-
আহম্মদপুর, কৃতি ব্যক্তিবর্গ, তাঁতিবন্ধ, দুলাই, নাজিরগঞ্জ, ভায়না, মানিকহাট, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, রানিনগর, সাগরকান্দি, সাতবাড়িয়া, হাটখালী
সুজানগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা
সুজানগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার পৌরসভা এবং ইউনিয়নভিত্তিক গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: সুজানগর পৌরসভার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: শহিদ আ. আউয়াল শহিদ ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলাল মো. তোফাজ্জল হোসেন (যুদ্ধাহত ) মো. শাহজাহান আলী মন্টু (যুদ্ধাহত ) শ্রী সুনিল কুমার সাহা মো. আব্দুস ছামাদ মো. আব্দুল হাই মো. আব্দুল কাদের মো. আব্দুল হামিদ মো. সুলতান মাহমুদ মো. আবুল কালাম আজাদ মো. মসলেম উদ্দিন মো. মোজাম্মেল হক চুন্নু মৃত আকবর আলী মো. আববাস আলী আব্দুল বাতেন শ্রী পরেশ চন্দ্র সাহা লিয়াকত আলী খন্দকার আবুল কালাম মো. সেলিম বদর মৃত হাবিবুর রহমান মো. ইয়াছিন উদ্দিন মো. আ. গণি মো. মনসুর রহমান…
-
একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (৪র্থ পর্ব)
একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (৪র্থ পর্ব) সাইফুর রহমান এবারের অপারেশন হবে বনকোলা নামক গ্রামে। সেখানে জনা পঞ্চাশেক মিলিটারির একটি ক্যাম্প গঠিত হয়েছে। যেকোনো মূল্যে সে ক্যাম্পটিকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। বনকোলা গ্রামটি একেবারে গাজনার বিলের তীর ঘেঁষে। সেই হিসেবে জলপথেই আক্রমণ সবচেয়ে সুবিধা ও নিরাপদ। তিনটি নৌকায় তোলা হলো মোট বিশ জন মুক্তিযোদ্ধা। দুটি ভাউলিয়া নৌকা ও একটি জেলে ডিঙি। ভাউলিয়া নৌকাটির পেছন থেকে অর্ধেক পর্যন্ত বাঁশের শক্ত চাতালের মতো ছই। সামনেরটুকু একেবারেই ফাঁকা। এতে করে বেশ সুবিধাই হয়। পাকসেনাদের নিয়োজিত অনুচরদের আর সন্দেহ থাকে না যে সেগুলোতে আসলে মুক্তিযোদ্ধারা লুকিয়ে আছে। ভাউলিয়া নৌকাটি ক্ষুদ্রাকার, অপ্রয়োজনীয় বাহুল্যবর্জিত ও হালকা। অপেক্ষাকৃত কম…
-
তালুকদার বাড়ি জামে মসজিদ
তালুকদার বাড়ি জামে মসজিদ পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের খয়রান গ্রামটি একটি প্রসিদ্ধ ও ঐহিত্যবাহী গ্রাম। গ্রামের তালুকদাররা ছিল বেশ প্রভাবশালী ও বিত্তশালী। প্রায় ২০০ বছর পূর্বে তালুকদারদের পূর্বপুরুষ খয়রান তালুকদার বাড়ি জামে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রতিষ্ঠাতা: তালুকদার বংশের হাজি মো. মহসিন উদ্দিন তালুকদার (মহসিন মুন্সি) এলাকার ইসলাম ধর্মের লোকদের ইবাদতের জন্য খয়রান তালুকদার বাড়ি জামে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। মসজিদটি যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন খয়রান গ্রামের আশেপাশে উলাট, কাদোয়া, গাবগাছি গ্রামে কোনো মসজিদ ছিল না। তাই নামাজ পড়ার জন্য মুসল্লিরা এই মসজিদে আসতেন। পটভূমি: খয়রান মসজিদ স্থাপনের পূর্বে এই এলাকার মুসলমানরা শুক্রবারের জুম্মার নামাজ আদায়ের জন্য দুলাইয়ের জমিদার আজিম…
-
এসো দেশকে ভালবাসি
এসো দেশকে ভালোবাসি একটি অরাজনৈতিক সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনটি মূলত দূর্নীতি, মাদক, বাল্য বিবাহ, খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে এবং বন্যপ্রাণী ও ইলিশ মাছ সংরক্ষণে কাজ করে আসছে। সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে এবং বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে এসো দেশকে ভালোবাসি সংগঠনের আত্ম প্রকাশ ঘটে। প্রতিষ্ঠাতা: সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়: তৈলকুণ্ডু, মানিকহাট, সুজানগর, পাবনা। বর্তমান কমিটি: ১। সভাপতি: আহমেদ ফররুখ কবির (বাবু) ২। সহ-সভাপতি: ক) মো: আব্দুল মান্নান (মানু) খ) প্রফেসর মো: ইশানুর রহমান গ) মো: আলমগীর কবির ৩। সাধারণ সম্পাদক: মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম ৪। সাংগঠনিক সম্পাদক: মো: সাহেব আলী মাস্টার ৫৷…
-
ইউনিয়ন মানিকহাট
ইউনিয়ন মানিকহাট এ এফ এম মনিরুল ইসলাম তরুন মানিকহাটে মানিক ভরা, অন্য কোথাও নাই সকল পেশার মানুষ আছে, জনসংখ্যাও বোঝাই। সকল বাড়ির ছেলে-মেয়েরাই করে লেখা পড়া বড় বড় কর্মকর্তা আর ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারে ভরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভরপুর, বাজার ঘাটও অধিক স্কুল কলেজ অনেক আছে, মাদ্রাসাও একাধিক। একপাশে পদ্মা নদী, অন্য পাশে বিল গাজনা খাবারে বাহারি বেশ, তরকারিতে খায় ভাজনা। মানিকহাট বড় গ্রাম, স্কুল সেথা দুইটা হাই স্কুলের পাশেই আছে, প্রাইমারি স্কুলটা। গোরস্থানের পাশেই আবার, কওমি মাদ্রাসা সব প্রতিষ্ঠানেই জনগনের, আছে ভালবাসা। উলাটে মাদ্রাসা অনেক বড়, অতি পুরাতন এখান থেকে শিক্ষা নিয়েছে, অনেক গুণীজন। প্রাইমারী স্কুল আর আলিম মাদ্রাসা এলাকার শিক্ষা…
-
বীর প্রতীক আজিজুর রহমান
