নাজিরগঞ্জ
নাজিরগঞ্জ
-
আহম্মদপুর, কৃতি ব্যক্তিবর্গ, তাঁতিবন্ধ, দুলাই, নাজিরগঞ্জ, ভায়না, মানিকহাট, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, রানিনগর, সাগরকান্দি, সাতবাড়িয়া, হাটখালি
সুজানগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা
সুজানগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার পৌরসভা এবং ইউনিয়নভিত্তিক গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: সুজানগর পৌরসভার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: শহিদ আ. আউয়াল শহিদ ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলাল মো. তোফাজ্জল হোসেন (যুদ্ধাহত ) মো. শাহজাহান আলী মন্টু (যুদ্ধাহত ) শ্রী সুনিল কুমার সাহা মো. আব্দুস ছামাদ মো. আব্দুল হাই মো. আব্দুল কাদের মো. আব্দুল হামিদ মো. সুলতান মাহমুদ মো. আবুল কালাম আজাদ মো. মসলেম উদ্দিন মো. মোজাম্মেল হক চুন্নু মৃত আকবর আলী মো. আববাস আলী আব্দুল বাতেন শ্রী পরেশ চন্দ্র সাহা লিয়াকত আলী খন্দকার আবুল কালাম মো. সেলিম বদর মৃত হাবিবুর রহমান মো. ইয়াছিন উদ্দিন মো. আ. গণি মো. মনসুর রহমান…
-
ড. রেবেকা বানু
ড. রেবেকা বানু অধ্যাপক (অবঃ), ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগ, ফার্মেসী অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা। জন্ম: ড. রেবেকা বানু ১৯৫১ সালের ১৮ জুলাই, পিতার কর্মস্থল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত কামারহাট গ্রাম তাঁর পৈতৃক নিবাস। পারিবারিক জীবন: পিতা বরেণ্য কথাসাহিত্যিক সরদার জয়েনউদদীন, মাতা মিসেস রাবেয়া খাতুন। ড. রেবেকা বানু তাঁদের জ্যেষ্ঠ সন্তান। তিনি ১৯৭৭ সালে ঢাকা কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক ফজলুল করিমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০০৫ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হিসেবে অধ্যাপক ফজলুল করিম সাঅবসর গ্রহণ করেন। তাঁদের দুই পুত্র সন্তান-মেজর রেজওয়ানুল করিম বর্তমানে যশোর ক্যান্টনমেন্টে আছেন ও ড. রেয়াতুল করিম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের…
-
আলাদীপুর, গল্প, তালিমনগর, নাজিরগঞ্জ, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ, সাইফুর রহমান, সাতবাড়িয়া, সাহিত্য
একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (২য় পর্ব)
একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (২য় পর্ব) সাইফুর রহমান প্রত্যুষে উঠে পেটের ধান্দাটাই আগে করতে হয় রেজেকের। তাকে যেতে হয় রসু মিয়ার বাড়ি। রসু মিয়ার কাছে তিন মাস আগের পেঁয়াজ বিক্রির কিছু পাওনা বাকি পড়ে আছে। বেশ কয়েক মাস ধরে টাকাটা আটকে রেখেছে রসু মিয়া। চাইলেই শুধু গাইগুই করে। সাথে নানা রকম টালবাহানা, ওজর-আপত্তি ও ভাঁওতাবাজি প্রতিজ্ঞা। টাকাটা তুলতে পারলে কয়েক দিনের সংসার খরচটা আপাতত সামাল দেওয়া যায়। এরপর তাকে যেতে হবে লালডাঙ্গী বটতলায়। যেখানে হুজুর আস্তানা গেড়েছে, সেখানটায়। হুজুরের নাম শাহ সুফি কুতুব উদ্দিন জালালাবাদী। রসু মিয়ার বাড়িতে যাওয়ার পথে কুতুব উদ্দিন জালালাবাদী সম্পর্কে লোকমুখে অনেক কথাই শুনতে পায় রেজেক।…
-
আবদুল গনি হাজারী (৩য় পর্ব)
