পৃথিবীর-স্বর্গ-সুইজারল্যান্ডে-১ম-পর্ব
তাহমিন খাতুন,  ভ্রমণকাহিনি,  সাহিত্য

পৃথিবীর স্বর্গ সুইজারল্যান্ডে (১ম পর্ব)

পৃথিবীর স্বর্গ সুইজারল্যান্ডে (১ম পর্ব)

তাহমিনা খাতুন 

সুইজারল্যান্ড! নাম শুনলেই মনে হয় এক স্বপ্নের দেশ। কাউকে এমনও বলতে শুনেছি, আহা! এমন দেশ শুধু হয়তো ছবি দেখেই খুশি থাকতে হবে। নিজের চোখে দেখার সৌভাগ্য কি হবে কখনও! সেই স্বপ্নের দেশ, শুধু মাত্র দেখা নয়, দীর্ঘ তিনটি বছর থাকার সৌভাগ্য হলো! সুইজারল্যান্ডের নাম শুনলেই কয়েকটি জিনিসের নাম যেন সাথে সাথেই মনে চলে আসে যেমন-ঘড়ি, চকোলেট, পনির, ব্যাংক, যাতায়াত ব্যবস্থা।

সুইজারল্যান্ডের সত্তর ভাগ এলাকা পর্বতবেষ্টিত। আল্পস্ পর্বতমালাসহ অসংখ্য পর্বত, হৃদ, ঘন সবুজ বন-বনানী, ইউরোপের সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত, বিখ্যাত সব দর্শনীয় স্থান সমৃদ্ধ পশ্চিম ইউরোপের মধ্যভাগের একটি দেশ সুইজারল্যান্ড। এখানে তিন হাজার মিটারের বেশি উচ্চতাবিশিষ্ট দুই শত আটটি পর্বত রয়েছে। চব্বিশটির উচ্চতা চার হাজার মিটারের বেশি!

সুউচ্চ পর্বতশ্রেণির পাশাপাশি এখানে রয়েছে অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন স্বচ্ছ পানির লেক। ছোটো-বড়ো মিলিয়ে সুইজারল্যান্ডে লেকের সংখ্যা প্রায় এক হাজার পাঁচশতটি! এর মধ্যে জেনেভা লেক বা লেক লেমন ইউরোপের বৃহত্তম লেক। জেনেভা তথা জেনেভার আশেপাশের কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্রের সৌন্দর্য বিকাশে জেনেভা লেক বা লেক লেমানের অবদান অপরিসীম। এর দৈর্ঘ্য পাঁচশত আশি বর্গ কিলোমিটার! বাঁকা চাঁদের আকৃতির এ লেকের চল্লিশ শতাংশের অবস্থান ফ্রান্সে।

হাজার দেড়েক লেকের পাশাপাশি সুইজারল্যান্ডে রয়েছে ছোটো-বড়ো মিলিয়ে পঞ্চাশটা নদী। রাইন, সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে বড়ো নদী। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১২৩৩ কিলোমিটার!

আরও পড়ুন ভ্রমণকাহিনি শানশি লাইব্রেরি ও মোরগ ডাক
বরফ-ঢাকা-জেনেভা-লেকের-পাড়ে
বরফ ঢাকা জেনেভা লেকের পাড়ে

সুইজারল্যান্ডের রয়েছে দীর্ঘ প্রাচীন ইতিহাস। এ অঞ্চলের প্রারম্ভিক ইতিহাস আলপাইন সংস্কৃতির সাথে সম্পর্কিত। সে সময় ‘হেলভেট্টিয়া’ নামে এক জাতি এই অঞ্চলে বসবাস করত।খ্রিষ্টপূর্ব এক হাজার বছর আগে সুইজারল্যান্ড রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে আসে। ১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ‘সুইস কনফেডারেশন’ প্রতিষ্ঠার পর আধুনিক সুইজারল্যান্ডের ইতিহাসের শুরু। গৃহযুদ্ধের ফলে ১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দে সুইসরা ফেডারেল সংবিধান গ্রহণ করে। ১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দে এতে ব্যাপক সংশোধনী আনা হয়। এই সময় থেকে কনফেডারেশন স্বায়ত্তশাসিত ক্যান্টনের ফেডারেল প্রজাতন্ত্র ছিল। এর মধ্যে কিছু কনফেডারেসি ৭০০ বছরেরও বেশি পুরোনো। ১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দে সংবিধানের সংশোধনীর মাধ্যমে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও আইনি বিষয় ফেডারেল সরকারের উপর এবং অন্যান্য

