুরী আইন ভাঙ্গিয়া অবাধ কোলাহল! বুলেটে ঝাঁঝরা নির্বোধ পাকেরা করিলো অকুতোভয় বীর, দেখিলো ধরা ভাষার তরে বিশ্বে কাহাদের দুর্বিনীত শির! মায়ের ভাষা পরম খাসা জন্মসূত্রে ভূমে ভূমে চিরকাল, পুরায় আশা কোল...
Read More
বিষণ্ণতার নীল চাদর
বিষণ্ণতার নীল চাদর: জাহাঙ্গীর পানুর শব্দে জীবনের প্রতিচ্ছবি @ আলতাব হোসেন, সাহিত্য আলোচক ও সম্পাদক কবি জাহাঙ্গীর পানুর কাব্যগ্রন্থ ‘বিষণ্ণতার নীল চাদর’ এক গভীর আত্মমগ্নতায় জড়ানো অনুভবের সংকলন। এই গ্রন্থ যেন জীবনের নিভৃত বিষাদের এক শিল্পিত প্রতিচ্ছবি, যেখানে প্রতিটি শব্দ হয়ে উঠেছে একেকটি ক্ষতচিহ্ন। কবি তাঁর অভিজ্ঞতার পটে এঁকেছেন নীলাভ বিষণ্ণতার এক মোহময় আলেখ্য, যেখানে একদিকে নিজের অন্তর্দ্বন্দ্ব, অন্যদিকে সমাজের অন্তর্গত বিষাদের কথা বলেছেন। গ্রন্থটির নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এক আকর্ষণীয় ব্যঞ্জনা। ‘বিষণ্ণতার নীল চাদর’...
Read More
একুশ তুমি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, চেতনা
একুশ তুমি খোন্দকার আমিনুজ্জামান একুশ তুমি আমার রক্তে রুয়ে দিয়েছ ভাষার অহংকার মননে তাই মাতৃভাষার অতুল ঝংকার। একুশ তুমি প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের নাম শহিদ সূর্য সৈনিক বরকত-রফিক-জব্বার-সালাম। একুশ তুমি বাংলা বর্ণমালার প্রতি প্রবল প্রীতির ঝোঁক মা মাটি মানুষের সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ। একুশ তুমি মাতৃভাষা রক্ষার বিরল বিস্ফোরণ আন্তর্জাতিকভাবে তাই করে সবাই স্মরণ। একুশ তুমি অন্যায় প্রতিরোধের অঙ্গীকার সত্য-সন্দর শক্তির সুদীপ্ত অহংকার। একুশ তুমি বাংলা মায়ের বুক আমার মায়ের মমতাময়ী মুখ। একুশ তুমি হয়ে গেছ আজ...
Read More
খোকা, বর্ণমালা ও স্বাধীনতা
কখোকা রাফিয়া লাইজু কিলিজ আবীর রাঙা পলাশ-শিমুল-কৃষ্ণচূড়া ডালে কত কথা কয় প্রকৃতি, নীরবে নিভৃতে, স্মৃতির মিনারে থোকা থোকা ফুলে কত বেদনার মালা গাঁথা, প্রাতে! আসি বলে, গরম ভাতের থালাটা রেখে, সেই যে গেলো ভাই আসলো না আর ফিরে, ফিরতি পথে, চুড়ি-মালা, আরো কত কী নিবে সবকিছু আজ স্মৃতির মণিকোঠায়, সয়ে যাওয়া ফিকে! অশ্রু শুকায় মায়ের চোখেতে পথ চেয়ে চেয়ে থেকে, এই বুঝি খোকা ডাকল আমায় মা...মা...বলে দূর থেকে! খোকা ফিরে আর আসে না, মা আশা...
Read More
সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (শেষ পর্ব)
সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (শেষ পর্ব) তাহমিনা খাতুন চৌব্বিশ. দেখতে দেখতে কতগুলো বছর পার হয়ে গেছে। হাবিবুর, মোমিনা দুজনেরই বয়স বেড়েছে। ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া শিখে সবাই জীবনে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তবুও হাবিবুর রহমান এখনো পুরোপুরি অবসরে যাননি। গ্রামের মসজিদে ইমামতি, সংসারের টুকটাক কাজ কর্ম, বাড়ির সঙ্গে লাগোয়া জমিতে শাক-সবজি লাগানো ইত্যাদি করে সময় কাটান। আষাঢ় মাস। আকাশ কালো করে অঝোরে বৃষ্টি নেমেছে। নূরপুরের মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে আসছে। হাবিবুর রহমান একটা ছাতা নিয়ে অনেকক্ষণ আগেই মাগরিবের...
Read More
দূর জংলার গান
দূর জংলার গান : ভাব ও রূপকল্পের অন্বেষণ আতাউল হক মাসুম হৃদয়ের গভীর অনুভূতি মস্তিষ্ক থেকে উৎসারিত হয়ে শব্দ-ছন্দ-অলঙ্কার ও উপমার মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার মাধ্যম হলো কবিতা। একটি সুদৃশ্য অট্টালিকা নির্মাণের পর দর্শক তার মহিমাকীর্তন বা সমালোচনাই করতে পারেন শুধু; তা নির্মাণে শ্রমিকের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা কয়জনই বা স্মরণ করেন। একটি সার্থক কবিতা রচনার পেছনেও একজন কবির নিরলস শ্রমের কথা অস্বীকার করার জো নেই। তবে সব কবিই পরিশ্রমী নয়, কেউ কেউ পরিশ্রমী। বাংলা সাহিত্যে শূন্য...
Read More
Load More