আবদুল গনি হাজারী (৩য় পর্ব) আবদুল গনি হাজারীর তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘‘জাগ্রত প্রদীপ’’ প্রকাশিত হয় ১৯৭০ সালের নভেম্বর মাসে। এ গ্রন্থেও কবি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি, বক্তব্য ও কবিভাষার উৎকৃষ্টতর উত্তরণের স্বাক্ষর রেখেছেন। মূলত এ কাব্যগ্রন্থেই তাঁর কবিপ্রতিভার পূর্ণতা প্রকাশ পেয়েছে। এ গ্রন্থের নামকবিতা ‘জাগ্রত প্রদীপ’-এ পাওয়া যায় মুমূর্ষ পিতাকে ঘিরে অসহায় সন্তানদের করূণ প্রার্থনার বিষন্নরুপ। পুরো কবিতাটির মধ্যে একটি নাটকীয় পরিবেশ বিরাজিত। এ কবিতাটির মধ্যে একজন যথার্থ কবির স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে। এ দীর্ঘ কবিতাটির শেষের পংক্তিগুলো সহসা আমাদের দৃষ্টি ফিরিয়েছে মৃত্যু অতীত রহস্যোলোকের প্রতি, নৈরাশ্যের অন্ধকার থেকে বিশ্বাসের আলোতে- “তোমাদের পিতাকে চড়িয়ে দিরাম সংশয়ের ভ্রুভঙ্গে প্রত্যয়ের অস্থিতে, বন্ধা রাত্রির উন্মুখ গর্ভে…
-
আবদুল গনি হাজারী (২য় পর্ব)
আবদুল গনি হাজারী (২য় পর্ব) কাব্য মূল্যায়ন: আবদুল গনি হাজারীর কাব্য-প্রতিভা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে কবি শামসুর রাহমান বলেছেন,‘‘ ‘সামান্য ধন’ অসমান্য খ্যাতি অর্জন করতে পারে নি। এই গ্রন্থে আবদুল গনি হাজারীর কাব্যকৃতি তেমন উজ্জ্বল নয় যদিও প্রথম বইতেই তাঁর কোনো কোনো বৈশিষ্ট্য কাব্যরসিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। কিন্তু ‘সূর্যের সিঁড়ি’ প্রকাশিত হবার পরে এই কবির শক্তি সম্পর্কে কারো মনে কোনো দ্বিধা রইল না। একজন শক্তিশালী বিদগ্ধ কবি হিসেবে আবদুল গনি হাজারীর প্রতিষ্ঠিত হলেন পাঠক সমাজে।’’ তিনি জীবনের অধিকাংশ সময় বাস করেছেন কলকাতা ও ঢাকা শহরে। ফলে নাগরিক-জীবনের চালচিত্র প্রধানভাবে তাঁর কবিতার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। সৈয়দ আলী আহসান লিখেছেন, “নগর…
-
নাজিরগঞ্জে পাকবাহিনীর ফেরি ধ্বংস
নাজিরগঞ্জে পাকবাহিনীর ফেরি ধ্বংস ১৯৭১ সালের ২৪ অক্টোবর, রোববার। পাবনা জেলার সুজানগর থানার নাজিরগঞ্জে আমরা অবস্থান করছি। …নদীর একদম পাড়ে নাজিরগঞ্জ তহসিল অফিসের পাকা বিল্ডিং। যেকোনো সময় নদীতে ভেঙে পড়তে পারে এ রকম অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। অফিসের কাছাকাছি এক বাড়িতে আমি, দুলাল, শামছুল, রাজ্জাক, সামাদ ভাই, হাবিব, ইসমত, হুমায়ুন, হান্নান, তোফা, হাই, মোস্তফা, হেলাল, মাহতাব, জমির, ছাদেকসহ প্রায় ৩০ জন সেখানে অবস্থান করছি। আরও কিছু মুক্তিযোদ্ধা আমাদের থেকে একটু দূরে বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। পরপর কয়েক রাত ধরে অপারেশন চলছে। তাই সবাই খুব ক্লান্ত, কিছু বিশ্রামের দরকার। আশপাশের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে ছুটি পাঠানো হয়েছে। সকালে দুলালের সঙ্গে সুজানগর থানার ম্যাপ নিয়ে…
-
সরদার জয়েনউদদীন (৪র্থ পর্ব)
সরদার জয়েনউদদীন (৪র্থ পর্ব) সাহিত্য মূল্যায়ন: কথাসাহিত্যিক সরদার জয়েনউদ্দীনের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘নয়ান ঢুলী’। নয়ান ঢুলী, কানা ফকিরের ব্যাটা, ফুলজান গল্প পর্যালোচনা- নয়ান ঢুলী ‘নয়ান ঢুলী’ গল্পের প্রধান চরিত্র নয়ান। সে ঢোল মেরামতের কাজ করে জীবিকা চালায়। তার এ-পেশায় দিনদিন রোজগারপাতি কমে আসছে। কারণ আগে হাতে খুব কাজ আসত। বারোয়ারি মন্দিরের কাজ, চৈত্রসংক্রামিত্মর কাজ, গাঁয়ের যাত্রা পার্টির কাজ। তাছাড়া ভাসান-গাজির গান, তিননাথের মেলা, রামনামের আসর থেকেও তার ডাক আসত। ঢোল মেরামতের বায়না, দিনদিন সব কেমন হয়ে গেল। পরিবর্তন হলে একশ্রেণির মানুষের পেটে যে টান পড়ে তার একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট দেখা যায়। তাই আজকাল কাজ পেলে নয়ানের মন ভরে। হাতে যেন…