সকল বিষয় ক্যান্টনাল সরকারের উপর ন্যস্ত করা হয়। ঐতিহাসিক কনফেডারেশনের সময় এর প্রতিটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল, যেগুলোর পৃথক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ছিল। বর্তমানে এর সবগুলো সুইজারল্যান্ডের অন্তর্ভুক্ত। সুইজারল্যান্ডের রাজনৈতিক ব্যবস্থা অত্যন্ত সুদৃঢ়। প্রতি চার বছর পর পর কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর ১লা জানুয়ারি গঠিত মন্ত্রীসভার একজন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ঐতিহাসিক কনফেডারেশনের সময় থেকেই অধিকাংশ সময়ে সুইস ইতিহাসে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমৃদ্ধি শুরু হয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতি পৃথিবীর অন্যতম স্থিতিশীল অর্থনীতি। এ দেশের নিরাপদ ব্যাংকিং ব্যবস্থার কারণে সারা দুনিয়ার মানুষ সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে অর্থ জমা রাখা নিরাপদ মনে করে। আবার এর সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন দেশের অসৎ লোকজন সুইস ব্যাংকে অর্থ জমা রাখে।

আরও পড়ুন ভ্রমণকাহিনি তাজমহলের শহর আগ্রায়

সুইজারল্যান্ড মোট ছাব্বিশটি ক্যান্টনে বিভক্ত। এর প্রধান শহর চারটি। গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো হলো বার্ন, জেনেভা, জুরিখ, বাসেল। এছাড়া আরও অনেকগুলো ছোটো ছোটো শহর রয়েছে। পাহাড় ঘেরা প্রতিটি শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নদী এবং হৃদ! যে কারণে প্রতিটি শহরের সৌন্দর্যই এক কথায় অপূর্ব!

বার্ন, সুইজারল্যান্ডের রাজধানী। জেনেভা থেকে সড়ক পথে এক ঘণ্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিটে পৌঁছানো যায় বার্নে। সুইজারল্যান্ডে থেকে এর রাজধানী না দেখে যাওয়াটা ঠিক হবে না৷ মধ্যযুগীয় শহর বার্নকে বক্রাকারে ঘিরে রেখেছে ‘আরে (Aarre)’ নদী। অসংখ্য পাহাড়ি ঝরনার কল কল স্বরে পাহাড়ি ঢালে আছড়ে পড়ার দৃশ্য, ক্লক টাওয়ার, সুউচ্চ গির্জা, আরে নদীর মনোমুগ্ধকর দৃশ্যাবলি, নদীর তীর ঘেঁষে পাথর বিছানো ‘ওয়াক ওয়ে’। সুইজারল্যান্ডের বিশ্ব বিখ্যাত চকলেট ফ্যাক্টরি দেখতে পাওয়া যাবে বার্নে। সংরক্ষিত প্রাচীন ঐতিহ্যের অধিকারী শহরটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ বা বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। বার্নেই রয়েছে সুইজারল্যান্ডের পার্লামেন্ট ভবন। পার্লামেন্ট ভবনটি দুই অংশে বিভক্ত। এই ভবনের পশ্চিম অংশ ১৮৫২-১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে এবং পশ্চিম অংশ ১৮৮৮-১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দে নির্মাণ করা হয়। পার্লামেন্ট ভবন ছাড়াও বার্নে রয়েছে ‘ফাইন আর্ট মিউজিয়াম’, ‘আলবার্ট আইনস্টাইন মিউজিয়াম’, ‘ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম’ যেগুলো খুবই বিখ্যাত!

