আমাদের সুজানগর
সাম্প্রতিক পোস্ট
- পাহাড়ি ললনা, অবাঞ্চিত কবিতা
- দেখে নিও তুমি
- বোশেখ বন্দনা
- শিক্ষক কবির উদ্দিন চৌধুরী
- রক্তাক্ত স্বাধীনতা
- আত্মশুদ্ধির মাস
- লীলাচোখ, তুমি নেই, ঢেউতলে
- একটি তর্জনী আর বজ্রকণ্ঠ
- কালো মেঘের ছায়া, অগ্নি স্রোত, আজও খুঁজি সেই উষ্ণতা
- ভেঙে পড়া শব্দের রং
- কাকভোর
- ফাগুন এসেছে, আমি পথ হারা
- আট ফাল্গুন
- একুশ মানে, দুয়ারে একুশ
- ভয় নাই
- হারানো ফাল্গুন
- কলকাকলি, ছলনার ফসল
- একুশ তুমি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, চেতনা
- খোকা, বর্ণমালা ও স্বাধীনতা
- সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (শেষ পর্ব)
{"ticker_effect":"slide-v","autoplay":"true","speed":3000,"font_style":"normal"}
পাহাড়ি ললনা, অবাঞ্চিত কবিতা
পাহাড়ি ললনা কে এম আশরাফুল ইসলাম সবুজের মিতালি শাওড়াতলী অদূরেই পাহাড়ের মায়া, নিত্য কলকাকলি উড়ায়ে আঁচল ডেকেছিল প্রশান্তির ছায়া। মায়াময় আঁখি প্রশান্তির পাখি বিস্তার করিয়া ডানা, বাঁধিয়া রাখি পরাণে পশিয়া দিয়েছিল ঠিকানা। জীবনের আশা নিরঙ্কুশ ভরসা প্রত্যয়ের বাতিঘর, তৃষিত ভালোবাসা প্রণয় বাঁধনে কেউ হবে না তো পর! লালমাই পাহাড় আকর্ষণ দুর্নিবার ময়নামতির আঁচল, কোটবাড়ি তার হৃদয়ে ‘BARD’ ঐতিহাসিক কমল, সর্পিল পথ লালমতি কিছমত পার হয়ে সেই প্রাণ, করিয়া শপথ বেলতলী স্কুলে সতীর্থ হৃদয়ের টান, মুক্ত...
Read More
দেখে নিও তুমি
দেখে নিও তুমি পূর্ণিমা হক যদি আমাকে দেখতে মন চায় দেখে নিও আকাশের নীলিমায় একঝাঁক বলাকা উড়ছে- সেখানেই রবো আমি। দেখে নিও বিলের মাঝে ফোটা লাল শাপলায় আর পথে-প্রান্তরে ছুঁয়ে যাওয়া সবুজ শস্যের মেলায়। লুকিয়ে রবো আমি প্রতিটি সবুজের গোড়ায় খুঁজে নিও তুমি তা সরায়ে সরায়ে। কখনো বসন্তের দখিনা মলয়ে উড়ে যাওয়া যত ধুলোবালি, কখনো বা স্নিগ্ধ চাঁদনী রাতে আকাশে তারার সারি দেখবে তুমি সেখানেই রয়েছি আমি– অথবা দেখে নিও আমায় আকাশের এক কোণে জমে...
Read More
বোশেখ বন্দনা
বোশেখ বন্দনা তাহমিনা খাতুন চৈত্রের অগ্নিবান হলো সবে শেষ বোশেখ এলো যেন নিবারিতে সব ক্লেশ। চৈত্রের রোদ্দুরে মাঠ-ঘাট চৌচির কোথাও মেলে না দেখা শান্তির নীড়। জনশূন্য ফাঁকা নিস্তব্ধ চারিধার ভুলেছিল প্রাণীকূল শোনাতে কলস্বর। ঘুঘুর ক্লান্ত সুর ভরাত দুপুর মনের তারে বাজাতো শুধু বিষাদের সুর। বন-বনানী হয়েছিল কাতর পিপাসায় চাতকের মতো গুনছিল দিন বোশেখের প্রতীক্ষায়। চৈত্রের ভয়াল তাপে ওষ্ঠাগত সব প্রাণ রুদ্র কালবৈশাখী গাইল যেন নতুন দিনের গান। রুদ্র বোশেখের আজ হলো আগমন নতুন দিনের তরে...