-
সরদার জয়েনউদদীন (৩য় পর্ব)
সরদার জয়েনউদদীন (৩য় পর্ব) সাহিত্য মূল্যায়ন: কথাসাহিত্যিক সরদার জয়েনউদ্দীনের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘নয়ান ঢুলী’ নিয়ে আলোচনা করলে দেখা যায়, তিনি বাংলা সাহিত্যের কতটা শিখরে উঠেছিলেন, যদিও তাঁকে নিয়ে সেভাবে প্রায় আলোকপাত করা হয় না। নয়ান ঢুলী গল্পগ্রন্থের করালী, ভাবী, কাজী মাস্টার, সবজানের সংসার গল্প পর্যালোচনা- করালী করালী চিরদিনের মতো জামেলাকে হারাল। এভাবেই সরদার জয়েনউদ্দীন ‘করালী’ গল্পের পরিণতি দেখিয়েছেন। জমিদার-সামন্ত বাবুরা কীভাবে সাধারণ মানুষকে নাজেহাল করেছে এবং ঘরের ইজ্জত নিয়ে বেইজ্জত করেছে তার একটা ছবি এই গল্পে চিত্রায়িত হয়েছে। ঘরে বউ নিয়ে শুয়ে ছিল কিন্তু হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখে জামেলা হাওয়া। কোথায় গেল, বুঝে উঠতে পারে না। দৌড়ে যায় কাছারিতে, তাও…
-
খোন্দকার হুমায়ূন কবীর
খোন্দকার হুমায়ূন কবীর ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের কামারহাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম খোন্দকার আকবর হোসেন। মায়ের নাম মোছা: মনোয়ারা খাতুন। পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। সাংবাদিকতা দিয়ে পেশাজীবন শুরু হলেও সে পেশায় বেশিদিন থাকা হয়নি। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত রয়েছেন। পাশাপাশি লেখালেখি করে চলেছেন। আরও পড়ুন বাংলাদেশে বইমেলার প্রবর্তক সরদার জয়েনউদ্দীন ছোটবেলা থেকেই তিনি লেখালেখি শুরু করেন। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাগাজিনে তাঁর একাধিক রচনা ছাপা হয়েছে। ছড়া কবিতা লিখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তবে তিনি বেশকিছু ছোটগল্পও লিখেছেন। “মৌচাকে ঢিল” পত্রিকায় একসময় নিয়মিত গল্প লিখতেন। এছাড়াও দেশের…
-
সরদার জয়েনউদদীন (২য় পর্ব)
সরদার জয়েনউদদীন (২য় পর্ব) সাহিত্য কর্ম: জীবিকা অর্জনের পাশাপাশি সরদার জয়েনউদ্দীন স্বীয় জীবনকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন বিচিত্র প্রেক্ষাপটে। কখনো আনন্দে, কখনো বেদনায়, কখনো অপমান, উপেক্ষায়, আবার কখনো সম্মানের বরমাল্যে। গ্রামে জন্মেছিলেন তিনি, তাই গ্রামের মানুষকে নিয়ে রচিত তাঁর গল্প-উপন্যাস পাঠক হৃদয়কে নিবিড়ভাবে স্পর্শ করে। এ কারণেই পঞ্চাশ দশকে রচিত গ্রামীণ ক্যানভাসে চিত্রিত তাঁর গল্পগুচ্ছ বিপুলভাবে পাঠকনন্দিত। চেনা চরিত্র এবং চেনা কাহিনীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে তাঁর অসাধারণ গল্প সম্ভার। অতি সাধারণ, অতি তুচ্ছ, অতি ক্ষুদ্র অবহেলিত গ্রামের জনমানুষ তাঁর অধিকাংশ গল্পের কুশীলব। তিনি যাদের অন্তরঙ্গ আলোকে দেখেছেন, যাদের নিবিড়ভাবে চিনেছেন, কথাশিল্পে সেসব চরিত্র নিয়ে তাঁর কায়কারবার। গ্রামের মানুষের সুখ-দুঃখ, ব্যথা-বেদনা,…