নিরব অসন্তুষ্টি, আমাদের সুজানগর, হুশ ফেরাও মানুষ
অনেক রয়েছে তবুও তা যেন নিতান্তই অতি তুচ্ছ,
অসন্তুষ্টিতে ভরপুর আজ শ্রেষ্ঠকুলের হৃদয় গুচ্ছ।
সুদর্শনা ক্ষতবিক্ষত অভিযোগ করবে কার কাছে,
শ্রেষ্ঠ কুলের যুবকেরা ছুটছে মরীচিকার পিছে পিছে।
স্বাচ্ছন্দের সান্নিধ্য খুঁজি দিগন্তের প্রকৃতিকে ঘিরে,
প্রকৃতিপ্রেমীরা সকলেই হতাশ অসন্তুষ্টির ভিড়ে।
শিক্ষাঙ্গনের অনিয়মগুলো চলছে কিসের ইঙ্গিতে,
শিক্ষা দীক্ষায় হায় হায় বুঝি ভুলে ভরা সব ভঙ্গিতে।
অযোগ্যরা শিক্ষক হয়ে যায় ঘুষ মেশিনের জোরে,
মেধাবীরা হয় সুযোগ বঞ্চিত ভালো হবে কি করে?
নিয়ম অনিয়মের দৃশ্যগুলো আজ নির্লজ্জ প্রকাশিত,
সম্মানের ভয়ে আড়ালে থাকা নয়তো ভালোয় নিহিত।
কবিরা লিখবে বসে সুদর্শনার আলোকিত জোসনায়,
অশুভ কালো মেঘের গর্জন পড়ে কবির স্বাধীনতায়।
আরও পড়ুন আজিজুল কায়সারের কবিতা-
একজন মুক্তিযোদ্ধার কষ্ট
আমাদের সুজানগর
অনাচার অনৈতিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর,
দেশপ্রেম তৈরিতে খলিফা আশরাফের চলছে কলম ঝড়।
স্বাধীনতা এনেও গড়তে পারেনি সোনার বাংলাদেশ,
নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করেই গড়বে এবার দেশ।
বিজ্ঞানের শক্তিতে জয়নুল আবেদীনের সৃষ্টিতে,
বাঙালির ঐতিহ্য কৃষিতে, প্রকৃতির খুশি বৃষ্টিতে।
গৌরবান্বিত ড. রুহুল আবিদ মানবতার কল্যাণে,
জাগ্রত হোক মানবতা আজ জনে জনে মনে মনে।
সাইফুর রহমানের গল্পে ও প্রবন্ধে পাঠকের সমাহার,
সমাজের অবক্ষয়ে বিষন্ন সে আজ বিমল কুন্ডু স্যার।
আমাদের সুজানগর ওয়েব ম্যাগাজিনের উপদেষ্টা,
আজও হয়ে আছেন ছাত্র সমাজের উৎকৃষ্ট স্বপ্নদ্রষ্টা।
গুচ্ছ কবিতায় হৃদয়ের স্পর্শে আবু জাফর খান,
পূর্ণিমা হক জিন্নাত আরা রোজি আমাদের সম্মান।
সেলিমুজ্জামানের কবিতা ও গানে মনটা যেন বলে,
কি যে মায়ায় বাঁধলে যে হায় চোখের ঐ জলে ।
এ কে আজাদ দুলালের লেখা রক্তে জলে একাত্তর,
খলিফা আশরাফ ভুলতে পারেনি নির্মম সেই পঁচাত্তর।
শফিক নহোরের ছোট উক্তিতে ভক্তিতে প্রেমের কবিতা,
পাঠক ক্যানভাসে দোলা দিয়ে যায় অতীতের স্মৃতিটা।
মা মাটি আর আদর্শ নিয়ে এঁকে চলে বসে আলপনা,
