প্রতিবেশি সমাচার
প্রতিবেশি সমাচার
ফজলুল হক
দাদি প্রায়ই বলতেন
গাছগাছালিতে ঘেরা গ্রামের এ্যাতো বড় বাড়ি,
দেড় বিঘা পুকুর-
গৃহপালিত পশুপাখি পালন না করলে হয় নাকি?
মাচান থেকে ধান নিয়ে হাটে গেলাম
চার জোড়া হাঁস কিনে ফিরলাম-
উঠোনের একপাশে তাদের জন্য ঘর তৈরি করা হলো।
পাড়ায় পড়ে গেলো হৈচৈ
বাড়ির ছোট সদস্যদের উৎসাহের কোনো কমতি নেই।
প্রথম কয়েকদিন হাঁসগুলোকে সকালে ঘর থেকে বের করে পুকুরে নিয়ে যাই
বেলাশেষে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসি নিরাপদ আশ্রয়ে,
সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে ওরা নিজেরাই চেনা পথ ধরে প্রতিদিন নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে লাগলো,
যতোক্ষণ আঙিনার ভেতরে থাকে সমস্বরে ডাকাডাকি করে।
মা বলেন,ওদের পেটে খিদে
বাবা বলেন, নতুন জায়গায় মানিয়ে নিতে আরো একটু সময় লাগবে,
ভাবলাম তাই হবে হয়ত।
ওদের দুঃখ-বেদনার কথা ভেবে তিন বেলা বাড়তি খাওয়াদাওয়াসহ
আদর যত্ন বাড়িয়ে দিলাম;
তারপরও প্যাঁক প্যাঁক বন্ধ হয় না।
কিছুদিন পর বড় বোন বেড়াতে এলো
হাঁসের এমন কর্মকাণ্ডে নালিশ করলাম।
বোন বললেন,বোকা মন দিয়ে শোন
হাঁস এবং মন্দ প্রতিবেশি একই গোত্রের প্রাণি
কারণ-অকারণে প্যাঁক প্যাঁক করাই ওদের কাজ।
আরও পড়ুন কবিতা-
ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজে
প্রতিবেশি সমাচার