স্পর্শ
কবিতা,  সাহিত্য

স্পর্শ, লাল চোখ, মৃত্যু

স্পর্শ
আবুল হাশেম

বসন্তের শেষে
বাতাসে উড়া শিমুল তুলোর মতো
তুমি এক বাতাসে উড়ে এসে
সেই যে জড়িয়ে ধরলে,
স্পর্শ এখনও মনে পড়ে।
হৃদয়ে বসন্তের ফুল ফুটালে
ফুলের সুবাস বাতাসে দোলে
ঝরা ফুল হয়ে হৃদয়ের মালা হলে
কানে কানে অলিরা গুন গুন করে বলে
বসন্তের ফুল কোথায় হারালে?
বসন্তের ফুল বাতাসে গেছে ঝরে
ফুলের সুবাস হৃদয়ে দোলে।
ঝরা ফুল ঝরে গেছে
হৃদয়ে স্পর্শ মেলে।

 

লাল চোখ

পাখির ঠোঁটে উড়ে গেল
ভালোবাসার চিরকুট
ভালোবাসা হলো পাখির বাসা
বনপোড়া ময়ূরের মতোন।

সুন্দর ভালোবাসা
সবুজের মাঝে লাল
সবুজ ঘাসের হলুদ কালার
মন হলো পোড়াবন।

ভালোবাসা পেখম তুলা ময়ূর
ভালোবাসা সুন্দর
প্রেমিক পোড়াবাড়ি
প্রেমিকা ঘাসের মতো সবুজ।

তার বুকে বিধাতা দিয়েছে সকল সুখ
প্রেমিক প্রেমিকার চোখে দেখে
সবকিছু লাগে নতুন
মাটি পুড়ে হয় লাল ইট
ইটের বাড়ি আহা কি সুন্দর!

রমনীর চোখ নতুন দর্পন
চোখে হলো চোখ দংশন
চোখের স্বপ্ন দেখে চোখ
ভালোবাসার নেশায় মাতাল
প্রেমিকা হলো রাত জাগা লাল চোখ।

 

মৃত্যু

দুয়ারে দাঁড়িয়ে মৃত্যু
অপেক্ষায় কবর চিতা
ঘটা করে পালন করছ
জন্মদিন বন্ধু।
মৃত্যু তোমারে ডাকে
খাটনি রেডি আছে মসজিদে
সাদাকাফন রেডি আছে
জানি না কোন দোকানে।

মরণের কথা স্মরণ করো বন্ধু
ফুলের মালা আগুনে জ্বলবে
বলো মরণে কে কার পাশে থাকবে?
তাকিয়ে দেখ ঐ কবরে
কত ক্ষমতাবান ঘুমিয়ে আছে নীরবে
খালি হাতে সব কিছু ফেলে।

চলে যায় সময়
ভুলে যায় মানুষ
দেহ চিতাই পুড়ে হয় ছাই
ভালো কাছের ফলাফল
মরণের পরেও মানুষ দেখতে পায়।
তবে তো মানুষ, মানুষ হয়
মানুষ তারে মানুষ কয়।

তাকিয়ে দেখ ঐ গাছের ডালে ডালে
কত সুন্দর ফুল ফোটে সকালে বিকালে
সন্ধ্যায় কার কথায় যায় ঝরে?

মরণ কি কারও জন্য অপেক্ষা করে?
দুয়ারে দাঁড়িয়ে মৃত্যু
ঘটা করে পালন করছ জন্মদিন বন্ধু।

আরও পড়ুন কবিতা- 
রূপসী বাংলার কবি
জীবন বোধ
নীলপদ্ম

 

ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ফেসবুক ও  ইউটিউব চ্যানেলে

স্পর্শ

Facebook Comments Box

আবুল হাশেম একজন কবি। লেখালেখির শুরু হয় হাইস্কুলে পড়াকালীন সময়ে। প্রকাশিত কাবিতাগ্রন্থ: ভালোবাসার রঙ, সমীকরণ। তিনি ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দের ৫ই অক্টোবর পাবনার জেলার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের অন্তর্গত বোনকোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

error: Content is protected !!