হৃদয়ে পাবনা ৭১ এর ভাবনা সাইদা আক্তার কল্পনা।
ভ্রমণ কাহিনীতে অপরূপ গল্পে জানার নেইতো শেষ,
নারীর অধিকারে তাহমিনা খাতুনের মা মাটি ও দেশ।
না জেনে না বুঝেই মানুষেরা চলছে কাদের পিছু পিছু,
শুধাইলে বলে তাক্কিন, কারণটা সে জানে না তো কিছু।
দলবেঁধে চিল্লানী করে যায় গিল্লানী সারাদিন ঐদিন,
অধ্যক্ষ বাসেতের তীক্ষ্ণ মেধায় ধরা পড়েছিল তাক্কিন।
আশরাফুল,আরেফিন,শরিফুল,আর আমিনুজ্জামান,
কবিত্বে সাহিত্যে হৃদয়ে হৃদয়ে তারা সুজানগরের সম্মান।
নবরুপ ভাস্কর্যে অপরূপ আশ্চর্যে সৃষ্টিশীল শিল্পের অরিক,
নিপুণ হাতে নিখুত সৃষ্টিতে রয়েছে মোদের রিঙ্কু অনিমিখ।
আখতারুজ্জামান জর্জের হৃদয়স্পর্শী সঞ্চালনায়,
অন্তরের কথা লাইভ অনুষ্ঠানে অন্তর জুড়িয়ে যায়।
লুবনার কন্ঠে শ্রুতিমধুর আবৃত্তি শুনি মনোমুগ্ধকর,
সোনালী অর্জনে শ্রেষ্ঠা হও মামনি দেশ মাতৃকার।
প্রকৌশলী আলতাব হোসেনের সৃজনশীল আবিষ্কার,
খুঁজে চলে গুণীজন মননে মেধাবী মন ঘুচিয়ে আঁধার।
কবি সাহিত্যিকের আলোতেই আজ স্বর্ণজ্জ্বল বাতিঘর,
গর্বিত আলোয় আলোকিত হোক আমাদের সুজানগর।
হুশ ফেরাও মানুষ
বিশেষ কোনো ক্ষতি নেই যদি ঠকে যাও কখনো তুমি,
ছোট্ট জীবন শেষ হয়েই যাবে পড়ে থাকবে শুধু ভূমি।
প্রতারণা করে ক্ষণিকের জন্য তুমি জিততেও পারো,
কখনো তুমি কাঁদাতেও পারো হক নষ্ট করেও কারো।
ক্ষণিকের শান্তিকে ভেব না তুমি স্বর্গ সুখের ঠিকানা,
নিঃশ্বাসেরও রয়েছে একদিন পরিসমাপ্তির সীমানা।
দীর্ঘশ্বাসটা নিঃশ্বাসেই আটকাবে নির্দিষ্ট কোন ক্ষণে,
অতিরঞ্জিতটুকু ঠাঁই দিও না তুমি ক্ষণিক শান্তির মনে।
সুদর্শনাকে পায়ে ঠেলে তুমি করছো কেন অবহেলা,
নিমিষেই হারাবে হঠাৎ কৃত্রিম সুখের সারা বেলা।
যৌবনটাকে হারিয়ে ফেলেছ সুখ আহলাদের মাঝে,
অভিজ্ঞতার ছিটেফোঁটা এবার লাগাও ভালো কাজে।
দীর্ঘদিনের অর্জিত জ্ঞানের অনূভুতি জড়ো করে,
সমস্ত জীর্ণতা দূর করে ফেলো মনটাকে বড় করে।
কাউকে ঠকিয়ে মনে করেছো জিতে গেছে মনোহর,
ভেবে নিও সেটা তোমার ব্যর্থ আলিঙ্গনের শেষ প্রহর।
আরও পড়ুন কবিতা-
আনন্দের ধারা
বেদনার কূলে কূলে
মনের বীজতলা
আমার ব্যবধান
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
নিরব অসন্তুষ্টি