Read More
শিক্ষক কবির উদ্দিন চৌধুরী
শিক্ষক কবির উদ্দিন চৌধুরী ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জানুয়ারি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার রানীনগর ইউনিয়নের বাঘুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল: কবির উদ্দিন চৌধুরীর বাল্যকাল কাটে বাঘুলপুর গ্রামে। অভাব-অনটনের মধ্যে দিন কাটতো। ছোটবেলা থেকেই মসজিদে গিয়ে আজান দিয়ে নামাজ পড়াতেন। পাশাপাশি ছোটদের বাংলা, আরবি, ইংরেজি, গণিত শিক্ষা দিতেন। এরপর ধীরে ধীরে সবার মাঝে শিক্ষক হিসেবে পরিচিতি পান। পারিবারিক জীবন: তিনি পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ের জনক। শিক্ষাজীবন: কবির উদ্দিন চৌধুরী প্রথমে খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে...
Read More
রক্তাক্ত স্বাধীনতা
রক্তাক্ত স্বাধীনতা আনিছুর রহমান মিলন '৭১-এ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাকে বাঙালির বিজয়ের স্পৃহা জাগে গিরি, মরু, মাঠ, ঘাট, পথ-প্রান্তর ও নদীর বাঁকে বাঁকে। ৫৬ হাজার বর্গমাইল সমান চওড়া ছিল বঙ্গবন্ধুর বুক আজও তাই লাল সবুজের পতাকার মাঝে ভেসে উঠে প্রিয় সে মুখ। দুইশ বছরের ব্রিটিশ শাসন শেষে ১৯৪০-এ 'লাহোর প্রস্তাব' মুসলমান অধ্যুষিত দুটি অঞ্চল হবে দুটি ভাগ। ষড়যন্ত্র ও কূটচালের বীজ হলো বোপন হিন্দুস্তান ও পাকিস্তান গঠন করল মিটিং হলো গোপন। পূর্ব পাকিস্তানকে নিয়ে খেলা হলো...
Read More
আত্মশুদ্ধির মাস
আত্মশুদ্ধির মাস জাহাঙ্গীর পানু স্বাগতম হে মাহে রমাদান। তোমার আগমনে হৃদয় হয় স্পন্দনে উদ্বেলিত। মহান রবের প্রতি চির কৃতজ্ঞতায় হয়েছি মোরা ধন্য। আপন শরীরের অযাচিত আবর্জনা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার হয়ে যাক; আদায় হোক দেহের পরিপূর্ণ যাকাত। মানবতার মুক্তির সনদ কোরআনের আগমনে বেড়েছে তোমার সম্মান; সত্য মিথ্যার পার্থক্য বুঝে আমরা করি মহান স্রষ্টার গুণগান। তোমার মাধ্যমে মহান স্রষ্টা সুযোগ দিয়েছে তাঁর সম্পর্কে জানিবার মানবজাতির সহজে সুযোগ হয়েছে মহান প্রতিপালককে চিনিবার। রহমত, বরকত আর মাগফেরাতের মাস দোযখ...
Read More
লীলাচোখ, তুমি নেই, ঢেউতলে
লীলাচোখ আদ্যনাথ ঘোষ পাখিভোর আজ লীলাচোখে কুমারীত্ব হারায়। লীলাচোখ দুষ্টুমি জানে, পার ভাঙে, গড়ে পার- জলে জলে জ্বলে উঠে স্রোতস্বিনী নদী। জোছনামুখর গ্রহণে গ্রহণ লাগা কাঁঠালি ভরণথোর, রোদেতে প্লাবন; রোদেতে রোদপোড়া ত্রিবেণী মাতঙ্গিনী সোহাগকলস। তবু তার ভাঙন-গড়ন হয়ে উঠে উৎসব; সৃষ্টিপাগল-জলচোখ- ক্ষরণের দহনজ্বালা জোয়ারের পুণ্যতোয়া নদী। এ কেমন জ্বালায় জ্বলে ওঠো, ওগো মেয়ে দহনে দাহনে পুড়ে সুখ পাও, লীলাচোখ পাড়ায়- উল্লাসে মাতাল চোখ, উৎসব ভোর। সবুজ উৎসব মাতে, নদীর এধার ওধার জলেতে জল চায়; বিনিময়ে...
