-
আবদুল গনি হাজারী (৩য় পর্ব)
আবদুল গনি হাজারী (৩য় পর্ব) আবদুল গনি হাজারীর তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘‘জাগ্রত প্রদীপ’’ প্রকাশিত হয় ১৯৭০ সালের নভেম্বর মাসে। এ গ্রন্থেও কবি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি, বক্তব্য ও কবিভাষার উৎকৃষ্টতর উত্তরণের স্বাক্ষর রেখেছেন। মূলত এ কাব্যগ্রন্থেই তাঁর কবিপ্রতিভার পূর্ণতা প্রকাশ পেয়েছে। এ গ্রন্থের নামকবিতা ‘জাগ্রত প্রদীপ’-এ পাওয়া যায় মুমূর্ষ পিতাকে ঘিরে অসহায় সন্তানদের করূণ প্রার্থনার বিষন্নরুপ। পুরো কবিতাটির মধ্যে একটি নাটকীয় পরিবেশ বিরাজিত। এ কবিতাটির মধ্যে একজন যথার্থ কবির স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে। এ দীর্ঘ কবিতাটির শেষের পংক্তিগুলো সহসা আমাদের দৃষ্টি ফিরিয়েছে মৃত্যু অতীত রহস্যোলোকের প্রতি, নৈরাশ্যের অন্ধকার থেকে বিশ্বাসের আলোতে- “তোমাদের পিতাকে চড়িয়ে দিরাম সংশয়ের ভ্রুভঙ্গে প্রত্যয়ের অস্থিতে, বন্ধা রাত্রির উন্মুখ গর্ভে…
-
আবদুল গনি হাজারী (২য় পর্ব)
আবদুল গনি হাজারী (২য় পর্ব) কাব্য মূল্যায়ন: আবদুল গনি হাজারীর কাব্য-প্রতিভা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে কবি শামসুর রাহমান বলেছেন,‘‘ ‘সামান্য ধন’ অসমান্য খ্যাতি অর্জন করতে পারে নি। এই গ্রন্থে আবদুল গনি হাজারীর কাব্যকৃতি তেমন উজ্জ্বল নয় যদিও প্রথম বইতেই তাঁর কোনো কোনো বৈশিষ্ট্য কাব্যরসিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। কিন্তু ‘সূর্যের সিঁড়ি’ প্রকাশিত হবার পরে এই কবির শক্তি সম্পর্কে কারো মনে কোনো দ্বিধা রইল না। একজন শক্তিশালী বিদগ্ধ কবি হিসেবে আবদুল গনি হাজারীর প্রতিষ্ঠিত হলেন পাঠক সমাজে।’’ তিনি জীবনের অধিকাংশ সময় বাস করেছেন কলকাতা ও ঢাকা শহরে। ফলে নাগরিক-জীবনের চালচিত্র প্রধানভাবে তাঁর কবিতার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। সৈয়দ আলী আহসান লিখেছেন, “নগর…
-
আবদুল গনি হাজারী (১ম পর্ব)
আবদুল গনি হাজারী (১ম পর্ব) পঞ্চাশ দশকে বাংলা সাহিত্যের একজন প্রচার বিমুখ কবির নাম আবদুল গনি হাজারী (১৯২১-১৯৭৬ খ্রি.)। তিনি ছিলেন একাধারে একজন কবি, সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের দক্ষ সংগঠক। বহুমুখী প্রতিভার সমন্বয় ঘটেছিল তাঁর মধ্যে। সংবাদপত্রের শিল্পোন্নয়নে তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সচেতন কবি। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ইউনেস্কো পুরস্কার ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য মরণোত্তর একুশে পদক লাভ করেন। জন্ম: কবি ও সাংবাদিক আবদুল গনি হাজারী ১৯২১ সালের ১২ জানুয়ারি, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের নওয়াগ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: আবদুল গনি হাজারীর পিতা ইজ্জত উল্লাহ…
-
মো. তাইব হাজারী
মো. তাইব হাজারী একজন গল্পকার ও কবি হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। তার লেখা গল্প ও কবিতাসমূহ জাতীয় পত্রিকাগুলোর সাহিত্য পাতায় নিয়মিত ছাপা হচ্ছে। জন্ম: মো. তাইব হাজারী ২০০০ খ্রিস্টাব্দের ১০ অক্টোবর পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের নওয়াগ্রাম গ্রামের সম্ভ্রান্ত হাজারী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা মো. আমিনুল হক হাজারী ও মাতা মোছা. সাবিনা ইয়াসমিন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। শিক্ষাজীবন: মো. তাইব হাজারীর শিক্ষাজীবন শুরু হয় স্থানীয় ৩২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করে ভর্তি হন উদয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে উদয়পুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে…
-
জিন্নাত আরা রোজী
জিন্নাত আরা রোজী এ সময়ের একজন জনপ্রিয় কবি হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর লিখা বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকগুলোতে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। জন্ম: জিন্নাত আরা রোজী ১৯৬৮ সালের ২ অক্টোবর, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের নওয়াগ্রামের এক সম্ভান্ত্র মুসলিম পরিবারের খান বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা মো. সৈয়দ আলী খান, মাতা মোছা. আমেনা খাতুন। আট ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ। স্বামী আবুল কাশেম, পেশায় কনসালটেন্ট। তিনি দুই সন্তানের জননী। ছেলে মাহিন জাকারিয়া, মেডিকেল শেষ বর্ষের ছাত্র। মেয়ে নাঈমা জিনাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় বর্ষের ছাত্রী। শিক্ষাজীবন: উদয়পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু, এরপর পাবনা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত…
-
শফিক নহোর
শফিক নহোর এ সময়ের জনপ্রিয় একজন গল্পকার হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। বিভিন্ন সময় লেখকের লেখা গল্প , প্রবন্ধ, কবিতা জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ হচ্ছে নিয়মিত। তিনি প্রতিনিয়ত অণুগল্প, ছোট গল্প ও কবিতা লিখে চলেছেন। জন্ম: গল্পকার শফিক নহোর ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর (২৭ কার্তিক ১৩৯৩ বঙ্গাব্দ), পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের নওয়াগ্রাম এর শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা মহহুম মো. আব্দুল মাজেদ আলী শেখ এবং মাতা মহহুমা মোছা. হামেদা খাতুন। তিনি সাত বোন ও পাঁচ ভাইয়ের ভেতর সবার ছোট। তিনি ২০১০ সালে সুমি খাতুনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের দুই কন্যা সন্তান। শেখ সাহেরা ইসলাম লামহা…