আরও পড়ুন ভ্রমণকাহিনি গোলাপি শহর জয়পুরে

বার্ন থেকে ফেরার পথে ড্রাইভার আমাদের নিয়ে গেল এক হাজার একচল্লিশ মিটার উঁচু ‘সেইন্ট শার্জ (Saint Cergue)’ নামের এক পাহাড়ি এলাকায়। স্থানটি সুইজারল্যান্ডের ‘জুরা’ পর্বতের অংশ। আমাদের গাড়ি উপরে উঠতে শুরু করলে দেখা গেল আশেপাশের পাহাড় বরফে সাদা হয়ে আছে এবং গাড়ি যতই উপরে উঠছে, চারপাশে শুধু বরফ আর বরফ। গাড়ি থেকে যখন নামলাম, তীব্র ঠান্ডায় জমে যাওয়ার অবস্থা! দেখলাম বরফের মধ্যে মহা আনন্দে শিশু, কিশোর-কিশোরীরা স্কি, স্লাইডিংএ মেতে উঠেছে। একে অন্যের দিকে বরফের বল ছুঁড়ে ফেলছে! একদিকে বরফ ঢাকা পাহাড় আর পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে নীল পানির নয়নাভিরাম জেনেভা লেক! মন্ত্রমুগ্ধ হওয়ার মতো দৃশ্যই বটে!

সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে বড়ো শহর জুরিখে যাওয়া হলো একদিন। জেনেভা থেকে সড়ক পথে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগে জুরিখ পৌঁছাতে। জুরিখে বহু বছর ধরে বসবাস করছেন আবদুল্লাহ নামে এক বাঙালি ভদ্রলোক। আবদুল্লাহ সাহেবের আমন্ত্রণে জুরিখে যাওয়া হলো। জুরিখে খুব সুন্দর বাড়ি করেছেন। বাড়ির চারদিক ঘিরেই গড়ে তুলেছেন হরেক রকমের ফুল, বাংলাদেশি ও বিদেশি শাক-সবজির বাগান! সুস্বাদু সব খাবারে আমাদেরকে মধ্যাহ্ন ভোজে আপ্যায়িত করলেন। নিজের বাগানের শাক-সবজি, কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা আমাদেরকে উপহার দিলেন। আবদুল্লাহ সাহেব এবং তাঁর পরিবারের আন্তরিক ব্যবহার এবং আতিথেয়তা কোনো দিনও ভোলা যাবে না!

আরও পড়ুন ভ্রমণকাহিনি রোমান সাম্রাজ্যে কয়েক দিন
লুটেন-ব্রুনেন-পাহাড়ি-ঝরনার-নিচে-আমরা
লুটেন ব্রুনেন পাহাড়ি ঝরনার নিচে আমরা

জুরিখ কেবলমাত্র সুইজাারল্যান্ডের বড়ো শহর নয়, ইউরোপের বড়ো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও পরিচালিত হয় এখানে। দৃষ্টিনন্দন জুরিখ লেক প্রবাহিত হচ্ছে জুরিখ শহরের মধ্যদিয়ে। এ ছাড়া ইউরোপের সবচেয়ে বড়ো জলপ্রপাত ‘রাইন ফলস্’ এর নয়নাভিরাম দৃশ্য জুরিখের সৌন্দর্যকে বহু গুনে বাড়িয়ে দিয়েছে! আন্তর্জাতিক ফুটবল জাদুঘর (ফিফা) জুরিখে। ফিফা মিউজিয়ামের প্রবেশমুখেই দর্শকদের চোখে পড়বে বিভিন্ন রঙের আলোর ঝলকানিতে বিশ্ব বিখ্যাত সব ফুটবলারদের বিভিন্ন সময়ের ফুটবল খেলার দৃশ্য! ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ উদ্বোধনের ইতিহাস এবং উরুগুয়ের প্রথম বিশ্বকাপ জয় থেকে শুরু করে পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত সমস্ত বিশ্বকাপের ঐতিহাসিক ঘটনা বুকে ধারণ করে ফুটবল ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে ‘ফিফা মিউজিয়াম’!

এখানে রয়েছে ফুটবল সংক্রান্ত চার হাজার বই, হাজার খানেক শিল্পকর্ম, ১৪০০ ছবি, পুরুষ ফুটবলারদের অসংখ্য অসাধারণ স্মৃতিসহ নারী বিশ্বকাপ ফুটলারদের ইতিহাসও রয়েছে এই মিউজিয়ামে। রয়েছে ফুটবলের জাদুকর ‘পেলে’-এর বিভিন্ন সময়ের খেলার বর্ণনাসহ ছবি। জুরিখে রয়েছে বিশ্ব বিখ্যাত ETH বা Swiss Federal Institute of Technology. এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষকতাও করেছেন!

সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলে। এখানে মোট চারটি দাপ্তরিক ভাষা প্রচলিত। জেনেভার মানুষ কথা বলে ফরাসি ভাষায়, জেনেভা থেকে সড়ক পথে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা দূরত্বের জুরিখে প্রচলিত সুইস জার্মান ভাষা। দক্ষিণ সুইজারল্যান্ডের টিসিনো (Ticino) ক্যান্টনে প্রচলিত ইটালিয়ান ভাষা। কারণ এই এলাকার অধিবাসীরা অধিকাংশই ইটালি, ক্রোয়েশিয়া এবং পর্তুগাল থেকে আগত অভিবাসী।

আরও পড়ুন ভ্রমণকাহিনি টেরাকোটা আর্মি

সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে যাতায়াত করার সময় অসংখ্য টানেলের ভেতর দিয়ে গাড়ি চলে। জুরিখ থেকে জেনেভা ফেরার পথেও অনেকগুলো টানেলের মধ্যদিয়ে অতিক্রম করতে হয়।

ইন্টারলেকেন, সুইজারল্যান্ডের এক বিস্ময়কর স্থান। ইন্টারলেকেনকে বলা হয় ‘আ্যডভেঞ্চার ক্যাপিট্যাল অব দি ওয়ার্ল্ড’! এটি সুইজারল্যান্ডের পার্বত্য এলাকা বার্নিজ ও ওবারল্যান্ডের বুদেলি নামের এক অনন্য সুন্দর এলাকা! শহরটির পূর্বে ‘ব্রায়াঞ্চ’ ও পশ্চিমে ‘থুন’ নামে দুটি লেক! আকাশের নীলের গাঢ় নীল পানির হৃদ, লেকের পাড়ে সবুজ ঘাসে ছাওয়া বিশাল চত্বরে বসে লোকজন লেকের পাড় ঘেঁষে উঁচু পর্বতমালা উপভোগ করে। ইন্টারলেকেনের ‘গ্রীনডেনওয়াল্ড (Grindelwald)’ নামের স্থানটিতে রয়েছে প্যারাসুটে চড়ে লেকের উপরে ওড়ার ব্যবস্থা। ‘ক্যাবল কারে’ সুউচ্চ পর্বত চূড়ায় উঠে এবং আরও বিভিন্ন ধরনের শিহরণ জাগানো কর্মকাণ্ড করে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন এখানে আসা পর্যটকেরা! ইন্টারলেকেনের ‘লুটেন ব্রুনেন (Lauterbrunen)’ নামের পর্যটন কেন্দ্রটিতে রয়েছে ‘বার্নেসি আল্পস (Bernese Alps)’ নামে আল্পস পর্বতমালার সুউচ্চ চূড়া। এই পর্বত চূড়া থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঝরনার অপরূপ দৃশ্য দেখতে পর্যটকেরা ভিড় জমায়।

ইন্টারলেকেনের ‘জাংফ্রাও (Jungfrau)’ আরও একটি অসাধারণ পর্যটন কেন্দ্র। জাংফ্রাও পর্বতমালার উচ্চতা ১৩৬৪২ ফুট। এই পর্বতের সুউচ্চ চূড়া থেকে নেমে আসে দৃষ্টিনন্দন ঝরনা ধারা।

আরও পড়ুন পৃথিবীর স্বর্গ সুইজারল্যান্ডে-
২য় পর্ব
শেষ পর্ব

 

ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর-এর অফিসিয়াল ফেসবুক ও  ইউটিউব চ্যানেলে

পৃথিবীর স্বর্গ সুইজারল্যান্ডে (১ম পর্ব)

Facebook Comments Box

তাহমিনা খাতুন একজন বহুমুখী প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব। তিনি ছড়া, কবিতা, গল্প, ভ্রমণকাহিনি এবং নারীর অধিকার নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত কলাম লিখে থাকেন। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। তার পেশাগত জীবনে তিনি নারীদের আইনি সহায়তা প্রদান এবং তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করতেন। তাহমিনা খাতুন ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মার্চ পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত আহম্মদপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে এই গ্রামেই।

error: Content is protected !!