Read More
একটি তর্জনী আর বজ্রকণ্ঠ
একটি তর্জনী আর বজ্রকণ্ঠ তাহমিনা খাতুন আজ হতে শতবর্ষ আগে জন্ম নিয়েছিল দেবদূত সম এক মানব এক দুখী জনপদে, সে জনপদের নাম বাংলা সহস্র বছরের পরাধীন জাতি। শোষণে, শাসনে তিলে তিলে হয়ে ছিল মৃতপ্রায় দরদী হৃদয় কেঁদে হয়েছিল আকুল, অসহায় জাতির দুর্দশায় তাই কঠিন শপথ নিয়েছিল সহস্র বছরের নিপীড়িত, বঞ্চিত, দুখী জনতার দুঃখ মোচনের। জগৎ দেখল একটি তর্জনী, কি অসীম শক্তিধর একটি ক্ষুদ্র তর্জনী! পৃথিবী শুনল একটি কণ্ঠের বজ্র নির্ঘোষ কি অপরিসীম বলে বলীয়ান! কি...
Read More
কালো মেঘের ছায়া, অগ্নি স্রোত, আজও খুঁজি সেই উষ্ণতা
কালো মেঘের ছায়া জিন্নাত আরা রোজী ঘুটঘুটে অন্ধকার মেঘে চাঁদ জেগে ওঠে আপন খেয়ালে, আমি নিশীথের সাথে মন করি বেচাকেনা শব্দবিহীন ঘরে। আমি ভুলিতে চেয়েও ভুলিতে পারি না তারে এ কোন তামাশা? পৃথিবীতে যত ঘৃণা আছে একবার যদি আসে আপনি দুয়ারে, জানি না তখন কেমন করে সামলাব তারে। কষ্ট আমারে করেছে কঠিন যৌবনের উদিত অহঙ্কারে ছলনাময় এই গগনের নিচে। পাথরে বেঁধেছি প্রশস্ত বুক হাসিতে আড়াল করেছি জীবনের সব লেনাদেনা। কেবলই অন্ধকারে ছুঁয়ে যাওয়া আপন...
Read More
ভেঙে পড়া শব্দের রং
ভেঙে পড়া শব্দের রং আবু জাফর খান এই যে আমি বেঁচে আছি অনন্ত জীবন ধরে ঘুরছি অরণ্যের ছায়াপথে উড়তে উড়তে ছুঁয়ে ফেলি আকাশ এবং একদা নিজেই ধূসর নক্ষত্রের পথ ধরে হেঁটে যাই, এই-ই কি জীবনের গল্প? ধুলো ওড়ে ধূলোরা উড়তে উড়তে একটি ঘূর্ণি তৈরি করে সন্ধ্যার শাঁখ বাজে বনের গহ্বরে পায়ের তলায় ঘাসেদের স্নানজল, বাল্মীকির বিমূর্ত সভ্যতা; এইসব শাপ কেন দুহাতে আমার! বনের পথে শালের ধূপ মাহুল লতা জড়ানো সেগুনের শরীর ডালপালা ডুবে গেলে নিঃস্ব...
Read More
কাকভোর
কাকভোর ♦ শফিক নহোর সকালে ঘুম থেকে উঠেই বউয়ের সঙ্গে একদফা ঝগড়া হয়ে গেল। বউ হাজারটা অভিযোগ তুলেছে; আমি খারাপ, আমি তাকে কিছুই দেইনি কান্নামিশ্রিত কণ্ঠে বলছে। রান্না ঘরে এপাশ থেকে ওপাশে যাচ্ছে। কাজের মেয়েটি আজ আসেনি। সকালের নাস্তা বানানোর দায়িত্ব তার। নাশতার টেবিলে বসে যেই মুখে খাবার দিয়েছি, বুঝলাম এখন বমি করলে কান্নার আওয়াজ বেড়ে যাবে। প্রতিদিন একই খাবার বার বার খেতে ভালো লাগে না। আমি মধুমাখা কণ্ঠে জানতে চাইলাম, “রাতের খাবার কিছু নেই? ওভেন...