বীর প্রতীক আজিজুর রহমান (মৃত্যু: ১৯৯০ খ্রি.) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। সুজানগর উপজেলার মধ্যে তিনিই একমাত্র খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। জন্ম: বীর প্রতীক আজিজুর রহমানের পৈতৃক বাড়ি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের বোনকোলা গ্রামে। পারিবারিক জীবন: পিতার নাম আবদুল আলী মোল্লা এবং মায়ের নাম জাগিরননেছা। স্ত্রী লুৎফা বেগম। তাদের তিন মেয়ে ও পাঁচ ছেলে। কর্মজীবন: আজিজুর রহমান চাকরি করতেন ইপিআরে। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে কর্মরত ছিলেন দিনাজপুর সেক্টরের ৯ নম্বর উইংয়ে (বর্তমানে ব্যাটালিয়ন)। তখন তাঁর পদবি ছিল হাবিলদার। প্রতিরোধযুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আরও পড়ুন বীর মুক্তিযোদ্ধা…
-
বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন সন্টু
বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন সন্টু ছিলেন পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়া) আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য, জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। পাবনায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন সন্টু। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বৈরী পরিস্থিতির মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ছাত্রজীবনে। ১৯৭১ সালে ২৮ ও ২৯ মার্চ পাবনায় প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেন। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত নগরবাড়ি ঘাটে অবস্থান করে প্রতিরোধ যুদ্ধ করেন। এরপর ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে ৭ নং সেক্টরের অধীনে যুক্ত হন। সীমান্ত এলাকায় একাধিক যুদ্ধে অংশগ্রহণ শেষে পাবনার এফএফ কমান্ডার নিযুক্ত হন। পাবনায় ঐতিহাসিক শানিরদিয়াড় যুদ্ধ, সুজানগর থানা আক্রমণসহ অনেকগুলো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মহান…
-
বোনকোলা গ্রাম পরিচিতি
বোনকোলা গ্রাম পরিচিতি: বোনকোলা পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার একটি সুনামধন্য গ্রাম। গ্রামটি সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের অনেকটা মধ্যভাগে অবস্থিত। সুবিশাল আয়তন নিয়ে অনাবিল সৌন্দর্যের গাজনার বিল ঘেঁষে, ব্যস্ত বাজার, নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক নিয়ে বীর দর্পে স্থিত রয়েছে নামকরা এ গ্রামটি। গ্রামের ইতিহাস ও নামকরণ: বোনকোলা গ্রামের নামকরণের ইতিহাস তেমন কিছু জানা যায় না। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিমত অনুসারে গ্রামটি অনেক পুরাতন। নির্ভরযোগ্য কিছু বয়োবৃদ্ধ লোকদের নিকট জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেলো, বহু আগে পদ্মা নদীর উত্তর পারের কোল ধরে বন-খাগড়ায় আবৃত্ত ছিলো। কিছু মানুষ এই বন কেটে জনবসতি শুরু হয়, এই জনবসতি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। আর এই…
-
বিমল কুণ্ডু
বিমল কুণ্ডু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। কবি, সাহিত্যিক ও গবেষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। জন্ম: বিমল কুণ্ডু ১৯৪৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত মানিকহাট ইউনিয়নের রাইপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা স্বর্গীয় জগবন্ধু ও মা অনিলা কুণ্ডুর সাত সন্তানের কনিষ্ঠ সন্তান তিনি। স্ত্রী গৃহলক্ষ্মী। ব্যক্তিজীবনে দুই পুত্রের জনক। শিক্ষা জীবন: বিমল কুণ্ডু গ্রামের স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে ১৯৬৬ সালে এইচএসসি এবং ১৯৬৯ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়…
-
মাওলানা শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ
মাওলানা শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ছিলেন উলাট সিদ্দিকীয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার সাবেক আরবি প্রভাষক। শারীরিক প্রতিবন্ধী এই মানুষটিকে যখন মহান স্রষ্টা পৃথিবীতে প্রেরণ করেছিলেন তখন বাবা, মা, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও গ্রামবাসী কেউ ভাবেননি যে এই মানুষটিই মহান রাব্বুল আলামীনের কৃপায় একদিন অত্র এলাকায় নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে আর দশজন প্রতিবন্ধীর জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করবেন। ‘জন্ম হোক যথাতথা কর্ম হোক ভালো’ বাংলা ব্যাকরণের ভাব সম্প্রসারণের এই প্রবাদটির একটি অনন্য উদাহরণ তিনি। জন্ম: মাওলানা শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ১৯৫৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর, পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের উলাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মো: আলহাজ্ব আব্দুল কুদ্দুস সেখ। শিক্ষা জীবন: তিনি বাড়ির পাশেই…