Read More
ফাগুন এসেছে, আমি পথ হারা
ফাগুন এসেছে পথিক জামান এসেছে ফাগুন লেগেছে আগুন শিমুলের ডালে ডালে, দখিনা বাতাস লাগিল আসিয়া রঙিন প্রেমের পালে। এমন হয়নি আগে, কেন যে এমন লাগে, বলিও দখিন হাওয়া, সবই আমার শূন্য লাগে কিছুই হয়নি পাওয়া। ফাগুন দিনের পাখি, আমারে দেয় ফাঁকি, ডাকে কোন সে দূরে, ব্যথার বাঁশি গভীর নিশিতে বাজে করুণ সুরে। এমন মধুর রাতে সঙ্গী নাই যে সাথে গাহিতে আসে না গান, বিরহ ব্যথায় কাঁদিয়া মরি বিষিয়া উঠেছে প্রাণ। আমি তোমাকে চাই কোথায় তোমাকে...
Read More
আট ফাল্গুন
আট ফাল্গুন তাহমিনা খাতুন ভিনদেশি প্রভু চেপে ধরেছিল বাংলার কণ্ঠনালি বাংলা ভুলে শিখতে হবে তাদের শেখানো বুলি! ‘মা’ বলে ডাকা চলবে না, আর দিল এই ফরমান উর্দু ভাষা শেখার তরে, হও বাঙালি আগুয়ান। ‘মানি না মানব না’ যতক্ষণ আছে প্রাণ। গর্জে উঠল বাংলার মানুষ ‘রুখবই রুখব’ মায়ের এ অপমান। ‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’ উঠল ধ্বনি সাগরের কূলে কূলে সে ধ্বনি ক্রমে ছড়িয়ে গেল সকল মর্মমূলে। গৃহকোণ ছাড়ি পথে নেমে এল বাংলার লাখো তরুণ তাদের দমাতে...
Read More
একুশ মানে, দুয়ারে একুশ
একুশ মানে জাহাঙ্গীর পানু একুশ মানে - ফাগুন মাসের ঠান্ডা হাওয়ায় তপ্ত মনের উচ্ছাস। বাংলা মায়ের দামাল ছেলের বীরত্বগাঁথা উপন্যাস। একুশ মানে - কৃষকের মুখের হাসি স্বপ্নবোনা সোনার মাঠ। নদীতটের বটতলার বিকিকিনির গঞ্জ হাট। একুশ মানে - কিশোরীর মলিন ঠোঁটে মুক্ত আলোর বিচ্ছুরণ। সন্ধেবেলা পড়তে বসা খোকার কণ্ঠের উচ্চারণ। একুশ মানে - পাতা ঝরা শেষ বিকেলের মুক্ত ধরার প্রাণ। মধুর সুরে গেয়ে যাওয়া কোকিল পাখির গান। একুশ মানে - শিমুল পলাশ কৃষ্ণচূড়ার লাল বর্ণে ধারণ।...
Read More
ভয় নাই
ভয় নাই মো. রমজান আলী খান ভয় নাই ওরে ভয় নাই একুশে জাগ্রত বীর, ক্ষয় নাই ওরে ক্ষয় নাই বইমেলার রেখ মনস্থির। একতাবদ্ধ হও সকলে সাজো দামালের সাজ, যতই আসুক সংগঠনের বাঁধা চালিয়ে যাও কাজ। একুশে বইমেলা সম্পর্কে যদি কেউ দ্বিমত পোষণ করে, বোঝাতে হবে সকলে মিলে গিয়ে তাদের ঘরে ঘরে। বোঝাতে হবে সকলকে কেন হয় একুশে বইমেলা, যেদিন বুঝবে করবে না কখনও বইমেলার অবহেলা। বোঝাতে হবে একুশ মানে নাজিমুদ্দিনের হুংকার, উর্দু-ভাষা বলবৎ রাখবে এই...
Read More